একাধিক চমক দিয়ে প্রথম টেস্টের জন্য ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্তিশালী একাদশ

ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের ব্যাটিং ছিল অসন্তোষজনক, প্রায় কোনো ম্যাচেই টপ অর্ডার রান করতে পারেনি। এক মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটের উপর ভর করেই মূলত সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে টেস্টে এ ধরনের একক পারফরমেন্সের উপর ভর করে ভালো কিছু করা যাবে এই চিন্তা করাটা নিছক বোকামিই হবে।
ম্যাচে ভালো করতে হলে পুরো ব্যাটিং ইউনিটের একসাথে জ্বলে উঠতে হবে। প্রথম টেস্টটি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে, স্বভাবতই চট্টগ্রামের উইকেট বেশ ব্যাটিং সহায়ক। তবে অধিকাংশ সময় নতুন বলের সুইংই সামলাতে ব্যর্থ হয় টাইগার ব্যাটসম্যানরা, ফলে প্রথম কয়েক ওভারের মধ্যেই ৩-৪টি উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ফলশ্রুতিতে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে নিশ্চিতভাবেই এদিকে সতর্ক থাকতে হবে টাইগারদের।
প্রথম ১০ ওভার কোনোভাবে কাটিয়ে দিতে পারলেই পরবর্তীতে তেমন কোনো সমস্যায় পড়ার কথা নয় ব্যাটারদের। ইনজুরির কারণে ওপেনিংয়ে থাকবেন না ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। খুব সম্ভবত নাজমুল হোসেন শান্ত হতে যাচ্ছেন ওয়ানডে অধিনায়ক এর স্থলাভিষিক্ত। মাহমুদুল হাসান জয় এবং নাজমুল হোসেন শান্ত এই দুই ব্যাটার থাকবেন ওপেনিংয়ে। ওয়ান ডাউনে খেলবেন সাকিব আল হাসান।
সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হককে দেখা যাবে টু ডাউনে। পরবর্তীতে যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট করবেন। পেস আক্রমণের নেতা হিসেবে থাকবেন তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পর ইনজুরির কারণে প্রথম দুই ওয়ানডে খেলতে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে তৃতীয় ওয়ানডেতে সুযোগ হলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই গতি তারকা।
নিশ্চিতভাবেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত কিছুই করতে চাইবেন তাসকিন। নতুন বলে তাসকিনের সুইং হতে পারে ম্যাচের এক্স ফেক্টর। প্রথম দুই ওয়ানডেতে দুর্দান্ত বল করা এবাদত সঙ্গ দিবেন তাসকিনকে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চার উইকেট এবং পরের ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করেছিলেন এবাদত। তাসকিন থাকলে হয়তো একাদশেই সুযোগ হতো না এই ক্রিকেটারের।
আচমকা পাওয়া সুযোগকে কী দুর্দান্তভাবেই না কাজে লাগিয়েছেন এবাদত। নিজের দিনে একাই প্রতিপক্ষকে চূর্ণ-বিচনা করার সক্ষমতা রয়েছে এই পেস বোলারের। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে যা দেখেছিল সারা বিশ্ব। তাসকিন এবাদতকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে শরিফুল ইসলামের উপর। অনূর্ধ্ব ১৯ দল থেকেই নির্বাচকদের রাডারে ছিলেন এই ক্রিকেটার।
অনেকেই দেশের ভবিষ্যৎ পেস আক্রমণের নেতা মনে করেন শরিফুলকে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা পথ হারিয়ে ফেললেও, ভারতের বিপক্ষে সুযোগ পেলে নিশ্চিতভাবেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাইবেন এই ক্রিকেটার। চট্টগ্রামের উইকেট কিছুটা ব্যাটিং সহায়ক, খুব একটা স্পিন ধরে না এই উইকেটে। ফলে তিন পেসার দুই স্পিনার কম্বিনেশনে খেলাটাই শ্রেয় হবে। সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ দুই স্পিনারের পাশাপাশি তিন পেসার তাসকিন আহমেদের, এবাদত হোসেন এবং শরিফুল ইসলাম থাকবেন।
সম্ভাব্য একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- জান্নাতি ব্যাক্তির ৩ টা রোগ লেগেই থাকে
- রেলগাড়ি থেকে ঝুলিয়ে ফেলে দেওয়া: ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যে কী ঘটেছিল
- দেশের বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মহার্ঘ ঘোষণা
- ভোক্তা অধিকারের আব্দুল জব্বার মন্ডলের উপর হামলা, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি চাকরিজীবীদের
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনা ও রূপার দাম
- নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা আসছে, নিশ্চিত করলেন অর্থ উপদেষ্টা
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে বন্যা, ডুবে যেতে পারে ৪ জেলা
- পরীমণির মৃত্যুর গুজব: সত্যিটা কী!
- যদি এই ৪টি আলামত থাকে, বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে খুব ভালোবাসেন
- ৯০ হাজার প্রাণ, ১৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি: পাকিস্তানের দাবি
- কোরবানীর ঈদ কবে, জানা গেল বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ও তারিখ
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- আছিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণা: হিটু শেখের ফাঁসি