৭ ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ কি না, ইসলাম কী বলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির সময় একটি সাধারণ প্রশ্ন উঠে আসে—গরু বা উটের ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়া কি ইসলামে বৈধ? কেউ বলেন জায়েজ, কেউ বলেন নয়। এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিধা তৈরি হয়। তবে আসলেই ইসলাম কী বলে?
বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ ইসলামি স্কলার ও আলেমদের মতে, গরু বা উটকে সর্বোচ্চ সাতজন ভাগ করে কোরবানি দেওয়া ইসলামসম্মত এবং জায়েজ। হাদিস দ্বারা এ ব্যাপারে প্রমাণ রয়েছে এবং যুগে যুগে ওলামায়ে কেরাম এই মতেই একমত হয়েছেন।
তবে কিছু আলেমের ভিন্নমত রয়েছে, যারা বলেন—যতো বড় পশুই হোক, একজনের পক্ষ থেকেই কোরবানি হওয়া উচিত। তবে বিশিষ্ট আলেমদের মতে, তাদের এ যুক্তি দুর্বল এবং হাদিসের আলোকে গ্রহণযোগ্য নয়।
সঠিকভাবে ভাগ নেওয়ার শর্ত
একটি গরুতে সাতজন ভাগ নিতে চাইলে সবার নিয়ত হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কেউ যদি শুধু গোশত খাওয়ার জন্য, লোক দেখানোর জন্য বা তার আয় যদি সম্পূর্ণ হারাম হয়—তাহলে সেই কোরবানির পশু কারো পক্ষ থেকেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্য অংশীদার নির্বাচনে সচেতনতা জরুরি।
যার আয় হালাল এবং নিয়ত সঠিক, তাকেই শরিক করা উচিত।
একা কোরবানি দিলে কি উত্তম?
যদি কারো সামর্থ্য থাকে, তাহলে একাই একটি পশু কোরবানি দেওয়া উত্তম। এতে নিয়তের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে এবং সাওয়াবও বেশি হয়।
মৃত ব্যক্তির নামে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?
যৌথভাবে মৃত এবং জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও মতপার্থক্যহীন পদ্ধতি। শুধু মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে আলাদা কোরবানি দেওয়ার বিষয়ে মতভেদ রয়েছে, তাই এতে সতর্কতা অবলম্বন করাই ভালো।
এক ভাগে কয়েকজন মিলে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?
না, একটি কোরবানির এক ভাগে একাধিক ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন না। যেমন, এক ভাগে দুই বা তিনজন টাকা দিয়ে ভাগ নিলে কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না। বিশেষ করে প্রবাসীদের মধ্যে এ ভুল বেশি দেখা যায়।
সঠিক উপায় হলো—সবাই মিলে একজনকে মালিক বানিয়ে টাকা দিয়ে পশু কেনা, এবং সেই ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে কোরবানি করা। এতে অন্যরাও সাওয়াবের অংশীদার হতে পারবেন।
কোরবানি শুধু মায়ের বা স্ত্রীর খুশির জন্য?
কারো খুশি করতে গিয়ে কোরবানির নিয়ত নষ্ট করা ইসলাম মতে রিয়া বা লোক দেখানো কাজ, যা শিরকে আসগারের অন্তর্ভুক্ত। কোরবানি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হতে হবে। মা, বাবা, স্ত্রী বা আত্মীয়কে খুশি করতে গিয়ে নিয়ত পরিবর্তন করা উচিত নয়।
কোরবানি কোনো সামাজিক ইভেন্ট নয়, এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একটি বড় ইবাদত। তাই হালাল উপার্জন, বিশুদ্ধ নিয়ত এবং শরিয়াহ অনুযায়ী কোরবানি করাই প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। সমাজ, আত্মীয়স্বজন বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নয়—আল্লাহই হোক কোরবানির একমাত্র উদ্দেশ্য।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- দেশের বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মহার্ঘ ঘোষণা
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া, দাবি দ্রুত নির্বাচনের
- ভারতের হামলায় কতজন সেনা হারিয়েছে পাকিস্তান
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- এএসপি পলাশকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন তার বোন ও দুলাভাই
- তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আঘাত আনবে বাংলাদেশের যে এলাকায়
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি