শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা জানাল ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করলেও, যে দেশে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন—সেই ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তবে ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এই রায়ের কারণে শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লির অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসছে না এবং তাঁকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ারও কোনো প্রশ্ন নেই।
ভারতের অপরিবর্তিত অবস্থান
৫ আগস্ট, ২০২৪-এ শেখ হাসিনা ভারতে পৌঁছানোর পর থেকে দেশটির অবস্থান ছিল—একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁকে 'সাময়িক' (For the time being) আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পরও ভারতের এই মৌলিক অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
* সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা নয়: তাঁকে আশ্রয় দেওয়া বা ভারতের মাটিতে আপাতত রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা করা হতে পারে, এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
প্রত্যাবর্তনের অনুরোধ নিয়ে চাপ
বাংলাদেশ গত বছরের ডিসেম্বরেই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র বা নোট ভার্বাল পাঠিয়েছিল।
* দিল্লির নীরবতা: সেই নোট ভার্বাল পাওয়ার পর প্রায় এক বছর হতে চললেও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে একটি শব্দও খরচ করেনি।
* চাপ বৃদ্ধি: শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের আদালতে গণহত্যার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত দণ্ডিত অপরাধী হওয়ায়, 'অন্য দেশের পলাতক ও দণ্ডিত অপরাধীকে ভারত কেন আশ্রয় দিচ্ছে'—এই কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য ভারতের ওপর অবশ্যই এখন চাপ বাড়বে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারত ব্যাখ্যা দিলেও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ উপেক্ষা করেই যাবে।
প্রত্যর্পণ চুক্তির ফাঁকফোকর
২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত প্রত্যর্পণ চুক্তিতে এমন কিছু ধারা রয়েছে যা দিল্লিকে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেবে:
* 'রাজনৈতিক প্রকৃতির' অভিযোগ: চুক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা আছে, যেখানে অনুরোধ করা অপরাধের অভিযোগ যদি রাজনৈতিক প্রকৃতির হয়, তবে সেই অনুরোধ খারিজ করা যাবে। যদিও হত্যা, গণহত্যা, গুমের মতো অভিযোগগুলো রাজনৈতিক বলে খারিজ করা কঠিন।
* ন্যায্য বিচারের প্রশ্ন: চুক্তিতে এমন একটি ধারা আছে যা প্রয়োগ করে অনুরোধ-প্রাপক দেশ (ভারত) তা খারিজ করার অধিকার রাখে—যদি তাদের মনে হয় অভিযোগগুলো কেবল ন্যায়বিচারের স্বার্থে বা সরল বিশ্বাসে আনা হয়নি।
* পর্যবেক্ষকদের অভিমত: দিল্লিতে অনেক পর্যবেক্ষকের অভিমত, ভারত অনায়াসেই বলতে পারে যে তারা মনে করে না শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন। 'অভিযোগগুলো শুধুমাত্র ন্যায়বিচারের স্বার্থে, সরল বিশ্বাসে আনা হয়নি'—এই ধারাটি ব্যবহার করেই প্রত্যর্পণের অনুরোধ নাকচ করা যেতে পারে।
অর্থাৎ, ভারত এই চুক্তিগত সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় বিলম্ব বা অনুরোধ খারিজ করার রাস্তা নিতে পারে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- পে-স্কেল: সনাতনী পদ্ধতির বদলে সিটিজি ও পারফরম্যান্সভিত্তিক বেতন কেন জরুরি
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ২১ ক্যারেট সোনার দাম
- আইপিএল ২০২৬: মুস্তাফিজকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
- আগামীকাল গণপরিবহন চলবে কিনা, যা জানা গেল
- একটু পর মাঠে নামবে ব্রাজিল বনাম সেনেগাল, যেভাবে দেখবেন
- দেশের বাজারে লাফিয়ে কমলো সোনার দাম
- সারাদেশে শীতের মাঝেই বৃষ্টির আভাস
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার অডিও বার্তা
- বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন
- আইপিএল ২০২৬: ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- রাত পোহালেই শেখ হাসিনার মামলার রায়: সর্বশেষ যা জানা গেল
- পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন দাবি সরকারি কর্মচারীদের
- একদিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা
