আল্লাহ কেন পৃথিবীতে মানুষকে পঙ্গু করে পাঠান

পৃথিবীতে অনেক সময় মানুষ শারীরিক সীমাবদ্ধতা বা পঙ্গুত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এটি একটি গভীর এবং স্পর্শকাতর বিষয়, যা অনেককে ভাবায়। ইসলাম এই বিষয়টিকে আল্লাহর অসীম প্রজ্ঞা ও একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই অবস্থার পেছনে কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
১. আল্লাহর পরীক্ষা ও উচ্চ মর্যাদা দান
ইসলামে এই জীবনকে একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হয়। শারীরিক সীমাবদ্ধতা সেই পরীক্ষারই একটি অংশ হতে পারে। এটি কেবল সেই ব্যক্তির জন্য একটি পরীক্ষা নয়, বরং তার ধৈর্য (সবর) এবং আল্লাহর প্রতি তার বিশ্বাস কতটা দৃঢ়, তা যাচাই করার একটি সুযোগ।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মুমিনের ওপর যে কোনো কষ্ট আসে— ক্লান্তি, রোগ, শোক, পেরেশানি, দুঃখ, এমনকি কাঁটা বিঁধলেও তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের কষ্ট দিয়ে তাদের গুনাহ মুছে দেন এবং পরকালে তাদের জন্য উচ্চ মর্যাদা নির্ধারণ করেন। যারা এই কঠিন পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণ করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতে বিশেষ সম্মান।
২. অন্যদের জন্য পরীক্ষা
শারীরিক সীমাবদ্ধতা কেবল একজন ব্যক্তির জন্য নয়, বরং তার পরিবার, সমাজ এবং পুরো মানবজাতির জন্যও একটি পরীক্ষা। এটি আমাদের শেখায় কীভাবে একজন দুর্বল বা অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল, দয়ালু এবং সাহায্যকারী হতে হয়। যারা এমন ব্যক্তিদের প্রতি যত্নশীল, তাদের পাশে দাঁড়ায় এবং তাদের সম্মান করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং তাদেরকে এর জন্য বিরাট প্রতিদান দেন।
৩. পরকালে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান
ইসলাম বিশ্বাস করে যে এই দুনিয়ার কষ্ট ক্ষণস্থায়ী, আর পরকালের সুখ চিরস্থায়ী। শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে যারা দুনিয়াতে ধৈর্য ধারণ করেন, আল্লাহ তাদের পরকালে এমন পরিপূর্ণ শরীর ও সৌন্দর্য দেবেন যা দেখে অন্যরাও ঈর্ষা করবে। রাসূল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন সেইসব ব্যক্তিরা তাদের দুনিয়ার কষ্ট দেখে মনে করবে, যদি তাদের শরীর কাঁচি দিয়েও কেটে ফেলা হতো, তাহলেও তারা আজকের পুরস্কারের তুলনায় সেই কষ্টকে কিছুই মনে করতো না।
আরও পড়ুন- মেয়েকে বাবার সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়া ইসলামে জায়েজ কিনা
আরও পড়ুন- স্বপ্নে সাপ দেখলে বড় বিপদ; হাদিসে যা বলা আছে
আরও পড়ুন- যে ৩ সময়ে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন
সুতরাং, ইসলামে শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে কোনো অভিশাপ হিসেবে দেখা হয় না, বরং এটি ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার একটি সুযোগ, যা একজন মানুষকে আল্লাহর কাছে আরও প্রিয় করে তোলে এবং পরকালের জীবনে অফুরন্ত সুখের নিশ্চয়তা দেয়।
আশা ইসলাম/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আগামী কাল ২১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি; সত্য মিথ্য যা জানা গেল
- সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে কোন দল জিতবে জানাল জ্যোতিষী টিয়ার
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ১ম ম্যাচে কত নেট রান রেট পেলো বাংলাদেশ
- রোববার সূর্যগ্রহণ: কোথায় এবং কখন দেখা যাবে
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা এক লাফে বাড়লো
- ভারত নাকি পাকিস্তান কোন দল জিতবে জানাল জ্যোতিষী টিয়া
- আজ সূর্যগ্রহণ; সতর্ক থাকুন গর্ভবতী মহিলারা! ভুলেও করবেন না
- সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ; মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- আবারও ভূমিকম্প, এবার উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের ভেতরে
- ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ‘নান্দো’
- নিবন্ধন পাচ্ছে জাতীয় লীগসহ ৬ দল
- চট্টগ্রামে হঠাৎ মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি কেন বাড়ছে
- দেশের বাজারে আবারও বাড়ল সোনার দাম
- বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ, বাংলাদেশে কখন শুরু হবে
- স্বপ্নে সাপ দেখলে বড় বিপদ; হাদিসে যা বলা আছে