ভারতীয় দাদাদের চাপে চরম বিপদে পাকিস্তান
সাম্প্রতিক এই বিষয়টি যেন ধীরে ধীরে আরো বড় হতে চলেছে। কোনোভাবেই যেন থামার নামই নিচ্ছে না ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরের এশিয়া কাপ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিলো পাকিস্তানে।
কিন্তু ভারতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পড়শি দেশে দল পাঠানো হবে না। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান কোনো নিরপেক্ষ দেশে এশিয়া কাপ খেলতে আপত্তি নেই ভারতের। কিন্তু পাকিস্তানে দল পাঠানো হবে না ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে দুই দেশের ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের মধ্যে নিয়মিত বাদানুবাদ চলেছে বেশ কয়েক মাস ধরে। কিন্তু মেলে নি কোনো সমাধান।
ভারত বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ক এমনিতেই তলানিতে। দীর্ঘকাল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয় না দুই দল। শেষবার ভারত পাকিস্তান গিয়েছিলো ২০০৮ সালের এশিয়া কাপ খেলতে। সেই বছর’ই ২৬শে নভেম্বর মুম্বই-এর তাজ হোটেল সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জঙ্গী নাশকতার পর আর পাকিস্তানের মাটিতে ভারত-পাক দ্বৈরথ দেখা যায় নি। ২০০৯ সালে ওয়াঘার অপারে যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করে ‘মেন ইন ব্লু।’ ২০১২ সালে পাক দল শেষবার ভারতে এসেছিলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। সেই শেষ। এরপর এশিয়া কাপ,বিশ্বকাপ,চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মত বহুদলীয় টুর্নামেন্টগুলি ছাড়া খেলার মাঠে দেখা হয় নি দুই দলের। টি-২০ বিশ্বকাপের মত প্রতিযোগিতা খেলতে পাকিস্তান ভারতে এলেও ভারত আর কখনো যায় নি ওয়াঘার পশ্চিম পারে। এশিয়া কাপ বিতর্ক নতুন করে সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
বাহরিনে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে জট খোলার জন্য বৈঠকে বসেছিলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের অন্তর্গত দেশগুলি। কিন্তু সেখানেও কোনো সমাধানসূত্র উঠে আসে নি। প্রতিযোগিতা আয়োজন করা নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে নি পাকিস্তান। ভারতও জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরছে না তারা। এমতাবস্থায় জট না কাটলে ফল ভুগতে হতে পারে পাকিস্তানকে। এশিয়া কাপের বিকল্প প্রস্তান উত্থাপন করার পথে হাঁটতে চলেছে ভারতীয় বোর্ড।
পাকিস্তান যদি এশিয়া কাপ আয়োজনের জেদ ত্যাগ না করে তাহলে গোটা টুর্নামেন্টটাই বাতিল হতে পারে। ছড়িয়ে পড়েছে এমন খবর। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে এশিয়া কাপ বাতিল হলে তার পরিবর্তে একটি বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দিতে চলেছে ভারত। এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করার কথা ছয়টি দলের। কেবলমাত্র পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে পাঁচদেশীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিসিআই। সেপ্টেম্বরে আয়োজন করা হতে পারে এই প্রতিযোগিতা। ভারতের মাঠে ম্যাচগুলি হওয়ার সম্ভাবনা। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাঠে বসবে একদিনের বিশ্বকাপে আসর। তার আগে পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে দলগুলির কাছে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হবে বলেই ধারণা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে ২০ গ্রেডের জন্য নতুন বেতন স্কেল প্রকাশ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর যে মাসে
- পে স্কেলের প্রতিবেদন দাখিল নিয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাল বেতন কমিশন
- ১০ বছরে স্বর্ণের দামে সবচেয়ে বড় ধস
- রেকর্ড পতনের পর আবারও কমল স্বর্ণের দাম
- বাড়ল বাড়িভাড়া: চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা নিয়ে যা জানাল মন্ত্রণালয়
- দ্বিগুণ উৎসব ভাতা, ৮০% বাড়ি ভাড়া ও ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব
- হঠাৎ কেন ১০ বছরের সর্বনিম্ন ধস নামল স্বর্ণের দামে
- নতুন পে স্কেলে কোন গ্রেডে কত টাকা বাড়ল বেতন
- রেকর্ড গড়ার পরই বড় ধস! সোনার দামে হঠাৎ বড় পতন
- আবারও সোনার দামে বিশাল বড় পতন
- স্বর্ণের দামের ১২ বছরে সবচেয়ে বড় পতন
- নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব: সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার
- বাংলাদেশের বাজারে আজ যে দামে বিক্রি হবে সোনা
- সর্বোচ্চ বেতন দেড় লাখ, সর্বনিম্ন ১৬ হাজার: বাড়ছে ৯০ থেকে ৯৭%
