হাসিনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল ভারতীয় মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি ভারতের প্রভাবশালী দুটি গণমাধ্যম—সংবাদ প্রতিদিন ও আনন্দবাজার পত্রিকা—শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর সমালোচনায় সরব হয়েছে। এই দুই দৈনিক দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের জন্য পরিচিত হলেও, এবার তারা যেন এক সুরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চলমান অচলাবস্থার জন্য দেশের জনগণ শেখ হাসিনাকেই দায়ী করছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্নীতি, প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং অদূরদর্শিতার কারণে দেশে এক ধরনের জঞ্জাল তৈরি হয়েছে, যা এখন মুছে ফেলা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়, “মেয়েটার জন্য কলঙ্কিত হলেন বাবা”, যা সরাসরি শেখ হাসিনার বাবাকে ঘিরে আবেগপ্রবণ মন্তব্য।
অন্যদিকে, আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, আওয়ামী লীগের মধ্যেই একধরনের "পরিচ্ছন্ন" বা ক্লিন ইমেজধারী নেতাদের নিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে এক "রিফাইনড আওয়ামী লীগ" তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও দলটির বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব একে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। আনন্দবাজার দাবি করে, যাদের ‘পরিচ্ছন্ন নেতা’ বলা হচ্ছে, তাদের অনেকেই চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখেন এবং সেই স্বার্থ রক্ষায় তারা এখন দলীয় বিভাজনে অংশ নিচ্ছেন।
ঢাকায় অবস্থানকারী সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিনিধি শীর্ষেন্দু চক্রবর্তী জানান, শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীই এখন প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
এদিকে, আনন্দবাজারের প্রতিনিধি অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি নব্য আওয়ামী লীগ গঠনের চেষ্টা চলছে, যার পেছনে রয়েছেন কিছু বিএনপি ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক ও সেনাসমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এই পরিকল্পনাকে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ‘দল ধ্বংসের ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে।
উভয় পত্রিকা বাংলাদেশের বিদেশনীতি ও প্রতিবেশী সম্পর্ক নিয়েও মন্তব্য করেছে। সংবাদ প্রতিদিন বলেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জন্য শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দায়ী। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বাংলাদেশ ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানের সাথেও সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। এর বিপরীতে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, তিনি সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী।
আনন্দবাজার যদিও সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে কিছু না বললেও, সংবাদ প্রতিদিন দাবি করেছে, আওয়ামী লীগ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থির করতে চেয়েছিল। তবে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান এবং বর্তমান সরকারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এধরনের ধারাবাহিক রিপোর্টিং এবং কড়া সম্পাদকীয় প্রকাশের মাধ্যমে ভারতের মিডিয়া হয়তো স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে—বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা আর শেখ হাসিনার পক্ষে নেই।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দেশের উন্নতিতে মানবিকতা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব: সেনাপ্রধান
- পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে ৪টি খাবার: জেনে নিন কী খাবেন!
- দুবাইতে চুরি: ৫ প্রবাসীর যাবজ্জীবন ভিসা বাতিল ও কারাদণ্ড
- উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার আগে রহস্যময় ফেসবুক পোস্ট: নেপথ্যে আন্তর্জাতিক অনলাইন প্রতারক চক্র
- দুই বিভাগে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস: সারাদেশে বর্ষণ অব্যাহত থাকবে
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- নামাজের অবস্থায় বায়ু ত্যাগে ওযু নষ্ট হলে করণীয়
- সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেটের বড় লাফ
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- ৮ বিভাগে ৮ দিনে জাতীয় নির্বাচন, যা জানা গেল
- সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: শ্রীলঙ্কাকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে বাংলাদেশের দাপুটে জয়!
- পাকিস্তানের বিপক্ষে ২য় টি টোয়েন্টিতে পালটে যাচ্ছে বাংলাদেশের একাদশ, দেখে নিন ম্যাচ সময়
- মাইলস্টোন কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত ৩২, আহত ১৬৫ জন
- রাশিয়ায় অর্ধশত আরোহী নিয়ে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত
- টানা বৃদ্ধির পর কমলো সোনার দাম: প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১৫৭৪ টাকা হ্রাস