পে স্কেল নির্ধারণে ৫ বছরের মূল্যবৃদ্ধি ফোকাস
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে স্কেল নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নয়, বরং আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের সম্ভাব্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় নিয়ে বেতন কাঠামো তৈরির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক সম্প্রতি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এই গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানান।
ভবিষ্যৎ মূল্যস্ফীতি বিবেচনার কারণ:
আব্দুল মালেকের মতে, যখনই নতুন পে স্কেল ঘোষণা করা হয়, তখনই বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়। যেহেতু একবার পে স্কেল নির্ধারিত হলে আগামী ৫ থেকে ৬ বছর আর বেতন বাড়বে না, তাই সেই সময়ের সম্ভাব্য মূল্যবৃদ্ধি এখনই বিবেচনায় নিতে হবে।
"এখন যদি পে স্কেল দেয়, তাহলে আগামী ৫-৬ বছর দেবে না। এই ৫-৬ বছরে কিন্তু দ্রব্যমূল্য বাড়বে। এটা মাথায় রেখেই সার্বিকভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।"
বেতন বৈষম্য ও সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাব:
ফেডারেশন পে কমিশনের কাছে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। এর পেছনে দীর্ঘসূত্রিতা ও মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে:
* আর্থিক ক্ষতি: সর্বশেষ ২০১৫ সালে পে স্কেল হয়েছে। নিয়মিত হলে ২০২০ সালেই বেতন দ্বিগুণ হতো এবং ২০২৫ সালে সর্বনিম্ন বেতন ৩৩ হাজার টাকা হতো। এই ১০ বছরের ক্ষতি এবং বর্তমান দ্রব্যমূল্যের সমন্বয় করেই ৩৫ হাজার টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
* বৈষম্য হ্রাস: বর্তমানে বেতন বৈষম্যের অনুপাত রয়েছে ১:১০, যা কমিয়ে ১:৪ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বাস্তবতা ও জীবনযাত্রার ব্যয়:
তিনি সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার কঠিন পরিস্থিতি তুলে ধরেন:
* সরকার ছয়জনের পরিবারের হিসাব করতে বলেছে। শুধু ডাল-ভাত-ভর্তা খেলেও মাসিক খরচ আসে প্রায় ২৭ হাজার টাকা।
* বাসা ভাড়া, সন্তানের পড়াশোনা, চিকিৎসা এবং আমিষের খরচ যোগ করলে মাসিক ব্যয় ৫০ হাজার টাকাতেও কুলোয় না, যেখানে অনেক কর্মচারী ১৫ হাজার টাকা বেতন পান।
* তিনি বলেন, ভালো বেতন ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই কর্মচারীদের সেবার মান বাড়বে।
⚖ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি:
বেতন বাড়ালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রসঙ্গে আব্দুল মালেক বলেন, বেতন বাড়ার সাথে সাথে সরকারকে বাজারকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বেতন বাড়ালেই মূল্যস্ফীতি বাড়ে, বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু বেতন বৃদ্ধির সাথে যদি দ্রব্যমূল্য দ্বিগুণ হারে বাড়ে, তবে কর্মচারীরা কোনোভাবেই উপকৃত হবেন না।
বেসরকারি খাতের বেতন বৃদ্ধির আহ্বান:
সরকারি পে স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি খাতেও বেতন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা। তিনি জানান, এবার প্রাইভেট খাতকেও মতামতের জন্য ডাকা হয়েছে।
রাকিব/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন ও সর্বাচ্চ যত বেতনের প্রস্তাব
- নবম পে-স্কেল: রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ, তিন ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: দ্বিগুণ হলো ভাতা
- ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে নবম পে-স্কেল
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমি ফাইনাল; (Live) দেখুন এখানে
- পে-স্কেল কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ; আসছে সুখবর!
- তিন ধাপে নবম পে-স্কেল: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে
- অবশেষে পে-স্কেলের সুপারিশ জমা নিয়ে সুখবর
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সংস্কার: ১২টি গ্রেড ও ১:৪ অনুপাতের নতুন প্রস্তাব
- সরকারি কর্মচারীদের সুখবর: জানুয়ারিতেই আসছে পে-স্কেল রিপোর্ট
- সিঙ্গাপুরে কেমন আছেন শরীফ ওসমান হাদি; চিকিৎসকরা জানালেন সর্বশেষ তথ্য
- জানুয়ারির শুরুতেই পে-স্কেলের সুপারিশ জমা দিচ্ছে কমিশন
- নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন: তিন ধাপের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল কমিশন
- নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে তিন ধাপের নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
- বিমানবন্দরের নতুন ত্রাতা: কে এই ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান
