বাংলাদেশের ২৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে বড় ধাক্কা!

বাংলাদেশের সাদা পোশাকের ক্রিকেট ইতিহাসে আনন্দের মুহূর্ত কমই এসেছে। বরং, প্রতিনিয়ত ব্যর্থতার গল্প ভেসে এসেছে ক্রিকেট মাঠে। তবে, মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডকে হারানো, পাকিস্তানকে টেস্টে হোয়াইট ওয়াশ করা, এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জয় পাওয়া এই তিনটি সাফল্য বাংলাদেশের জন্য একান্ত বড় অর্জন।
তিন বছরে বাংলাদেশ ১১টি সিরিজ এবং দুটি একক টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু, এর মধ্যে শুধুমাত্র তিনটি সাফল্য ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো উল্লেখযোগ্য অর্জন নেই। বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, ২৫ বছর পরেও বাংলাদেশের টেস্ট র্যাঙ্কিং রয়েছে ৯ নম্বরে। এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইসিসির চেয়ারম্যান পদে জয় শাহের নেতৃত্বে দুর্বল দেশগুলোকে এলিট ফরমেট থেকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সালের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মৌসুম থেকে দ্বিস্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট চালু করার প্রস্তাব চলছে। এই নতুন কাঠামোয় শীর্ষ সাতটি দেশ থাকবে টায়ার ওয়ানে, আর তলানির পাঁচটি দেশ থাকবে টায়ার টু-তে। এর ফলে, বাংলাদেশের অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই হবে টায়ার টু-তে।
এমন একটি নীতির ফলে, টায়ার ওয়ানে থাকা দেশগুলো যেমন অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ড নিজেদের মধ্যে আরো বেশি সিরিজ খেলবে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী দুই বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অ্যাশেস সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু নতুন প্রস্তাবে এই সিরিজটি ১৮ মাস পর হবে।
তবে, সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক গ্র্যাম স্মিথ এই প্রস্তাবের কিছু সংশোধনের কথা বলেছেন। তিনি পিটিআইকে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং ইংল্যান্ড নিজেদের মধ্যে যে পরিমাণ টেস্ট সিরিজ খেলবে, তা যদি ছয় থেকে সাতটি দেশের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা যায়, তাহলে টেস্ট ক্রিকেট আরো শক্তিশালী হবে। তিনি ভারতের নাম টেনে প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে, ভারতের সাহায্যে এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) এবং শিডিউলিং মডেল সুষ্ঠু হতে সহায়ক হয়েছে, কারণ তারা বিশ্বব্যাপী সফর করে এবং এর মুনাফা অন্যান্য দেশের মধ্যে বণ্টিত হয়।
তবে, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড যদি শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যেই খেলতে সীমাবদ্ধ থাকে এবং আফ্রিকান বা অন্যান্য দেশের সাথে সিরিজ না খেলতে থাকে, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতিতে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। বর্তমানে, অর্থের প্রবাহ এবং খরচ বৃদ্ধির কারণে টেস্ট ক্রিকেট চাপে রয়েছে, তাই এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে হলে একটি টেকসই মডেল গঠন করা প্রয়োজন।
এমনই মনে করেন গ্র্যাম স্মিথ, যে শুধু তিনি নয়, জুনে আসন্ন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও সাউথ আফ্রিকা যদি অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারে, তবে বিগ থ্রির পাশাপাশি তারা নিজেদের গুরুত্ব আরও একবার আইসিসিতে প্রমাণ করতে সক্ষম হবে। তবে, এসবের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য কোনো লাভের সম্ভাবনা নেই, এবং তাদের অবস্থান আরো সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য