টিস্যু বা ঢিলা ব্যবহার না করলে নামাজ হবে কিনা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমান সময়ে অনেক মুসলমান ভাই-বোন নানা প্রশ্নে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থাকেন, বিশেষ করে নামাজ, গোসল, পোশাক-আশাক ও দৈনন্দিন আচার-আচরণ নিয়ে। নিচে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার সঠিক উত্তর তুলে ধরা হলো:
১. টিস্যু বা ঢিলা ব্যবহার না করলে নামাজ হবে কি?
যদি কেউ প্রস্রাব-পায়খানা করার পর পানি দিয়ে ভালোভাবে নিজেকে পবিত্র করেন এবং পবিত্রতার বিষয়ে নিশ্চিত হন, তাহলে নামাজ আদায়ে কোনো সমস্যা নেই। ঢিলা বা টিস্যু ব্যবহার না করলেও সমস্যা হবে না, যদি পানি দিয়ে পুরোপুরি পবিত্রতা অর্জিত হয়। আমরা নামাজের জন্য অজু করি এবং গোসল ফরজ হলে গোসল করি। আয়াত এবং হাদিসের আলোকে সালাফে সালেহীন ও মুসলিমবিশ্বের সকল ইমামগণের মতামত হল, পানি ও ঢিলা (টিস্যু) উভয়টা ব্যবহার করা উত্তম
২. বাথরুমে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যাবে কি?
শরীয়তে গোসলের সময় সম্পূর্ণ উলঙ্গ হওয়া হারাম নয়। তবে উত্তম হচ্ছে, শরীর আচ্ছাদন করে গোসল করা। হাদিসে রয়েছে, আল্লাহ লজ্জাশীলতা পছন্দ করেন। তাই সম্ভব হলে একা থাকলেও শরীর আংশিক ঢেকে গোসল করা শ্রেয়।
৩. ফরজ গোসল বিলম্বে করলে গুনাহ হবে কি?
গোসল ফরজ হওয়ার পর তা দেরি না করে করে ফেলা উত্তম। তবে নামাজের সময় হওয়ার আগেই গোসল করে ফেললে গুনাহ হবে না। এর মাঝে অন্য বৈধ কাজ করা বা ঘুমানোও জায়েয, তবে উত্তম হলো দ্রুত ফরজ গোসল আদায় করা।
৪. চার রাকাত নামাজের প্রথম বৈঠকে ভুল করে দরুদ পড়লে করণীয় কী?
হানাফি মাযহাব অনুযায়ী, তাশাহহুদের পর যদি কেউ ভুলবশত দরুদ শুরু করে ফেলেন, তবে *সিজদায়ে সাহু* (ভুল সংশোধনের সিজদা) দিয়ে নামাজ পূর্ণ করবেন।
৫. টাখনুর নিচে কাপড় পরা জায়েয কি?
টাখনুর নিচে ইচ্ছাকৃতভাবে কাপড় পরা ইসলামে নিরুৎসাহিত। হাদিস অনুযায়ী, অহংকারের জন্য টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলানো হারাম। তবে যদি পাজামা বা ইউনিফর্মজাতীয় পোশাক অনিচ্ছাকৃতভাবে নিচে চলে আসে, তাহলে তা মাফযোগ্য।
৬. সফরের নিয়ত থাকলেও পুরো নামাজ পড়লে হবে কি?
সফরকালীন (৮৮ কিমি বা তার বেশি ভ্রমণে) কসর নামাজ (দুই রাকাত) পড়ার রুকসত বা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তা না মেনে চার রাকাত পড়লে নামাজ আদায় হয়ে গেলেও, তা শরীয়তের বিধান লঙ্ঘনের শামিল।
৭. স্বামী-স্ত্রী একসাথে নামাজ পড়লে একামত কে দিবে?
স্বামী যদি ইমামতি করেন, তবে তিনিই একামত দেবেন। স্ত্রী একামত দিবেন না। তবে একসাথে জামাতে নামাজ পড়া জায়েয।
৮. খাবার খাওয়ার সময় মাথায় কাপড় ঢাকার বিধান আছে কি?
কোরআন-হাদিসে খাবারের সময় মাথায় টুপি বা ওড়না থাকা বাধ্যতামূলক বলে কোনো নির্দেশ নেই। এটি ঐচ্ছিক বিষয়।
৯. ওযু ছাড়া হাদিস শরীফ পড়া যাবে কি?
হ্যাঁ, ওযু ছাড়া হাদিস পড়া জায়েয। ইসলামিক বই পড়তেও ওযু আবশ্যক নয়। তবে কোরআন শরীফ স্পর্শ করতে হলে ওযু থাকা জরুরি।
১০. মোবাইলে অশ্লীল ছবি রেখে নামাজ পড়লে নামাজ হবে কি?
যদি কেউ মোবাইলে অশ্লীল ছবি রেখে নামাজ পড়েন, তবে নামাজ শুদ্ধ হলেও এটি খুবই অনুচিত। হারাম বিষয় সঙ্গে নিয়ে নামাজে দাঁড়ানো মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। তাই মোবাইল থেকে এসব ছবি মুছে ফেলা উচিত।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- কপালে কালো দাগ হওয়া কিসের লক্ষণ
- সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০ আমিরাতি ভাড়াটে সেনা
- দাসী রেখে সহবাস: ইসলাম কী বলে
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- নতুন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসছে আওয়ামী লীগ
- হাত-পায়ের এই ৭ লক্ষণ কিডনি নষ্টের ইঙ্গিত
- তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা বাদ আনিসার
- বাংলাদেশ বনাম কোরিয়া, লাইভ দেখবেন যেভাবে
- আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মমতা
- ৮০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৯০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারল বাংলাদেশ
- সিজারে সন্তান নিলে কি জান্নাত মিলবে না
- ৯০ বছর ধরে হাতুড়ির বদলে গ্রেনেড ব্যবহার!
- স্টোকের এক মাস আগে শরীর যে ৫ লক্ষণ দেখায়