বাংলাদেশ, ভারত নাকি পাকিস্তান: কোথায় হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি!বিস্তারিত
-1200x800.jpg)
২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে চলছে নানা অনিশ্চয়তা। ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে কোনো বড় আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা থাকলেও, ভারত-পাকিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সেই পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
হাইব্রিড মডেল নিয়ে দ্বন্দ্ব
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তানে খেলতে রাজি নয়। তাদের প্রস্তাব, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হোক। এতে ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে (যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত) অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।
পিসিবি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা স্বাগতিক দেশের পূর্ণ মর্যাদা চায় এবং প্রতিযোগিতার সব ম্যাচ পাকিস্তানের মাটিতেই হবে। এমনকি তারা সতর্ক করে বলেছে, যদি ভারত দল না আসে, তবে ভবিষ্যতে পাকিস্তানও ভারতের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না।
আইসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে ২৯ নভেম্বর আইসিসি একটি বৈঠকে বসবে। সেখানে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা আনতে আইসিসি পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেলে রাজি করানোর জন্য ৫৯১ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করছে। তবে পিসিবি তাতেও সম্মত না হলে, প্রতিযোগিতা অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার বিকল্প পরিকল্পনা করছে আইসিসি।
পাকিস্তানে আয়োজনের চ্যালেঞ্জ
পাকিস্তানে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার শুরু হলেও, নিরাপত্তার প্রশ্ন রয়ে গেছে। অন্যদিকে, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে। এমনকি বহুদলীয় টুর্নামেন্টেও ভারত কখনো পাকিস্তানে খেলতে যায়নি।
পিসিবির কঠোর অবস্থান
২০২১ সালে আইসিসি পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও পিসিবি তাদের অবস্থানে অটল। তারা কোনো সমঝোতায় যেতে রাজি নয় এবং ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিযোগিতায় অংশ না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে আইসিসির হাতে খুব অল্প সময়। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ ঝুলে আছে। যদি কোনো সমাধান বের না হয়, তবে টুর্নামেন্ট পাকিস্তানের বদলে অন্য কোথাও আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্রিকেটের এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা এবং ভারত-পাকিস্তানের লড়াই দেখার অপেক্ষায় থাকা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা এই উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!