ভারতকে যত রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

এশিয়া কাপ সুপার ফোরে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সুপার ফোরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
প্রথম ওভারে তেমন কোনো মুভমেন্টের দেখা পাননি। পরের ওভারে দেখা গেল মোহাম্মদ শামির সিম মুভমেন্ট। তাতেই শেষ লিটন দাস। লেংথ থেকে সিমে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে লিটনকে মনে হয়েছে বিস্মিত। ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ইয়া বড় গ্যাপ, পা-ও নড়েনি সেভাবে। লিটন বোল্ড হয়েছেন। ওপেনিংয়ে ফিরে লিটন ফিরলেন শূন্যতেই। ২ বল খেলেছেন তিনি।
এর আগে শার্দূল ঠাকুরের পরপর দুই বলে দারুণ দুটি চেক শটে কাভার ও মিড অফের মাঝ দিয়ে দুটি চার মেরেছিলেন তানজিদ হাসান। অভিষেকে গোল্ডেন ডাকের দুঃস্মৃতি ভুলে শুরুটা ভালোই পেয়েছিলেন। কিন্তু শার্দূলের পরের ওভারে বোল্ড তিনিও। ক্রস সিম ডেলিভারি ছিল। যতটা ভেবেছিলেন, ততটা গতি ছিল না। পুল শটে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন তানজিদ।
প্রথম ৮ বলে ০। নবম বলে পুল করে চার। দশম বলে ডট। ১১তম বলে আবার শর্ট, এবার পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে ক্যাচ তুলে উইকেটকিপারের হাতে ধরা।
এনামুল হকের ফেরার গল্প এমনই। শার্দূল ঠাকুরের শর্ট বলের ফাঁদে সহজেই পা দিয়ে ফিরে গেলেন তিনে আসা এনামুল। কলম্বোয় বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে দীর্ঘ (সময়ের হিসাবে সেটি নাও হতে পারে অবশ্য) এক দিন!
মিরাজকে তাঁর নিয়মিত পজিশনে খেলানো হবেই না—বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট যেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন। অথবা তাঁকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মায়াটা ছাড়তে পারছে না তারা। আগের তিন ম্যাচে ওপেনিংয়ের পর এবার এ অলরাউন্ডারকে পাঠানো হয়েছে ৫ নম্বরে। কেন পাঠানো হয়েছে, সেটি অবশ্য প্রশ্ন। আজ অফিশিয়াল যে টিম শিট, সেখানে মিরাজ ছিলেন ৭ নম্বরেই।
ক্রিজে বাঁহাতি সাকিব আছেন। তাঁর সঙ্গে যদি একজন ডানহাতি দরকার পড়ত, এ পজিশনে যাঁর আসার কথা সেই তাওহিদ হৃদয়ই ছিলেন। ২৮ বলে ১৩ রান করে থেমেছেন মিরাজ। ৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
১০০ রানের জুটি হয়ে গেল সাকিব ও হৃদয়ের। পঞ্চম উইকেটে এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় শত রানের জুটি।
২০, ০ ও ২—এশিয়া কাপের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না হৃদয়ের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এরপর বাংলাদেশকে দারুণ এক জয় এনে দিতে ধরেছিলেন ৮২ রানের ইনিংসে। আজ ভারতের বিপক্ষে পেলেন আরেকটি ফিফটি। সেটিও বেশ চাপের মুখে ব্যাটিং করে। ওয়ানডেতে ১৩তম ইনিংসে পঞ্চম ফিফটি এটি হৃদয়ের।
নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন এখনো। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ওয়ানডেতে নাসুমের এর আগে সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস। এ বাঁহাতি ৪৭তম ওভার শেষে অপরাজিত আছেন ৪৪ বলে ৪৪ রানে। মেহেদী ব্যাটিং করছেন ১৪ বলে ১৮ রানে। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রানে। ৪৭তম ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে তুলেছে ২৩৭ রান।
৪২তম ওভারে হৃদয় সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারবে কি না—বড় প্রশ্ন ছিল সেটিই। তখনো ২০০ পেরোয়নি তারা।
এরপর আবির্ভাব হলো ‘অপ্রত্যাশিত’ এক জুটির। নাসুম আহমেদ হয়ে উঠলেন ব্যাটসম্যান, মেহেদী হাসানের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠল ৪৫ রান। নাসুমের ৪৫ বলে ৪৪, মেহেদীর , তানজিমের ৮ বলে ১৪—আট, নয় ও দশ নম্বর ব্যাটসম্যানের অবদানে বাংলাদেশ গেল ২৬৫ রান পর্যন্ত। ভারতকে ২৬৬ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ক্যান্সার হওয়ার ১ বছর আগে যেসব পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয়
- মোটরসাইকেল মালিকদের জন্য বিআরটিএর কঠোর নির্দেশনা
- কোন গ্রুপের রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- দাম কমিয়ে আজ ১ ভরি সোনার দাম কত হল
- তীব্র শব্দে কেঁপে উঠলো ইরান, যা জানা গেল
- নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত, নতুন বিতর্ক শুরু
- এবার ইরানের ওপর শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!
- এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে যেদিন
- বাংলাদেশে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- মৃত্যু ছেলের সাথে ১৫ বছর পর মায়ের দেখা
- স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করলেই মৃত্যুদণ্ড, যা জানা গেল
- বাস পুড়ে তানজানিয়ায় ৩৮ জনের মৃত্যু
- ভয়াবহ সুনামির শঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের
- নির্বাচন ঠেকানোর জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন ওবায়দুল কাদের