বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে একেবারেই বাদ পড়লেন সাকিব

সাকিব আল হাসানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি অনেক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, বিশেষত টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে। নিজেই তিনি জানিয়েছেন, কানপুরে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা টেস্টটি হয়তো তাঁর শেষ টেস্ট হতে পারে। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা থাকলেও, নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে তিনি মিরপুরে সেই ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি। এর ফলে, কানপুর টেস্টই হয়তো তাঁর আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে, যদিও তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেননি।
এদিকে, সাকিবের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ২০২৪ বিশ্বকাপে খেলা ম্যাচটি তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি হতে পারে। যদি বিসিবি তাঁকে আর টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত না করে, তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের এখানে সমাপ্তি ঘটবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, সাকিবের ওয়ানডে ক্যারিয়ারই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, এবং তিনি আশা করছেন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সাকিব কি আদৌ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবেন? দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা পূরণ না হওয়ায়, তাঁর ওয়ানডে বিদায়টিও অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিসিবি যদি মনে করে যে সাকিবকে বাদ দিলে দল গঠনে সুবিধা হবে, তাহলে আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে তাঁকে না খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যে বিসিবি কি সত্যিই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারকে বাধ্যতামূলক অবসরের দিকে ঠেলে দিতে চায়?
বিসিবির নির্বাচকরা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সাকিবকে দলে রাখা হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত বোর্ডের। যদি সাকিবকে ওয়ানডে দলে স্থান না দেওয়া হয়, তবে তা নির্দেশ করবে যে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অঘোষিতভাবে শেষ হয়ে গেছে। এরপর তাঁকে শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দেখা যাবে। অথচ সাকিব নিজে এখনও ঘোষণা দেননি যে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা হতে পারে তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
যদি বিসিবি তাঁকে সেই সুযোগ না দেয়, তবে সাকিবের মতো একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের বিদায়টি বিতর্কিত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক খেলোয়াড়ই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেননি, আর সাকিবের মতো একজন বড় তারকার ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বর্তমান বোর্ডেরও এর পেছনে দায় থাকতে পারে, যদি তারা সাকিবকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সঠিকভাবে বিদায় জানাতে ব্যর্থ হয়।
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ এখন পুরোপুরি বিসিবির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। যদি তাঁকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার সুযোগ না দেওয়া হয়, তবে ১৭ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারটি অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি অসম্পূর্ণতার প্রতীক হয়ে থাকবে।
এখন সবার নজর বিসিবির দিকে, কারণ সাকিবের মতো একজন কিংবদন্তির সঠিক বিদায় জানানোর সুযোগ হারানো বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি বড় ক্ষতি হতে পারে। সাকিবের অবদান এবং অর্জনকে সম্মান জানাতে, ক্রিকেট প্রেমীরা এখন আশায় রয়েছেন যে তিনি অন্তত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবেন।
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- অনড় জামায়াত-বিএনপি-এনসিপি: সেনাপ্রধানের শঙ্কা বাস্তব রূপ নিচ্ছে
- কমে গেল পেঁয়াজের দাম
- রাজনীতিতে উত্তেজনা, সেনাপ্রধানের শঙ্কা সত্যি হচ্ছে
- যেসব রোগের জন্য ডাবের পানি বিষের সমান
- শিক্ষক ভাতা বাড়ছে ১৫০০ টাকা, তবু অসন্তোষ
- বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট (১৮ আগস্ট)
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, রাজনীতিতে তোলপাড়
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম
- এই ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনিতে ক্যান্সার হয়েছে
- পেছালো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং বন্ধ, মিলবে শুধু ডিজিটাল
- বিয়ে কি আল্লাহর পক্ষ থেকে আগেই নির্ধারিত
- বন্যার পূর্বাভাস: রোববার ৮ জেলা প্লাবিত হতে পারে
- অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখেছেন জাবেদ পাটোয়ারী: নতুন তথ্য
- আজকের স্বর্ণের দাম: ভরিতে কমেছে ১,০০০ টাকা