দিন দিন বেড়েই চলেছে বিতর্ক, এযেন এক অদ্ভুত আউট
দুর্ভাগ্যজনক এই আউটের শিকার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটসম্যান জাকের আলি। বোলার ছিলেন ফরচুন বরিশালের অফ স্পিনার ইফতিখার আহমেদ।
চট্টগ্রামে শনিবার বরিশালের বিপক্ষে কুমিল্লার রান তাড়ায় চতুদর্শ ওভারের ঘটনা সেটি। রাউন্ড দা উইকেটে ডেলিভারি করেন ইফতিখার। পিচ করে খানিকটা সোজা যাওয়া বলে ঠিকমতো খেলতে পারেননি জাকের। বল প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার মোর্শেদ আলি খান। রিভিউ নিতে খুব একটা অপেক্ষা করেননি জাকের।
রিভিউয়ে দেখা যায়, ইফতিখারের ওই ডেলিভারিতে বলের প্রায় পুরোটা ছিল লেগ স্টাম্প লাইনের বাইরে। সামান্য অংশ ছিল কেবল ভেতরে। এডিআরএস-এ প্রযুক্তির অনেক সীমাবদ্ধতা আছে বলে অনেক সময়ই নানা সিদ্ধান্তে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় না। তবে এটির ক্ষেত্রে পরিষ্কারই বোঝা যায় 'নট আউট।' নিয়ম অনুযায়ী, বলের বেশির ভাগ অংশ লাইনের ভেতর থাকলেই কেবল আউট দেওয়া যায়।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে মাঠ ছাড়েন জাকের। ধারাভাষ্যকক্ষে শামীম আহমেদ চৌধুরি বলেন, "আমি কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।"
মাঠের আম্পায়ারদের ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। দু-একটি ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তবে এমন নিশ্চিত প্রমাণের পরও টিভি আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়া খুবই বিরল ঘটনা।
পূর্ণাঙ্গ ডিআরএস না থাকায় আসরের শুরু থেকেই চলছে নানা আলোচনা। কাজ চালানোর জন্য এডিআরএস রাখা হলেও এটির কার্যকারিতা নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন। জাকেরকে এমন আউটের দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বললেন, এডিআরএস থাকার প্রয়োজনীয়তাই দেখেন না তিনি।
"এডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো আমার মনে হয়। আম্পায়ার যেটা দিয়ে দেবে, সেটা দেওয়াই ভালো। এটা তো একেবারে লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, এমন না যে...। প্রথম ম্যাচেও একটা সিদ্ধান্ত খারাপ হয়েছে, আজকেও। এমন ডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।"
এর আগেও ঘটেছে এডিআরএসের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তের ঘটনা। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বরিশালের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এনামুল হকের আউট ঘিরে দেখা দেয় বিতর্ক।
সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আউট দেননি মাঠের আম্পায়ার। রংপুর তখন রিভিউ নেয়। রাজার মিডল-লেগে পিচ করা ডেলিভারি লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে আঘাত করে এনামুলের প্যাডে।
টিভি রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হওয়ার উপায় ছিল না, বল স্টাম্পে লাগত কি না। এসব ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত হলেই কেবল মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলা যায়। এই আউটের ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া কোনো ব্যাপার দৃশ্যত ফুটে ওঠেনি। তবু মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেন টিভি আম্পায়ার।
আউটের সিদ্ধান্তে এনামুল বিস্মিত হয়ে যান। ক্ষিপ্ত হয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। পরে মাঠ ছাড়ার সময় বাউন্ডারি সীমানায় বিজ্ঞাপনী টবলারে ব্যাট দিয়ে সজোরে মারেন তিনি।
আচরণবিধি ভাঙার জন্য পরে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয় তাকে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- আজকের সোনার বাজারদর: ৮ নভেম্বর ২০২৫
- মহার্ঘ ভাতা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা!
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- নতুন পে-স্কেল জানুয়ারি থেকে কার্যকর, বাড়তি চাপ পড়বে যেসব খাতে
- নতুন পে স্কেলে যেসব আর্থিক সুবিধা বাড়তে পারে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৭ নভেম্বর ২০২৫
- দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম
- নতুন পে স্কেলে ব্যয় বাড়বে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা: অর্থের যোগান দেবে সরকার কীভাবে
- ১২ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে, ৫ বেসরকারি ব্যাংক 'নামেমাত্র টিকে আছে'
- নতুন পে স্কেলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে সুপারিশ
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- জানুয়ারি ২০২৬ থেকেই নতুন পে স্কেল কার্যকর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
- ২০২৬ সালে সরকারি ক্যালেন্ডারে যুক্ত হলো নতুন ছুটি
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
