কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্মীয় বিধি-বিধান নিয়ে মুসলিম সমাজে অনেক সময়ই নানা প্রশ্ন উঠে আসে। এ বিষয়ে আলেমদের ব্যাখ্যা ও কোরআন-হাদিসভিত্তিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হলো।
প্রথম প্রশ্ন ছিল, কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কি গুনাহ হয়? ইসলামী বিধান অনুযায়ী, সাধারণভাবে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ এতে প্রস্রাবের ছিটে কাপড় বা শরীরে লাগার আশঙ্কা থাকে, যা পবিত্রতা রক্ষায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। রাসূল (সা.) কবরের আযাবের একটি বড় কারণ হিসেবে প্রস্রাবে অযত্নকে চিহ্নিত করেছেন। যদিও নির্দিষ্ট কিছু হাদিসে বিশেষ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার অনুমতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় বসেই প্রস্রাব করা উত্তম। তবে কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার অনুমতি ইসলাম দেয়নি।
আরেকটি প্রশ্ন ছিল নামাজরত অবস্থায় নারীদের চুল খোলা রাখা যাবে কিনা। ইসলামী বিধান অনুযায়ী, নারীরা নামাজের সময় চুল খোলা রাখতে পারেন, তবে তা অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে। চুল যদি ঢেকে থাকে এবং নামাজে মনোযোগের ব্যাঘাত না ঘটে, তাহলে খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে রুকু ও সেজদায় ঝামেলা হলে চুল বেঁধে রাখা উত্তম।
ভাইয়ের সামনে নারীদের পর্দার বিষয়ে বলা হয়, যেহেতু ভাই মাহরাম, তাই বোন তার চেহারা, মাথার চুল, গলা, হাত ও পায়ের গোড়ালি খোলা রাখতে পারেন। তবে শরীরচাপা, অশালীন বা আধুনিক শর্ট পোশাক পরে ভাইয়ের সামনেও থাকা জায়েজ নয়। ইসলাম সব সময় শালীনতা ও সম্মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়।
পুরাতন বা ছেঁড়া কোরআনের কপির বিষয়ে ইসলামী বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন কপিগুলোকে পরিপূর্ণ সম্মানের সাথে মাটিতে পুঁতে রাখা উচিত, যেখানে কেউ হেঁটে চলাচল করে না। কেউ কেউ প্রয়োজনে পুড়িয়ে ফেলারও অনুমতি দিয়েছেন, যেটির প্রমাণ পাওয়া যায় সাহাবিদের যুগের ঘটনা থেকে। তবে প্রতিবাদের ভাষায় কোরআন পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গোসলের পানির ছিটা গায়ে পড়লে তা নাপাক হয় কিনা, এ বিষয়ে জানানো হয়—যদি শরীরে দৃশ্যমান কোনো নাপাক বস্তু না থাকে, তাহলে গোসলের ছিটা লাগলেও শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না। তবে যদি শরীরে কোনো অপবিত্রতা থেকে থাকে এবং সেই জায়গায় ছিটা পড়ে তা অন্য কারও গায়ে লাগে, তাহলে সেই অংশ ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরেকটি প্রশ্ন ছিল, কোনো পশু দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা যাওয়ার পথে থাকলে তাকে জবাই করলে খাওয়া যাবে কি না। উত্তর হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত পশু জীবিত থাকে এবং শরিয়ত অনুযায়ী জবাই করা হয়, ততক্ষণ তা খাওয়া জায়েজ। কেবল প্রাণ বের হয়ে যাওয়ার পর জবাই করলে তা খাওয়া হারাম।
এছাড়াও কেউ জানতে চেয়েছিলেন, স্ত্রীর শ্বশুরকে ‘আব্বা’ বলা যাবে কি না এবং পর্দার বিধান কী। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, শ্বশুর মাহরাম হওয়ায় তার সামনে পর্দার বাধ্যবাধকতা নেই এবং ‘আব্বা’ বলা পুরোপুরি বৈধ।
এই প্রশ্নোত্তরগুলো ইসলামী বিধান ও হাদিসের ভিত্তিতে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মুসলিম সমাজে এসব বিষয়ে সচেতনতা ও স্পষ্টতা থাকা জরুরি, যাতে কেউ অজান্তে ভুল পথে না চলে যায়।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- ট্রাম্পের হুমকির পর অবিশ্বাস্য এক ঘোষণা দিলেন খামেনি
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- এবার ইসরায়েল খালি করার নির্দেশ