আইপিএলে আবার পুরস্কার নয় উল্টো সমালোচনায় মুস্তাফিজ

গত প্রথম তিন ম্যাচে দুবার কোচের কাছ থেকে এটি পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু এবার তার উল্টো অভিজ্ঞতা হলো।পুরস্কারের বদলে ফিজ এক ওভারে দিলেন ২৮ রান। ম্যাচের শেষে মুস্তাফিজের সেই ওভারটি নিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন দিল্লির অধিনায়ক রিশওয়া পান্ত।
গতকাল শনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ম্যাচে এই অসুবিধার সম্মুখীন হন মুস্তাফিজ। প্রথম তিন ওভারে ভালোই করেছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। পাওয়ার প্লেতে ২ ওভারে ১৫ রান। ১৭ ওভার শেষে ব্যাঙ্গালোরের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ১৩২ রান। ২০ বলে ২৪ রান নিয়ে খেলছিলেন দিনেশ কার্তিক। ১৮তম ওভারে কার্তিক মুস্তাফিজকে তুলাধুনা করে ছেড়ে দেন। ওভারের প্রতিটি বলই বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন তিনি!
প্রথম তিন বলে চার, প্রথমটি রিভার্স সুইপে ব্যাটের কানায়, পরেরটি রিভার্স পুল শটে, তারপর কভার ড্রাইভে। পরের দুই বলে ছক্কা, সোজা ব্যাটে লং অফ দিয়ে। শেষ বলে আবার চার, মিডফিল্ডারকে সুযোগ না দিয়ে। প্রথম তিন ওভারে ২০ রান দেওয়া ফিজ শেষ ওভারে এক ওভারে দেন ২৬ রান।
এ বছর নিজের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। পরের দুই ম্যাচে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৬ ও ২১ রান। এবার তিনি ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে উইকেটহীন।
মুস্তাফিজের ওভারে ২৬ রানের পর ইনিংসের শেষ দুই ওভারে আরও ২৯ রান তুলে নেয় ব্যাঙ্গালুরু। শেষ ৩ ওভারে ৫৭ রান নিয়ে তার ইনিংস থামে ১৬৯ রানে। এবারের আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কার্তিক ৩৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
১৬ রানে ম্যাচ হারার পর মুস্তাফিজের ওভার নিয়ে কথা বললেন দিল্লির অধিনায়ক রিশওয়া পান্ত। এর জন্য কার্তিককেও কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
“উইকেটে বল শুরুতে একটু ওঠা-নামা করেছে। তবে সময়ের সঙ্গে ক্রমে আরও ভালো হয়ে উঠেছে ব্যাটিংয়ের জন্য। আমার মনে হয়, মুস্তাফিজের ওই এক ওভার আমাদের জন্য হয়তো ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে গেছে।”“আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারতাম আমরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারতাম। তবে আজকে আমাদেরকে ওরা চাপে রেখেছে। বিশেষ করে দিনেশ কার্তিক শেষদিকে ছিলেন দারুণ।”
১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে দিল্লি একপর্যায়ে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে সক্ষম হয়। ৩৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে দেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা এবং প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে টাইমিংকে বাজেভাবে হারান মিচেল মার্শ। তিনি ২৪ বলে ১৪ রান করেন এবং নন-স্ট্রাইক এন্ডে রান আউট হন।
তখন দিল্লির রান রেট কমে যায়। পরে আর তা সামলাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।
“ওয়ার্নার দারুণ ব্যাট করেছে, আমাদের জয়ের সম্ভাব্য সব সুযোগই সে করে দিয়েছিল। মাঝের ওভারগুলোয় আরও ভালো করতে পারতাম আমরা। তবে মিচেল মার্শকে দায় দিতে পারি না, এটা তার কেবল প্রথম ম্যাচ। জড়তা ছিল তার। এটা খেলারই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমার মনে হয়, এখানেই পার্থক্য গড়া হয়েছে, আমরা ম্যাচ হেরে গেছি।”
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- এই ৪টি আলামত থাকলে বুঝে নিন — আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন!
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১-৩ লক্ষ টাকা রাখলে মাসিক কত লাভ পাবেন
- ৭টি অভ্যাস আপনাকে কখনোই ধনী হতে দেবে না!
- বাংলাদেশের হার, এশিয়াকাপের কোন সমীকরণে বাংলাদেশ
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো