| ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

হাসিনাকে 'ফেরাতে' বাংলাদেশের চিঠি 'ঠেকাতে' কতদূরে যাবে ভার

২০২৫ মার্চ ০৬ ২২:৫৩:১১
হাসিনাকে 'ফেরাতে' বাংলাদেশের চিঠি 'ঠেকাতে' কতদূরে যাবে ভার

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ভারত সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে ভারতের সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে রাজি হবে, অথবা তারা কতদূর যেতে প্রস্তুত, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় আড়াই মাস আগে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায়, যাতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। চিঠির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতকে আহ্বান জানানো হয়েছে, তবে ভারত এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্দী বিনিময় চুক্তি থাকলেও, এক্সপ্রেডিশন ট্রিটি বা বহিঃসমর্পণ চুক্তির মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে এই ধরনের মামলার আসামি একে অপরকে ফেরত পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এ চুক্তির আওতায়, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আবেদন করা হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতীয় সংবাদপত্র *হিন্দুস্থান টাইমস* জানায়, ভারত সরকার চিঠির প্রাপ্তি নিশ্চিত করলেও, কোনো আনুষ্ঠানিক সাড়া দেয়নি।

ভারত আগে বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া ও নারায়ণগঞ্জের সাতখুন হত্যা মামলার আসামী নূর হোসেনকে ফেরত পাঠিয়েছিল। তবে, বর্তমানে এমন চিঠির প্রতি ভারতের মনোভাবের কোন সাড়া না দেওয়ায়, প্রশ্ন উঠছে— ভারত কি চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে?

বিবিসি বাংলার বিশ্লেষণী প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু শেখ হাসিনাকে বিপদের মুখে ফেলবে না বলে মনে করে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ভারত কখনই শেখ হাসিনাকে বিপদে ফেলবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত কোনো রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীকে তাদের দেশে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর নীতি অনুসরণ করে না।

এছাড়া, পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর মতে, যদি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দাখিল করা মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে, তবে ভারত সেই আবেদন খারিজ করতে পারে।

ভারত আসলে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক রাখতে নীরব ভূমিকা পালন করছে, এটি স্পষ্ট হয় যখন শেখ হাসিনাকে ভারতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষত আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ছাড়া শেখ হাসিনা আর কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাচ্ছেন না, যা তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতের সতর্কতা প্রদর্শন করে।

লন্ডন ভিত্তিক লেখক ও বাংলাদেশ গবেষক প্রিয়জিত দেব সরকার মনে করেন, শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদীদের প্রধান লক্ষ্য হওয়ায়, ভারত তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপোস করবে না। সাত মাস ধরে শেখ হাসিনার সঠিক অবস্থান গোপন রাখা ভারতের এক বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী, ভারতের পক্ষে শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসন করা সম্ভব নয়, এমন মন্তব্য করেছেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রী রাধা দত্ত।

এখন দেখার বিষয়, ভারত কত দূর যাবে এবং এই কূটনৈতিক সংঘর্ষের পরিণতি কী হয়।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার

অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টানা হার, ব্যাটিং-বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব এবং দলে ...

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত অধ্যায়গুলোর একটি—তামিম ইকবালের হঠাৎ আন্তর্জাতিক অবসর। ...

ফুটবল

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে ঠিক এক বছর পর শুরু হবে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের ...

আর্জেন্টিনার ড্র, ব্রাজিলের জয় উল্টে গেল পয়েন্ট টেবিল

আর্জেন্টিনার ড্র, ব্রাজিলের জয় উল্টে গেল পয়েন্ট টেবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক; ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব এখন রীতিমতো রোমাঞ্চকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। ...