হৃদয়ের কারনেই বাদ পড়লো খুলনা!

তাওহীদ হৃদয় ম্যাচের পরে আফসোস করতে পারে কেন আগে হারানো খুলনার টাইগাররা বেশি রান করতে পারেনি। খুলনার ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। বল হাতে উইকেটও আছে। ২১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া। খুলনায় আরও কয়েক রান করলে হৃদয় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে পারতেন!
আগের তিন ম্যাচেই রানের স্রোত দেখেছে চট্টগ্রামের সবুজ উইকেট। এই তুলনায় খুলনার ১৬৪ রান নগণ্য, কুমিল্লার তুলনায় যারা তাদের শেষ চার ম্যাচে জয় পেয়েছে। কিন্তু গুণমান বিপরীত চিত্র দেখায়। দ্বিতীয়ার্ধে ওপেনার লিটন দাসকে হারিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা চাপে পড়ে যায়। গতকাল একই মাঠে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬০ রান করা কুমিল্লা অধিনায়ক আজ মাত্র দুই রান বাকি থাকতে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন।
দলকে বিপদে ফেলেউইল জ্যাকস আগের খেলায় সেঞ্চুরিয়ান, ১৮ রান (১০ বল) নিয়ে বিদায় নেন। পাওয়ার প্লের আগে দুই উদ্বোধনী জুটি হারিয়ে ধাক্কায় পড়ে কুমিল্লা। তবে ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়ের দৃঢ়তায় সেই ধাক্কা সামলাতে পেরেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে জনসন চার্লসের সাথে মাত্র ১৮ বলে ৪০ রান করেন বছরের প্রথম বিপিএল সেঞ্চুরিয়ান।
দলীয় ৮৪ রানে নাহিদ রানার বলে মিড অফে অ্যালেক্স হেলসেকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে সাজঘরে ফেরেন চার্লস (৮ বলে ১৩ রান)। উইকেটের পতন ঘটলেও কুমিল্লার রানের গতি কমেনি। তখনো জয় থেকে ৮১ রান দূরে ছিল কুমিল্লা। হাতে ৫১ বল। কিন্তু তাওহীদ হৃদয়ের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে পুরো সময় অপেক্ষা করতে হয়নি।
শুরু থেকেই ঝড় তোলা হৃদয় ফিফটিতে পৌঁছে গেছেন ২৯ বলে, ৪ চার ও ৪ ছক্কায়। শেষ পর্যন্ত লুক উডকে চার মেরে যখন কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করলেন হৃদয়, তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৪৭ বলে ৭ চার আর ৭ ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংস। হৃদয়ের পাশাপাশি জাকের আলীর কথাও বলতে হবে। চতুর্থ উইকেটে ৫৪ বলে ৮৪ রানের জুটিতে হৃদয়ের সঙ্গী জাকের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৪০ রান করে (২ চার ৩ ছক্কা)।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে হারায় খুলনা। আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৬০ রান করা ইংলিশ ব্যাটসম্যান আজ মাত্র ২২ রান করেই ফিরেছেন সাজঘরে। এরপর খুলনার রানের চাকা সচল রাখেন এনামুল ও আফিফ হোসেন। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭ রান যোগ করেন খুলনার স্কোরবোর্ডে। কিন্তু পাঁচ বলের ব্যবধানে আউট দুজনই। এনামুল ১৩ বলে ১৮ রান ও আফিফ ৩৩ বলে ২৯ রান করেছেন।
এরপরই এভিন লুইসের ও মাহমুদুল হাসানের জয়ের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়তে থাকে খুলনার। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে দুজনে মিলে ৩৪ বলে ৫৭ রান তোলেন। দলকে ১২৮ রানে রেখে ম্যাথু ফোর্ডের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন জয় (২৮ রান)। পরের ওভারে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন ২০ বলে ৩৬ রান করা লুইস।
শেষ দিকে বলার মতো রান করেছেন কেবল ওয়েইন পার্নেল। প্রথমবার বিপিএল খেলতে নেমে ১১ বলে ২০ রান করেছেন ৩৪ বছর বয়সী এ প্রোটিয়া তারকা। খুলনার শেষ চার ব্যাটসম্যান মিলে রান করেছেন মাত্র ৬।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- দেশের বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মহার্ঘ ঘোষণা
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া, দাবি দ্রুত নির্বাচনের
- ভারতের হামলায় কতজন সেনা হারিয়েছে পাকিস্তান
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- এএসপি পলাশকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন তার বোন ও দুলাভাই
- তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আঘাত আনবে বাংলাদেশের যে এলাকায়
- কোরবানীর ঈদ কবে, জানা গেল বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ও তারিখ
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল