নতুন পে-স্কেল: বেতন বাড়লেও বাড়ছে কর ও বাড়িভাড়া!
 
								নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত হলে সরকারের রাজস্ব আয়ের পথও প্রশস্ত হবে। যদিও নতুন পে-স্কেল কার্যকর হলে সরকারের ব্যয়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ আসবে, তবে অর্থ বিভাগ মনে করছে, চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারবে। সম্প্রতি জাতীয় পে-কমিশনকে দেওয়া অর্থ বিভাগের মতামতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
রাজস্ব আদায়ের প্রধান দুটি উৎস
নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থ সংস্থানের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ দুটি প্রধান উৎসকে সামনে আনছে, যা সরাসরি চাকরিজীবীদের পকেট থেকে আসবে:
১. আয়করের আওতা বৃদ্ধি
* পরিবর্তন: বর্তমান বেতন কাঠামোতে সর্বনিম্ন স্কেল হলো ৮,২৫০ টাকা। নতুন কাঠামোতে এটি ১৬,০০০ টাকার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
* আসর: সর্বনিম্ন বেতন স্কেলের এই বৃদ্ধি সরাসরি প্রভাব ফেলবে আয়করে। বর্তমানে যারা করের আওতার বাইরে আছেন, নতুন স্কেল কার্যকর হলে তারাও আয়করের আওতায় চলে আসবেন।
* সরকারের লাভ: অর্থ বিভাগ মনে করছে, এই সম্প্রসারিত আওতা থেকে সরকার বড় অঙ্কের আয়কর পাবে, যা নতুন বেতন কাঠামোর অতিরিক্ত ব্যয়ের জোগান দিতে সহায়ক হবে।
২. সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি
* পরিবর্তন: সরকারি চাকরিজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরকারি আবাসনে বসবাস করেন। বেতন কাঠামো সমন্বয় করার ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হারও আনুপাতিক হারে বাড়ানো হবে।
* চাকরিজীবীদের জন্য প্রভাব: এটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কিছুটা দুঃসংবাদ হলেও, সরকারের রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
অর্থ বিভাগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির এই পদক্ষেপের প্রভাবে শুধু ব্যয় বাড়াবে না, বরং রাজস্ব আদায়ের পরিধিও সম্প্রসারিত হবে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
কমিশনের অগ্রগতি ও বাস্তবতা
* লক্ষ্য: ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রেক্ষাপটে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সরকারি প্রশাসনে দক্ষ ও মেধাবী মানবসম্পদ আকৃষ্ট করতে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রবর্তন অপরিহার্য। এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠায়ও সহায়ক হবে।
* কমিশনের কার্যক্রম: একটি ন্যায়সঙ্গত ও কার্যকরী বেতনকাঠামো সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত বেতন কমিশনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কমিশন ইতোমধ্যে অনলাইন মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই করছে এবং বিভিন্ন সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করার ব্যাপারে কমিশন আশাবাদী।
* সম্পদের সীমাবদ্ধতা: জাতীয় পে-কমিশনের সভাপতি, সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান বলেছেন, "আমাদের হাতে সীমিত সম্পদ আছে। এর মধ্য থেকে সর্বোচ্চ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব থাকবে।"
বাস্তবায়ন ও অর্থ বরাদ্দ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে, যা পরের রাজনৈতিক সরকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না।
তিনি আরও জানান, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে পে-স্কেল কার্যকর করতে হলে চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এর জন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। ডিসেম্বরে বাজেট সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হলে সেখানেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর করার বিধান যুক্ত করা হবে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- চূড়ান্ত হলো পে-স্কেল ঘোষণার সময়: ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
- ঈদ বোনাস দ্বিগুণ, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকার বড় প্রস্তাব

 গুগল নিউজ ফলো করুন
        গুগল নিউজ ফলো করুন
     
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
                     
                     
                    