৬, ৪, ০, ০, সৌম্য আর বিপিএলের জটিল হিসাব
কিন্তু ২২ গজের মাঠে এর উল্টো চিত্রও আছে। মাঝে মাঝে ভালো করলেও বেশির ভাগ ম্যাচেই নিজেকে হারিয়ে খুজেন সৌম্য। জাতীয় দলে কিছুটা ভালো করলেও বিপিএলে তিনি কখনই ভালো করতে পারেন না।
এবারের বিপিএলের কথাই ধরুন।প্রথম ম্যাচে করলেন ১৫ রান। তার পরের চার ইনিংসে একবার চোখ বুলানো যাক। ৬, ৪, ০, ০! সত্যিই তাই— ঢাকা ডমিনেটর্সের এই ওপেনারের পরের চার ইনিংস ছিল একই রকম। এরপর?
বাজে ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতা সৌম্য ধরে রাখলেন শেষ পর্যন্ত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলে ঢাকা ডমিনেটর্স। ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকা ম্যাচ হেরে যায় ১৫ রানে। সৌম্যর বিপিএল শেষ হয় ২১ রানে। ছোট এ ইনিংস খেলার পথেও জীবন পেয়েছিলেন ৫ রানে।
গোটা প্রতিযোগিতায় সৌম্য প্রতিবার মাঠে নেমেছিলেন বড় কিছুর আশা নিয়ে। দল থেকে বাদ পড়ার কোনো চিন্তা ছিল না। অবারিত সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পেয়েছিলেন স্বাধীনভাবে খেলার ছাড়পত্রও। কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার প্রতিবার মাঠে নেমেই করেছেন হতাশ। রান তো পান-ই নি। উল্টো প্রতিবার আউট হয়েছেন বাজে শটে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। দলকে ডুবিয়ে। একের পর এক ব্যর্থতায় স্তুপে ঢাকা পড়েছে তার নাম। আড়াল থেকে আড়ালে চলে গেছেন প্রতিবার।
গোটা প্রতিযোগিতায় ১২ ইনিংসে মাত্র ১৭৪ রান করেছেন সৌম্য। ব্যাটিং গড় ১৪.৫০। সর্বোচ্চ রান ৫৭। যে ম্যাচে ঢাকাকে খাদের কিনারা থেকে তুলেছিলেন ঠিকই। কিন্তু ব্যক্তিগত মাইলফলক ছোঁয়ার পরই উইকেট উপহার দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ওই এক ম্যাচ বাদে সৌম্য বিপিএলে বারবার হতাশ করেছেন।
পরিসংখ্যান বলছে, বিপিএলে তার খেলা নয় আসরে এবারই সবচেয়ে খারাপ সময় কাটিয়েছেন সৌম্য। অবশ্য গত আসরেও বিবর্ণ ছিল তার ব্যাটিং। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ৯ ইনিংসে ১৬৪ রান করেছিলেন। যেখানে এক ইনিংসেই করেছিলেন ৮২ রান। বাকি ৮ ইনিংসে রান ৮২!
জাতীয় দলে অভিষেকের আগে বিপিএলে নিজেকে তেমন মেলে ধরতে পারেননি। বিপিএলের প্রথম আসরে ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে ১ ম্যাচ খেলে কেবল ১১ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় আসরে ৫ ম্যাচে মাত্র ৩৩ রান। যেখানে এক ম্যাচে করেছিলেন ৩০। বাকি ৪ ইনিংসে ৩! ২০১৫ সালে ১২ ইনিংসে ১৭৭ রান, গড় ছিল ১৬.০৯। সর্বোচ্চ রান ৫৮।
জাতীয় দলে ঢুকলেও তার পারফরম্যান্স পাল্টায়নি। ১২ ইনিংসে ১৩৫ রান করেছেন ১২.২৭ গড়ে। সর্বোচ্চ রান ছিল ২৬। পরের আসরে ১১ ইনিংসে ১১ ইনিংসে ১৬৯ রান, ১৫.৩৬ গড়ে। ২০১৯ সালের গড় সবচেয়ে বাজে সবচেয়ে হতশ্রী। ৯ ইনিংসে ১১.৪২ গড়ে রান করেছিলেন ৮০। বিপিএলে তার সাফল্য বলতেই ২০২০ সালের আসর। ১২ ইনিংসে ৩৩১ রান করেছিলেন ৩৩.১০ গড়ে। যেবার তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২ ফিফটি। বিপিএলের ইতিহাসে ওই একবারই সৌম্য রান তোলার তালিকায় সেরা ১১ জনে ছিলেন। বাকি সবকটি আসরে সৌম্য ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে, খোলসবন্দী।
সৌম্যর মতো গোটা মৌসুমে বাজে সময় কাটিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্সরও। দলের ব্যর্থতার পেছনে বড় কারণ ছিল টপ অর্ডারে সৌম্যর বাজে ফর্ম। ঢাকার অধিনায়ক নাসির মঙ্গলবার নিজের অসহায়ত্বই প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘টপ অর্ডার নিয়ে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই বলতে বলতে শেষ হয়ে গেলাম। আমাদের টপ অর্ডার একদমই ভালো পারফর্ম করেনি। আমরা যদি টপ অর্ডারের পারফর্ম পেতাম তাহলে রেজাল্টটা আরেকটু ভালো হতো।’
সৌম্য শেষ কয়েকমাস ধরেই নিষ্প্রভ। অনেক আশা নিয়ে তাকে বিশ্বকাপের দলে যুক্ত করা হলেও ৪ ম্যাচে ৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি। বিসিএল ওয়ানডেতে চারদিনের ম্যাচে ২ ম্যাচে ৯০ এবং ওয়ানডেতে ৩ ম্যাচে মাত্র ৩০ রান করেন। এরপর বিপিএলে তার এমন ফর্ম নিশ্চিতভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে তার সামর্থ্য। রান না করায় এমনিতেই পিছিয়ে যাচ্ছেন। অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া সৌম্য এখন আড়াল থেকে আরও আড়ালে চলে যাচ্ছেন। যেখান থেকে ফেরার পথটা শুধু কঠিনই নয়, বেশ কন্টকাকীর্ণও।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল আপডেট: অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
- নতুন পে স্কেলে বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন ও সর্বাচ্চ যত বেতনের প্রস্তাব
- নবম পে-স্কেল: রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ, তিন ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: দ্বিগুণ হলো ভাতা
- ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে নবম পে-স্কেল
- অর্থ উপদেষ্টা কী বলছেন! পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন মোড়
- নতুন পে-স্কেল আপডেট: গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা ভাবছে সরকার
- পে-স্কেল কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ; আসছে সুখবর!
- তিন ধাপে নবম পে-স্কেল: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- নবম পে-স্কেল: সর্বশেষ অগ্রগতি জানাল পে-কমিশন
- অবশেষে পে-স্কেলের সুপারিশ জমা নিয়ে সুখবর
- নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে তিন ধাপের নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
- সিঙ্গাপুরে কেমন আছেন শরীফ ওসমান হাদি; চিকিৎসকরা জানালেন সর্বশেষ তথ্য
- জানুয়ারির শুরুতেই পে-স্কেলের সুপারিশ জমা দিচ্ছে কমিশন
