| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

কাশ্মীর দখল করতে ভারতের মাস্টার প্লান

বিশ্ব ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মার্চ ০৬ ২২:১১:৫৩
কাশ্মীর দখল করতে ভারতের মাস্টার প্লান

নিজস্ব প্রতিবেদক; দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর। এই অঞ্চলের মোট ভূখণ্ডের ৪৩ শতাংশ ভারতের, ৩৭ শতাংশ পাকিস্তানের এবং বাকি ২০ শতাংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অংশ দখল করতে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারত।

ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের মাধ্যমে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর এবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দখল নিয়ে কাজ করছে দিল্লি। সম্প্রতি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর এক সাক্ষাৎকারে জানান, ভারতের পরবর্তী লক্ষ্য হল পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরের অংশকে তাদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা।

বুধবার, ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিংট্যাং চ্যাথান হাউসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শংকর বলেন, ভারত ধাপে ধাপে কাশ্মীর ইস্যু সমাধান করছে এবং ইতোমধ্যে তাদের লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, প্রথম ধাপে ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এবং তৃতীয় ধাপে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ব্যাপক ভোটার অংশগ্রহণ করেছে।

চতুর্থ ধাপে ভারতের লক্ষ্য হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের পাকিস্তান অধিকৃত অংশকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। জয়শংকর বলেন, ভারত ওই ভূখণ্ড উদ্ধার করবে যা পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। তিনি আরো জানান, এটি অর্জিত হলে কাশ্মীর ইস্যু হিসেবে আর কোনো সংকট থাকবে না।

কাশ্মীর সংকটের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে, যখন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রিটিশরা জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব দেন সেখানকার শেষ শাসক রাজা হরিসিংকে। প্রাথমিকভাবে তিনি স্বাধীন কাশ্মীরের পক্ষেই ছিলেন, তবে পাকিস্তান যখন কাশ্মীর দখলের অভিযান শুরু করে এবং সেনারা শ্রীনগরের কাছে পৌঁছে যায়, তখন আত্মরক্ষার জন্য রাজা হরিসিং ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর পর ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানকে পিছু হটতে বাধ্য করে।

এভাবে, কাশ্মীর তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় — ৪৩ শতাংশ ভারতের, ৩৭ শতাংশ পাকিস্তানের এবং বাকি ২০ শতাংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, যা বর্তমানে শিয়াচেন নামে পরিচিত।

১৯৪৭ সালের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেন, যা সংবিধানের ৩৭০ ধারার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। এই ধারার মাধ্যমে কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ সীমিত ছিল এবং বাইরের কেউ সেখানে জমি কিনতে পারতো না। তবে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বিজেপি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদার করে এবং এখন ভারতের নতুন লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দখল করা।

হাসান/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

মুস্তাফিজকে ধরে রাখতে চায় দিল্লি; যা জানা গেল

মুস্তাফিজকে ধরে রাখতে চায় দিল্লি; যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইপিএলের আসন্ন মিনি নিলামকে সামনে রেখে দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ...

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তাই আজকের ম্যাচটি টাইগারদের জন্য মান বাঁচানোর ...

ফুটবল

রাতে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ: যেভাবে দেখবেন

রাতে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ: যেভাবে দেখবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে প্রস্তুতি নিতে ...

আবারও কমলো সোনার দাম

আবারও কমলো সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিনের ব্যবধানে আবারও দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স ...