যেকোনো বয়সে চোখের ক্যান্সার! সতর্ক হোন, লক্ষণগুলো চিনুন
নিজস্ব প্রতিবেদক: চোখের ভেতর বা চারপাশের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে তা টিউমারের রূপ নিতে পারে, যেখান থেকে শুরু হতে পারে চোখের ক্যান্সার। এটি কখনো ছোট আকারে থাকলেও, অনেক সময় বড় আকার ধারণ করে শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সময়মতো শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু হলে চোখ ও দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা সম্ভব।
চোখের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ
নিম্নলিখিত লক্ষণগুলোর যেকোনোটি দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন:
* হঠাৎ ঝাপসা দেখা: দৃষ্টিতে আকস্মিক পরিবর্তন বা ঝাপসা হয়ে আসা।
* পার্শ্বীয় (পেরিফেরাল) দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া: চোখের পাশে দেখার ক্ষমতা কমে যাওয়া।
* বিকৃতভাবে দেখা বা হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হারানো: বস্তুকে বাঁকা দেখা বা দৃষ্টি হঠাৎ করে চলে যাওয়া।
* চোখের সামনে ফ্লোটার বা আলো ঝলকানি: আলোর ঝলকানি দেখা বা চোখের সামনে ছোট ছোট দাগ বা বিন্দুর মতো কিছু ভেসে ওঠা।
* চোখের রং বা পিউপিলের আকারে পরিবর্তন: চোখের আইরিসের (রঙিন অংশ) বা পিউপিলের (কালো অংশ) আকৃতিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
* চোখে লালভাব, ফুলে যাওয়া বা দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি: চোখ দীর্ঘক্ষণ লাল থাকা, ফুলে যাওয়া বা চুলকানির প্রবণতা।
* চোখ বা পলকের নিচে গুটি বা গাঁট: চোখের পাতা বা চোখের নিচে কোনো নতুন মাংসপিণ্ড বা ফোলা অংশ তৈরি হওয়া।
* চোখ নাড়াতে সমস্যা হওয়া: চোখের নড়াচড়ায় অসুবিধা বা ব্যথা অনুভব করা।
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বা অবস্থার কারণে চোখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে:
* বয়স: ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা।
* শিশুরা: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা (বিশেষ করে রেটিনোব্লাস্টোমা নামক চোখের ক্যান্সার)।
* ত্বক ও চোখের রং: হালকা ত্বকের অধিকারী এবং নীল বা সবুজ চোখের মানুষ।
* পারিবারিক ইতিহাস: যাদের পরিবারে চোখের ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে।
* জিনগত সমস্যা: যাদের BAP1 টিউমার সিন্ড্রোম নামক জিনগত সমস্যা আছে।
* সূর্যের আলোর সংস্পর্শ: অতিরিক্ত সূর্যের আলো (অতিবেগুনি রশ্মি) যারা নিয়মিত সংস্পর্শে থাকেন।
প্রতিরোধ ও সচেতনতা: কিছু কার্যকর পদক্ষেপ
চোখের ক্যান্সার পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য না হলেও কিছু পদক্ষেপ চোখ ও দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় সহায়ক হতে পারে:
* নিয়মিত চোখ পরীক্ষা: বছরে অন্তত একবার চক্ষু বিশেষজ্ঞের দ্বারা চোখ পরীক্ষা করানো।
* সানগ্লাস ব্যবহার: সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখ রক্ষার জন্য বাইরে বেরোনোর সময় উপযুক্ত সানগ্লাস ব্যবহার করা।
* দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ: যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
* পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা: পরিবারে কারও চোখের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে আরও সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত চেকআপ করানো।
চোখের যত্নে নিয়মিত সচেতনতা এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলো চেনা—এই দুইটিই হতে পারে চোখের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। আপনার চোখ সুস্থ রাখতে আপনি আর কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন?
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- দেশের বাজারে লাফিয়ে ২৪ হাজার টাকা কমলো সোনার দাম
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- নতুন বেতন কাঠামোতে বড় সুখবর পাচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীরা
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
