 
                    সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
পশ্চিমবঙ্গ থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিতাড়নের ঘোষণা মমতার
 
								নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ যেন হঠাৎ করেই চড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতার এক জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন দিল্লির দিকে, নাম না করে ইঙ্গিত করেছেন বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতাদের দিকে।
মমতা সরাসরি কারও নাম না নিলেও তার বক্তব্যের সারমর্ম ছিল স্পষ্ট। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আর সেই খুনি শাসকরাই এখন আমাদের রাজ্যে এসে বসে আছে। এটা কেমন কথা?” তার এই মন্তব্যের পর কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।
মমতার কঠোর বার্তা
হলুদ শাড়ি ও সাদা চপ্পল পরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি কারও নাম নিইনি। কিন্তু সবাই জানে কে বা কারা এসেছে। দিল্লির নির্দেশে কিছু লোক এখন পশ্চিমবঙ্গে সরকারি অতিথির মর্যাদা পাচ্ছে। কিন্তু আমি বলে দিচ্ছি, বাংলা কখনো খুনিদের আশ্রয়স্থল হবে না।"
তার এই কথায় জনতা বুঝে যায়, তার ইঙ্গিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের দিকে। সাম্প্রতিক জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো, বিরোধী নেতাদের গুম করা এবং বাকস্বাধীনতা দমনের অভিযোগ ওঠায় শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের আশ্রয় দিলে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কলকাতার বিভিন্ন হোটেল ও অতিথিশালায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা অবস্থান করছেন বলে খবর রয়েছে। ভারতীয় টেলিভিশনেও তাদের বক্তব্য প্রচার হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।
রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতার এই প্রতিবাদ কেবল একটি নৈতিক অবস্থান নয়, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে এক প্রকার বিদ্রোহ। যেখানে দিল্লি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য আনার নামে বিতাড়িত শাসকদের আশ্রয় দিচ্ছে, সেখানে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তাদের জায়গা হবে না।
একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার মন্তব্য করেছেন, "এটা নিছক আশ্রয় নয়, এটা এক ধরনের ভূরাজনৈতিক খেলা। দিল্লি চাইছে বাংলাদেশে তাদের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে, আর সেই খেলায় পশ্চিমবঙ্গকে ব্যবহার করছে। মমতা সেটা ঠেকাতে চাইছেন।"
পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তাদের প্রশ্ন, কেন ভারতের মাটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত একজন নেত্রীকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? এটি কি কূটনৈতিক সৌজন্যতা নাকি আন্তর্জাতিক রাজনীতির কোনো গোপন চুক্তি?
শেষ পর্যন্ত এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়, তা সময়ই বলে দেবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কঠোর ঘোষণা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের মাটি লুটেরা, খুনি এবং স্বৈরাচারীদের আশ্রয়স্থল হবে না। এই ঘটনা দুই বাংলার রাজনীতিতে এক নতুন রাজনৈতিক তরঙ্গের সূচনা করতে পারে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
- সোনার রেকর্ড পতন, এক সপ্তাহে ভরিতে কমলো ২৪ হাজার টাকা
- ঈদ বোনাস দ্বিগুণ, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকার বড় প্রস্তাব

 গুগল নিউজ ফলো করুন
        গুগল নিউজ ফলো করুন
     
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
                     
                     
                    