বিশ্ববাজারে চালের দাম সর্বনিম্ন, তবু বাংলাদেশে কেন চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ববাজারে চালের দাম গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। অথচ বাংলাদেশে বাম্পার ফলন, রেকর্ড আমদানি ও সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও চালের দাম কমার বদলে উল্টো বাড়ছে। খুচরা বাজারে চালের দাম এখন পর্যন্ত রেকর্ড সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতির পেছনে বাজার ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাবকে দায়ী করছেন।
দাম বৃদ্ধির মূল কারণগুলো কী?
* বাজার নিয়ন্ত্রণ: অর্থনীতিবিদদের মতে, বড় করপোরেট মিলগুলো বিপুল পরিমাণ ধান কিনে মজুত করে রাখে। ভরা মৌসুমেও তারা সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়। যদিও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
* তথ্যের অসম্পূর্ণতা: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর পুরনো পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের কারণে প্রকৃত উৎপাদন ও চাহিদা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না।
* সরবরাহ চেইন: উৎপাদন থেকে শুরু করে খুচরা বাজার পর্যন্ত সরবরাহ চেইনে চাঁদাবাজি ও অব্যবস্থাপনার কারণেও দাম বাড়ে।
* আমদানি নীতি: গত অর্থবছরে চাল আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারি মজুত কমে যায়, যা মিল মালিকদের দাম বাড়াতে উৎসাহিত করে। যদিও পরে আমদানি শুরু হলে সরকারি মজুত বেড়ে যায়, কিন্তু ততক্ষণে দাম আর কমানো সম্ভব হয়নি।
সরকারি গুদামের মজুত এবং বাজার পরিস্থিতি
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারি মজুত কমে ৬.৫ লাখ টনে নেমে এসেছিল। তবে চলতি বছরের জুলাইয়ে তা বেড়ে রেকর্ড ১৯.১৭ লাখ টনে পৌঁছায়। তা সত্ত্বেও বাজারে দাম কমেনি। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চালের দাম এক বছর আগের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি।
নিম্নবিত্তের ওপর চাপ
রাজধানীর একজন সাধারণ চাকরিজীবী জাহিদুল ইসলাম বলেন, "চালের দাম এতো বাড়তে আমি আগে কখনো দেখিনি। উৎপাদন ভালো হওয়ার পরেও আমাদের কেন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে?" পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দরিদ্র পরিবারের মোট ব্যয়ের একটি বড় অংশ চাল কিনতে খরচ হয়। চালের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারের পদক্ষেপ
খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান জানিয়েছেন, সরকার ১০ আগস্ট থেকে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু করেছে এবং ১৭ আগস্ট থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হবে। এই কর্মসূচিতে ৫৫ লাখ পরিবারকে ছয় মাস ধরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যদিও এসব পদক্ষেপের ফলে বাজারের দাম কতটা কমবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দাসী রেখে সহবাস: ইসলাম কী বলে
- সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০ আমিরাতি ভাড়াটে সেনা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- হাত-পায়ের এই ৭ লক্ষণ কিডনি নষ্টের ইঙ্গিত
- নতুন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসছে আওয়ামী লীগ
- তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা বাদ আনিসার
- বাংলাদেশ বনাম কোরিয়া, লাইভ দেখবেন যেভাবে
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৮০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
- ৯০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারল বাংলাদেশ
- সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়ছে: বসছে বেতন কমিশনের সভা
- সিজারে সন্তান নিলে কি জান্নাত মিলবে না
- ৯০ বছর ধরে হাতুড়ির বদলে গ্রেনেড ব্যবহার!
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- শেষ হল বাংলাদেশ বনাম তিমুর লেস্তে ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল