ভারতের যেসব দুর্বলতা কাজে লাগাবে টাইগাররা
২০১৫ সালের পর থেকেই জাগ্রত হওয়া নতুন এই বাংলাদেশ তখন থেকেই ভারতের সাথে চোখে চোখ মিলিয়ে লড়াই করা শুরু করে। এবারের প্রেক্ষাপট যদিও ভিন্ন। টি-টোয়েন্টিতে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ মাইটি ভারতের মুখোমুখি হবে। সাম্প্রতিক সময় ভারতের পারফর্মেন্সে গ্রাফ যেখানে ঊর্ধ্বমুখী টাইগারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ সেখানে একেবারেই নিচের দিকে।
ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণ করা হলে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা হওয়ার সম্ভাবনাটুকুই বেশি। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের ১০৪ রানের হার সেই দিকেই ইঙ্গিত করে। তবে উড়তে থাকা এই ভারতীয় দলেরও কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যা টাইগাররা কাজে লাগাতে পারলে মাঠের ফলাফল ভিন্নও হতে পারে। ভারতীয় দলের মূল সমস্যা তাদের ওপেনিং। বিশ্বকাপে ভারতীয় ওপেনারদের এখনো জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র আট রানে ওপেনিং জুটি ভেঙ্গে যায় ভারতের। দশ রানের মধ্যে ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং কে এল রাহুল দুজনই চার রান করে করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচেও মাত্র ২৩ রানের মধ্যে ভারতের ওপেনিং জুটি ভেঙ্গে যায়। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং কে এল রাহুলের স্কোর যথাক্রমে ১৫ এবং ৯।
খর্বশক্তির নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওপেনার কে এল রাহুল ৯ রানে আউট হলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত শর্মা। তবে হাফ সেঞ্চুরি তোলার পথে দুইবার ক্যাচ দিয়েও জীবন পান রোহিত। নিঃসন্দেহে যা বড় দলগুলোর বিপক্ষে না পাওয়ার সম্ভাবনাটুকুই বেশি। ভারতের দ্বিতীয় দুর্বলতা শুরুর দিকে বিরাট কোহলির মন্থর ব্যাটিং। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে বেশ লম্বা সময় ধরে অফ ফর্মে ছিলেন কোহলি। ফর্মে এসেই দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জেতাচ্ছেন। তবে ফর্ম ফিরে পাওয়ার পর থেকে ম্যাচের শুরুর দিকে কিছুটা সময় নিচ্ছেন কোহলি।
নিজের ইনিংসে প্রথম ১০-১৫ বলে কোহলি স্ট্রাইক রেট ১০০-১১০ এর কাছাকাছি থাকছে। ফলে শুরুর দিকেই কোহলিকে ফেরানো গেলে ম্যাচে তার কোনো ইম্প্যাক্টি থাকবে না। পাশাপাশি কিছু বল নষ্ট করার কারণে দলও চাপে পড়বে। মিডেল অর্ডার ভারতের জন্য দুশ্চিন্তা আরেক কারণ। এশিয়া কাপ থেকে বিশ্বকাপ কোনো জায়গাতেই যেন ভারতীয় মিডল অর্ডার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। এক সুরিয়া কুমার যাদব ছাড়া মিডল অর্ডারে কেউ তেমন রান পাচ্ছেন না। দিনেশ কার্তিক এবং দীপক হুদা বেশ লম্বা সময় ধরেই রান খরায় ভুগছেন।
অপরদিকে হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইনিংস খেললেও তুলনামূলকভাবে কম ধারাবাহিক। ভারতীয় বোলিংয়ে বুমরার অভাবও বেশ ভালোভাবেই বোধ করছে ভারতীয়রা। তরুণ আশদীপ অসাধারণ বোলিং করলেও অভিজ্ঞতার অভাবে মাঝেমধ্যে কিছু ভুলও করে বসেন। দূর থেকে দেখা হলে এই ভারতীয় দলকে অপ্রতিরোধ্য মনে হবে। তবে কাছে এসে একটু পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে এই দলেও বেশকিছু দুর্বলতা রয়েছে।
এছাড়া বিগত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ায় এই বিশ্বকাপে ভালো করার একটি বাড়তি চাপও থাকবে তাদের উপর। নিজেদের ভুলগুলো শুধরে ভারতের এসব দুর্বলতা গুলোকে যদি কাজে লাগাতে পারে টাইগাররা তাহলে মাঠে ভালো কিছু প্রত্যাশা করাই যায়। আর খেলা যেহেতু অ্যাডিলেডে, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার সুখ স্মৃতিটাও থাকবে টাইগারদের সাথেই।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা জানাল ভারত
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ২১ ক্যারেট সোনার দাম
- মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, কখন ও কিভাবে দেখবেন
- আগামীকাল গণপরিবহন চলবে কিনা, যা জানা গেল
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার অডিও বার্তা
- সারাদেশে শীতের মাঝেই বৃষ্টির আভাস
- রাত পোহালেই শেখ হাসিনার মামলার রায়: সর্বশেষ যা জানা গেল
- পে স্কেল বাস্তবায়নে কঠোর আলটিমেটাম আসছে
- তিন বছরের সর্বনিম্ন চিনির দাম
- বজ্রসহ বৃষ্টি নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
- মেহজাবীনের মামলাকারী আমিরুল ইসলাম সম্পর্কে যা জানা গেল
