২০ বছর আগের দিনে ফিরে গেল বাংলাদেশ

পরিস্থিতি অনুকূল বলে মনে হয়েছিল। পিচ রিপোর্ট দিতে যাওয়া হিলটন অ্যাকারম্যানও উৎসাহব্যঞ্জক, শুরুতে সাহায্য পাবেন পেসাররা, প্রথম দিনে স্পিনাররা খুব একটা সুবিধা নাও পেতে পারেন। পরে ব্যাটিং করা বড় কথা হবে না।
তবে উইকেটের কথা স্বীকার করেছেন দুই অধিনায়কই। এই উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা যে কঠিন তা বুঝেই ব্যাট করতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও টিম সাউদি। টস জিতে শান্তর ইচ্ছা পূরণ হলো। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এর চেয়ে কম রানে অলআউট বাংলাদেশ মাত্র একবারই হয়েছিল।
২০০২ সালে চট্টগ্রামে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট, ইনিংসের সর্বোচ্চ রানও তাঁর। কিন্তু সে ইনিংস যখন ২৮ রান হয়, তখনই বোঝা যায় দলের বাকিদের কী অবস্থা ছিল। ১৪৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একই ভেন্যুতে প্রথমে ব্যাট করে ১৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পরের বছর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও ৪ রান বেশি করতে পেরেছিল স্বাগতিক দল। মিরপুরে স্বেচ্ছায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনা এতদিন মাত্র একটি ছিল। সেটিও ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ১৯২ রানে।
শুধু টস জিতে নয়, টস হেরে ব্যাটিং করতে বাধ্য হয়েও মিরপুরে আর কখনো দুই শর নিচে গুটিয়ে যায়নি বাংলাদেশ।
এমন বিপর্যয়ে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো মূল্যে জয়ের ফর্মুলার উইকেট যেমন ভূমিকা রেখেছে, তেমনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অবদানও কম নয়।
প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।, সবই স্পিনারদের সামনে। এর মধ্যে মাহমুদুল হাসান ও মুমিনুলের আউটে হয়তো উইকেট ও বাড়তি টার্নের ভূমিকা আছে, কিন্তু জাকিরের আকাশে বল তুলে দেওয়া শান্তর রিভার্স সুইপে এলবিডাব্লিউ হওয়াতে তো উইকেটের ভূমিকা নেই।
বাড়তি টার্ন শাহাদাত হোসেন দীপুকেও আউট করেছে। কিন্তু তার আগে পঞ্চম উইকেট জুটিটা ভাঙায় তো উইকেট, প্রতিপক্ষ কারও কোনো ভূমিকা ছিল না। কাইল জেমিসনের একটি বল সফট হ্যান্ডে খেলেছিলেন মুশফিক। সে বল স্টাম্পের ধারেকাছেও যাচ্ছিল না, কিন্তু কী বুঝে সে বলই হাত দিয়ে আটকাতে গেলেন। একসময়কার ‘হ্যান্ডল দ্য বল’ বর্তমানে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ হয়ে আবার টেস্টে ফিরে এল। মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে হাস্যকর এই আউট হলেন মুশফিক।
নুরুল হাসান সোহান তো সিলেট টেস্টেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজ আর বোঝার ইচ্ছা নেই তাঁর। ৬ উইকেটে ১৩৫ রানে থাকা অবস্থায় তাঁর অমন শট খেলায় প্রশ্ন তুলে লাভ নেই, তাঁকে টেস্টে শুধু উইকেটকিপার হিসেবেই দলে নেওয়া হয়েছে কি না, এই জিজ্ঞাসা টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য জমা রাখাই ভালো।
মিরাজ একটু চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু মিরপুরের উইকেট আর স্যান্টনারের বাড়তি টার্ন তাঁকেও ফেরত পাঠিয়ে ড্রেসিংরুমে। তাইজুলের কোনো শট না খেলার চেষ্টা করা, কিন্তু শরীফুল ইসলামের উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়া নিয়ে অযথা আলোচনারও কোনো মানে হয় না।
স্পিনস্বর্গে অবিশ্বাস্য নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছেন সাউদি। শরীফুলকে আউট করার পাশাপাশি ৫ ওভার ২ বল করে কোনো রান দেননি নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক!
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- চলছে ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ: লাইভ দেখবেন এখানে
- চলছে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচ: সরাসরি দেখুন এখানে
- শেষ বাংলাদেশ বনাম হংকং ম্যাচ
- ফ্রিতে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ
- ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ: মোবাইলে যেভাবে লাইভ দেখবেন
- গোল বন্যায় শেষ হল ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচ
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আজকের টাকার রেট: ডলার, রিয়ালসহ সব বিনিময় হার
- আগামী পাঁচ বছরে সোনার দাম ভরি প্রতি কত হতে পারে!
- কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল আর্জেন্টিনা বনাম নাইজেরিয়ার নক-আউট ম্যাচ
- বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
- ২টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি কালো জাদুর শিকার
- দেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম