‘পাওয়ার প্লে’ অন্য দেশগুলোর জন্য রান উত্সব বাংলাদেশের জন্য বিপদ

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে ব্যাপারটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাথায় থাকে না, নাকি তারা এর সুবিধাই নিতে জানেন না-এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। বড় দলগুলোর কথা বাদ দেওয়া যাক, ছোট দলগুলোও এখন বৃত্তের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনায়াসে রান তোলে। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছোটান। অথচ বাংলাদেশ এলোমেলো ম্যাচের শুরুর লড়াইয়ে। এর প্রভাব পড়ে যায় গোটা ম্যাচজুড়ে। চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচের পরিসংখ্যানে চোখ বুলানো যাক।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ২১ রানে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের মধ্যভাগে ১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারায় বাংলাদেশ। অথচ পাওয়ার প্লেতে রান ২ উইকেটে ৩৮! আজও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়ার প্লের ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬ ওভারে রান ১ উইকেটে ৪১। ইনিংস শেষে রান ১৩৭। সেটাও সম্ভব হয়েছে শেষের দিকে সোহানের ১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ে। নয়তো যেভাবে বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়েছিল, ১২০ রানও কঠিন ছিল।
পাওয়ার প্লের এই সমস্যা বাংলাদেশের আজকের নয়। নিয়মিত ওপেনিং জুটি পরিবর্তন, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের থেকে যুৎসই পারফরম্যান্সের ঘাটতি, বাউন্ডারির অভাব, উইকেট হারানোর প্রবণতা, পরিস্থিতি না বুঝে এলোমেলো ব্যাটিং, ডট বলের প্রাচুর্য; সবগুলো সমস্যাই একে অপরের পরিপূরক। আর সব মিলিয়েই গোটা বাংলাদেশ দল।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এ সময়ে পাওয়ার প্লে তে রান উঠেছে ৭১০। গড় রান ৪২ এর কাছাকাছি। এ সময়ে সর্বোচ্চ ৭টি ইনিংসে গড়ে ছয়ের কমে রান করেছেন ব্যাটসম্যানরা। বাউন্ডারির গড় বলপ্রতি ৫। আর ছক্কার হিসেবটা না বলাই শ্রেয়। সর্বোচ্চ রান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১ উইকেটে ৬০। সর্বনিম্ন পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৫।
বিস্ময়কর হলেও সত্য, পাওয়ার প্লে তে উইকেট হারানোর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশেরই। এর পেছনে বড় কারণ নিয়মিত ওপেনিং জুটি ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের পরিবর্তন। টানা ব্যর্থতায় যাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে তাদের পরিবর্তে যারা আসছে তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে না, হুটহাট পরিবর্তন, মেক-শিফট ওপেনার দিয়েও চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই ১৭ ম্যাচে বাংলাদেশ নয়টি ওপেনিং জুটি পেয়েছে। টপ অর্ডারে পরিবর্তন এসেছে ছয়বার। এসব পরিসংখ্যান প্রমাণ দেয়, এই ফরম্যাটে এখনও পায়ের নিচের জমিন শক্ত হয়নি বাংলাদেশের। শক্ত হয়নি নিজেদের মনোবল। স্থায়ী হয় না নিজেদের পরিকল্পনা।
মিরাজের সঙ্গে আজ শান্ত ফিরেছেন ওপেনিংয়ে। যুব দলে এই দুই ব্যাটসম্যান অনেক সময় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে স্বস্তির জায়গায় এগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু হ্যাগলি ওভালে আজ হাসেনি মিরাজের ব্যাট। ৫ রানে ফিরেছেন সাজঘরে। শান্ত ২৯ বলে ৩৩ রান করে ইতি টেনেছেন। হাসেনি লিটনের ব্যাট। ১৫ রানের স্থায়ী ইনিংসে ছিল ২ বাউন্ডারি। টপ অর্ডারের এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্স বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার সমাধান হয়তো খুঁজে পাচ্ছে না স্বয়ং টিম ম্যানেজমেন্টও!
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- অনড় জামায়াত-বিএনপি-এনসিপি: সেনাপ্রধানের শঙ্কা বাস্তব রূপ নিচ্ছে
- কমে গেল পেঁয়াজের দাম
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, রাজনীতিতে তোলপাড়
- শিক্ষক ভাতা বাড়ছে ১৫০০ টাকা, তবু অসন্তোষ
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম
- এই ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনিতে ক্যান্সার হয়েছে
- পেছালো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং বন্ধ, মিলবে শুধু ডিজিটাল
- যেসব রোগের জন্য ডাবের পানি বিষের সমান
- বন্যার পূর্বাভাস: রোববার ৮ জেলা প্লাবিত হতে পারে
- বিয়ে কি আল্লাহর পক্ষ থেকে আগেই নির্ধারিত
- রাজনীতিতে উত্তেজনা, সেনাপ্রধানের শঙ্কা সত্যি হচ্ছে
- অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখেছেন জাবেদ পাটোয়ারী: নতুন তথ্য
- ফারাক্কা বাঁধের গেট খুললো ভারত, ডুবে যাবে বাংলাদেশ
- আজকের স্বর্ণের দাম: ভরিতে কমেছে ১,০০০ টাকা