বিপিএল নিয়ে বিসিবি করছে অদ্ভুতুড়ে সব চিন্তা ভাবনা
টুর্নামেন্টে যথেষ্ট মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার থাকুক বা না থাকুক নামিদামি গায়িকা এবং শিল্পীদের অভাব হতো না উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। প্রতিটি বিপিএলে সমালোচনার হাজারটি জায়গা খোলা থাকলেও বিসিবির সকল মনোযোগ সেই সব সমালোচনায় নয় বরং কিভাবে অনুষ্ঠানটি আরো জমকালো করা যায় সেই দিকে।
এবারের বিপিএলে অবশ্য ভিন্ন পথে হেঁটেছিল দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। দেশের সামগ্রিক অবস্থা এবং বৈশ্বিক অবস্থার জেরে বাড়তি খরচ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি। তবে এই সিদ্ধান্ত খেলার মাঠে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি ফলে আলোচনারও তেমন সৃষ্টি হয়নি। খেলার মান প্রত্যাশিতভাবে নিম্নমানেরই ছিল। বরং অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের বিপিএলেই সমালোচনার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
তাই এই সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পেতেই হয়তো হাস্যকর একটি পন্থাই অবলম্বন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিজেদের সাম্প্রতিক বোর্ড সভায় ডাইরেক্টররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জমাকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপিএলের সমাপ্তি ঘটানো হবে। ব্যাপারটি হাস্যকরই বটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই যেখানে করা হয়নি সেখানে সমাপ্তি অনুষ্ঠান করার মানেটা কি? বোর্ড সভার শেষে বিপিএলের খেলার মান উন্নতির করণীয় এবং ডিআরএসের আপডেট জানতে যখন একের পর এক প্রশ্ন করছিলেন সাংবাদিকরা তখন ব্যাপারগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বিসিবি কর্তারা।
বিসিবি কর্তাদের সমগ্র মনোযোগ যেন শুধুই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তাদের কথাবার্তায় এমনটিই প্রতিফলিত হলো। অর্থাৎ খেলার মাঠে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার হাস্যকর একটি চেষ্টাই করছে বিসিবি। বিপিএলের শেষে জমকালো একটি অনুষ্ঠান করলে জনগণ বিপিএলের ব্যর্থতা ভুলে যাবে তাদের ধারণা যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে বলতেই হবে বোকার স্বর্গেই বাস করছেন তারা। বিসিবির এই পদক্ষেপ জনসাধারণ এবং গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে। অনেকে তো ব্যাপারটি বিনোদন হিসেবে নিয়ে হাসাহাসি করছেন।
বিসিবির কর্মকর্তাদের এই ধরনের আচরণ গণমাধ্যম কিংবা ভক্ত সমর্থকদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতাটা অনেকাংশেই কমিয়ে ফেলে। সময় যখন ক্রিকেটের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করার তখন এই ধরনের মন মানসিকতায় থাকা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এছাড়াও বৈঠক শেষে বিসিবি কর্মকর্তাদের বলতে শোনা গিয়েছে তারা বিপিএলের এই আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট।
এত অল্পতেই যদি সন্তুষ্ট থাকেন বোর্ড কর্তারা তাহলে উন্নতি করাটা নিশ্চিতভাবেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। মূলত উন্নতি করার ইচ্ছাটাই আসল, উন্নতি করার ইচ্ছা না থাকলে শত সম্ভাবনার মাঝেও উন্নতি করা সম্ভব হয় না। আর বিসিবি কর্মকর্তাদের দেখে তো মনে হচ্ছে তাদের আর যাই ইচ্ছা থাকুক না কেন বিপিএলের উন্নতি করার তেমন কোনো ইচ্ছা নেই।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন মহার্ঘ ভাতা: কোন গ্রেডের কত টাকা বাড়বে? জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: বাড়ছে বেতন, সর্বনিম্ন বৃদ্ধি ৪ হাজার টাকা
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: ১৩ গ্রেড ও ৩২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের সুপারিশ
- তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে নবম পে স্কেল; সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত
- বর্তমান সরকারের আমলে আসছে না নতুন পে-স্কেল: জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে ৩ ধাপে: জানুয়ারিতে শুরু প্রথম ধাপ
- নবম পে স্কেলের খসড়া চূড়ান্ত: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার প্রস্তাব
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: রিপোর্টে যা যা আছে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন ঘোষণা
- পে-স্কেল ২০২৬ কার্যকর হচ্ছে: কোন গ্রেডে কত বেতন বাড়ছে
- অনার্স প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশ: এক ক্লিকে দেখুন এখানে
- ডিসেম্বরেই পে-স্কেল নিয়ে নতুন ঘোষণা!
- নতুন পে স্কেলে মহার্ঘ ভাতা: কোন গ্রেডের কত টাকা বাড়বে
- পে-স্কেল নিয়ে বিশাল বড় সুখবর পেলেন যারা
