আশা ইসলাম
রিপোর্টার
কিয়ামতের দিন হিন্দুদের কি হবে
বিশেষ প্রতিবেদন: মহাপ্রলয় বা কিয়ামত দিবস নিয়ে ইসলামী ধর্মীয় বিশ্বাস অত্যন্ত বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট। ইসলামের আকিদা (বিশ্বাস) অনুযায়ী, এই দিনে সমস্ত সৃষ্টির চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ হবে এবং প্রত্যেকের কর্মফল অনুযায়ী জান্নাত বা জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। এই প্রতিবেদনের মূল বিষয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা এবং ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অমুসলিম বা মুশরিকদের (যেমন হিন্দু) পরিণতি কেমন হবে।
১. শিঙ্গায় ফুঁক: মহাজাগতিক ধ্বংস
ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী, কিয়ামতের সূচনা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।
* ধ্বংসের সূত্রপাত: ফেরেশতা হযরত ইসরাফিল (আ.)-এর প্রথম ফুঁকে পৃথিবী ও মহাবিশ্বের সকল প্রাণী, জিন, মানুষ ও ফেরেশতা (আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত) মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।
* প্রাকৃতিক বিপর্যয়: আকাশ ফেটে গলিত তামার মতো লাল হয়ে যাবে, চাঁদ-সূর্য নিষ্প্রভ হয়ে একত্রিত হবে এবং পাহাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধুলোর মতো উড়ে যাবে। পৃথিবী এবং এর সমস্ত জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
২. পুনরুত্থান ও হাশরের ময়দানের দুর্ভোগ
দ্বিতীয় ফুঁকের মাধ্যমে সমস্ত সৃষ্টির পুনরুত্থান ঘটবে।
* পুনর্জীবন: হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত আসা সকল মানুষকে পুনরায় জীবিত করা হবে এবং হাশরের ময়দানে সমবেত করা হবে।
* ভয়াবহ অবস্থা: সেই দিন সূর্য থাকবে পৃথিবীর খুব কাছে, এর তীব্র তাপে ও পিপাসায় মানুষ ঘামে ডুবে যাবে। ভয় ও আতঙ্কে কেউ কারো দিকে তাকানোর সাহস পাবে না। এই অবস্থায় হাজার হাজার বছর কেটে যাবে।
৩. সুপারিশের জন্য নবীদের অক্ষমতা (শাফাআতে কুবরা)
কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মানুষ হিসাব শুরু করার জন্য আল্লাহর কাছে শাফায়াতের (সুপারিশের) আরজি নিয়ে একে একে নবীদের কাছে যাবে।
* নবীদের লজ্জা: হযরত আদম, নূহ, ইব্রাহিম, মূসা, এবং ঈসা (আ.) প্রত্যেকেই তাদের জীবনের ছোটখাটো ভুলের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর সামনে পেশ হতে অপারগতা প্রকাশ করবেন। তাঁরা বলবেন যে সামান্য ভুলত্রুটির জন্য তাঁরা আল্লাহর সামনে যেতে লজ্জিত ও ভীত।
* হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শাফায়াত: শেষ পর্যন্ত সবাই আল্লাহর প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে যাবেন। তিনি আল্লাহর সামনে সিজদায় পড়ে 'মাকামে মাহমুদ' লাভ করবেন এবং আল্লাহর কাছে হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য আরজি জানাবেন। তাঁর সুপারিশের মাধ্যমেই কিয়ামতের চূড়ান্ত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৪. মুশরিক (অমুসলিম) ও কাফেরদের পরিণতি
ইসলামী ধর্মীয় বিশ্বাসে, কিয়ামত দিবসে মানুষের ফয়সালা হবে মূলত ঈমানের ভিত্তিতে।
* ঈমানের মানদণ্ড: যারা আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে মেনে নেয়নি এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তে বিশ্বাসী হয়নি (যেমন হিন্দু, যারা বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসী বা মূর্তিপূজক), তারা ইসলামের দৃষ্টিতে মুশরিক বা কাফেরের শ্রেণিতে গণ্য হবে।
* ফয়সালা ও পুলসিরাত: হিসাব-নিকাশের পর আল্লাহ তাআলা নেককার বান্দাদের কাফের ও মুশরিকদের থেকে আলাদা করবেন। ইসলামী আকিদা অনুযায়ী, যারা মুশরিক বা কাফের হিসেবে গণ্য হবে, তাদের স্থান হবে জাহান্নামে। মুমিন বান্দারা পুলসিরাত পার হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন, কিন্তু অবিশ্বাসী বা মুশরিকরা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বিএনপির ২৩ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের ইঙ্গিত, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২২ নভেম্বর
- নতুন পে-স্কেল নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে গেল
- লাফিয়ে কমলো পেঁয়াজের দামে
- নবম পে-স্কেলের দাবিতে দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করার হুঁশিয়ারি
- বেতন কাঠামো নিয়ে আসছে বড় সুখবর
- আগামী ৮ তারিখ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করলো ভারত
- নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা চূড়ান্ত করতে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কমিশন
- পে স্কেলের পথে কমিশন: সোমবার সচিব সভা, রিপোর্ট ডিসেম্বরে
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ব্রাজিল বনাম ফ্রান্স: জেনেনিন ফলাফল
- শেখ হাসিনার রায়ের পর ভাইরাল কাদের মোল্লার সেই চিঠি: কী ছিল তাতে
- বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল: ২৩ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন
- আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ল
- সোনার দামে বড় পতন: ভরিতে কমলো ৭ হাজার
