রাজধানীসহ সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, অসহায় সাধারণ মানুষ

আবারো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দিনাজপুর। এই এলাকার বাসিন্দারা একটি মাঝারি ঠান্ডা স্রোত দ্বারা পরাস্ত হয়. দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এদিকে কুয়াশার কারণে দূরপাল্লার যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
ট্রাকচালক আহাদুল হক জানান, প্রায় এক মাস ধরে প্রচণ্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস বইছে, বেশিরভাগ দিনই সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। ঠাণ্ডায় মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না। যে কারণে ভাড়া না পেয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতে হচ্ছে।
ইটভাটা শ্রমিক মকবুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাট কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঠান্ডায় হাত পা জমে যাচ্ছে, তাই ভাটায় কাজে যাই নাই।
কৃষক আতাউর রহমান বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীত মৌসুমে শীত বেশি হওয়ায় বীজতলাসহ আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। বাজার থেকে দামি দামি কীটনাশক স্প্রে করেও ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। আলুর গাছ মরে যাচ্ছে বীজতলা হলুদ হয়ে যাচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আবারো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে পঞ্চগড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত। গত কয়েকদিন থেকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। গতকাল জেলার তেঁতুলিয়ার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়। এতে করে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে থমকে গেছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলার কর্মজীবন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতকালের মতো ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন আছে দেশের সর্বউত্তরের এই জেলা। কুয়াশার সঙ্গে শিশির ও হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের।
১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইদিন পাঠদান ও মাধ্যমিকে তিন দিন পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার শিক্ষা কার্যালয়। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ অঞ্চলে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
- আরও দুটি লম্বা ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
- আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি
- তৌহিদ আফ্রিদির অজানা কুকর্ম ফাঁস
- আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- ঈদে মিলাদুন্নবী কবে: জানা গেল ছুটির তারিখ
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম
- ঘরে বসে অতিরিক্ত সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করুন সহজে
- যেভাবে গ্রেফতার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি
- ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি কবে
- আজকের স্বর্ণের দাম; ২২ ক্যারেট কত ভরি
- টিন সার্টিফিকেট বাতিল করবেন যেভাবে
- আগামী ৫ দিন অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা