দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা, নতুন সরকার গঠনের ইঙ্গিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও শুরু হয়েছে চরম অস্থিরতা। সর্বত্র জোরালোভাবে ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন। একই সঙ্গে আলোচনায় এসেছে নতুন একটি সরকার গঠনের সম্ভাবনা। তবে আসল প্রশ্ন হলো—ড. ইউনূস কি সত্যিই পদত্যাগ করছেন? গঠিত হতে যাচ্ছে কি নতুন কোনো সরকার?
আন্দোলনের ঢেউ ও রাজনৈতিক সমীকরণের পরিবর্তন
গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর পাল্টে যায় দেশের রাজনীতির চিত্র। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করলে, সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দেয়। তখনই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়, যারা নির্বাচনের আগে ন্যায়বিচার ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়। ইতোমধ্যে এই সরকারের ১০ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যেই সরকার একের পর এক আন্দোলন, দাবি ও রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে। প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে রাজধানীর রাজপথ গর্জে উঠছে। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনামুখে’ প্রায় নিয়মিতই আয়োজন করা হচ্ছে লং মার্চ ও বিক্ষোভ।
রাজনীতিতে বিভাজন ও চাপ
শুধু সাধারণ আন্দোলনই নয়, জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যেও এখন দ্বন্দ্ব স্পষ্ট। ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দলগুলোর ভেতরেই শুরু হয়েছে মতপার্থক্য। এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—ড. মুহাম্মদ ইউনূস হয়তো আর চাপ সইতে পারছেন না। সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যদি কাজ করতে না পারি, তাহলে থেকে কী লাভ?
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকের এক অনির্ধারিত অংশে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ড. ইউনূস স্পষ্ট ভাষায় জানান, তিনি পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
রাজনৈতিক জটিলতা ও শঙ্কার পর্দা
বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম ড. ইউনূসের সঙ্গে যমুনামুখে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূস সত্যিই পদত্যাগ নিয়ে ভাবছেন। তবে আমরা তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছি।
এদিকে, বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাব, প্রতিদিনের সড়ক অবরোধ, আন্দোলন, প্রশাসনিক অসহযোগিতা এবং সংস্কার কার্যক্রমে অগ্রগতির ঘাটতির বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে। এসবের কারণেই ড. ইউনূস দায়িত্ব চালিয়ে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা
প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষোভের এক পর্যায়ে ড. ইউনূস নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আহ্বানও জানান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করাই কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি ব্যালট ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে, যা প্রতিরোধে প্রশাসন কতটা সক্ষম তা নিয়েও তার সন্দেহ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভালো নির্বাচন না হলে জনগণ আমাকেই দায়ী করবে।
এই মুহূর্তে প্রশ্ন শুধু একটাই—ড. ইউনূস কি সত্যিই দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন? আর তার পদত্যাগে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন কী ঘটবে?
আরিফ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- এই ৪টি আলামত থাকলে বুঝে নিন — আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন!
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১-৩ লক্ষ টাকা রাখলে মাসিক কত লাভ পাবেন
- ৭টি অভ্যাস আপনাকে কখনোই ধনী হতে দেবে না!
- বাংলাদেশের হার, এশিয়াকাপের কোন সমীকরণে বাংলাদেশ
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার