৭ মাসে মাত্র এক ফিফটি করে যেভাবে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক শান্ত

নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই; কিন্তু তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সত্যিই অপমানজনক ও বিব্রতকর। সাত মাসে মাত্র একটি ফিফটি—এটা কীভাবে একজন অধিনায়কের সাফল্য বলা যায়?
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামে, তখন খেলার ফলাফল যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হতে থাকে। আমাদের দাবি হলো, "শান্তর নেতৃত্বে আমরা ছয় উইকেটের জয় পেয়েছি," কিন্তু আসলে এই জয় এসেছে ২৬ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর। সাত মাসের নয় দিনে, শান্ত ৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিন ফরম্যাটে ৫০.০১ গড়ে রান করেছেন, কিন্তু ৩২ ইনিংসে গড় মাত্র ১.১৫—এটা সত্যিই হতাশার।
এটা থেকে অপমানজনক কিছু হতে পারে না। এমনকি মেয়েদের ক্রিকেট দলও সাত নম্বরে ব্যাটিং করে প্রত্যেকবার লজ্জা দিচ্ছে। কারণ, বাকিরা যে চাপের মধ্যে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হচ্ছে, শান্ত সেই চাপ সামাল দিতে পারছেন না।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এভাবে কতদিন চলবে? অনেককে আমরা দেখতে চাই না, কিন্তু তাঁদের দেখতেই হচ্ছে। এটাই আমাদের বর্তমান ক্রিকেটের বাস্তবতা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা এখন অত্যন্ত জরুরি। রাওয়ালপিন্ডিতে যখন বাংলাদেশ ভালো খেলেছিল, তখন ৭৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ হয়েছিল লিটন ও মিরাজের মধ্যে। ছাব্বিশে ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও আমরা আশা করছিলাম, কিন্তু ১১২ রানে ছয় উইকেট হারানো একটি বড় ধাক্কা।
এটা সত্যি যে, বাংলাদেশকে টেস্ট ক্রিকেটে কেন সাত বা আট নম্বর ব্যাটসম্যানের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে? আমাদের জয়গুলো প্রায়শই শেষ উইকেট পার্টনারশিপে নির্ভর করে। মিরাজ ও মুস্তাফিজের মতো খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে।
যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটের খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা না করে, তাহলে ভবিষ্যৎ কী? বাংলাদেশের দলের গত ৩৪ টেস্টে ভালো খেলার পরও, শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এখন সময় এসেছে খুঁজে বের করার, কেন আমাদের একজন অধিনায়ক হিসেবে শান্তর প্রতি সমর্থন না থাকার ঘটনা ঘটছে। আমরা সবাই চাই, আমাদের দলের সফলতা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শান্ত কি সেই নেতৃত্ব দিতে পারছেন?
শান্তর সঙ্গে লড়াই করার কিছু নেই; কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তার নেতৃত্বে। যদি আমরা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হতে থাকি, তাহলে আমাদের কাছে নতুন পরিকল্পনা ও নতুন অধিনায়কত্বের প্রয়োজন হবে।
একইসাথে, খেলোয়াড়দের সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাও জরুরি। কারণ, ক্রিকেট শুধুই সংখ্যা বা স্ট্যাটিস্টিক্সের খেলা নয়; এটি মানসিকতা, দৃঢ়তা এবং একটি দলের একতাবদ্ধতার বিষয়। বাংলাদেশ দল যদি এই মানসিকতা অর্জন করতে পারে, তাহলে একদিন আমরা সফলতার নতুন ইতিহাস লিখতে পারব।
আমাদের ক্রিকেটের মাটি থেকে নতুন কিছু আশা করতে হবে, এবং এজন্য আমাদের সঠিক নেতৃত্ব ও সামর্থ্য প্রয়োজন। আমরা চাই, শান্ত তাঁর দায়িত্ব পালন করে দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, বরং নতুন উদ্যমে মাঠে নামুক। কারণ, ক্রিকেটের মাঠে যে সমর্থন, বিশ্বাস এবং সাহসের প্রয়োজন, তা আমাদের টিমকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া