হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর যে ৮ সতর্ক সংকেত দেয়
আমরা প্রায়ই মনে করি হার্ট অ্যাটাক কোনো পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ করে ঘটে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের হৃৎপিণ্ড অনেক আগেই সতর্ক সংকেত পাঠাতে শুরু করে। সমস্যা হলো, আমরা প্রায়ই এই লক্ষণগুলোকে সাধারণ শারীরিক অসুস্থতা মনে করে উপেক্ষা করি। অথচ সময়মতো এই সংকেতগুলো চিনতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
যে ৮টি লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়
১. বুকে চাপ বা অস্বস্তি: বুকে ভারী লাগা, চাপ অনুভব করা, বা তীব্র ব্যথার মতো অনুভূতি যা কয়েক মিনিট ধরে স্থায়ী হয় বা বারবার আসে- এটি হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
২. ব্যথা ছড়িয়ে পড়া: ব্যথা শুধু বুকে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি কাঁধ, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ, বা পেটের উপরের অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বাম হাতে তীব্র ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
৩. শ্বাসকষ্ট: হঠাৎ করে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বা সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যাওয়া হার্টের সমস্যার স্পষ্ট ইঙ্গিত। বিশ্রামের সময়ও যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. অতিরিক্ত ঘাম: স্বাভাবিক পরিবেশেও যদি অতিরিক্ত ঘাম হয়, বিশেষ করে বুকে চাপ বা দুর্বলতার সঙ্গে, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হতে পারে।
৫. বমিভাব বা পেটের অস্বস্তি: অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করা হয়, কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আগেও বমিভাব বা পেটের উপরের অংশে অস্বস্তি হতে পারে। এই লক্ষণটি নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
৬. মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব: রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার কারণে হঠাৎ মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার লাগতে পারে।
৭. অস্বাভাবিক ক্লান্তি: সামান্য কাজ করলেই যদি অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে বা হাঁপিয়ে যান, তবে এটি হৃদরোগের একটি সতর্কবার্তা হতে পারে।
৮. অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন: হঠাৎ করে হার্টবিট বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া, বিশেষ করে বুকে ব্যথার সঙ্গে হলে, এটিকে অবহেলা করা উচিত নয়।
যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, আপনার করণীয় কী
১. দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: উপরোক্ত যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
২. জরুরি সাহায্য নিন: প্রয়োজনে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন বা নিকটস্থ হাসপাতালে যান।
৩. অ্যাসপিরিন ব্যবহার: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট নিতে পারেন, যদি আপনার অ্যাসপিরিনে কোনো অ্যালার্জি না থাকে। তবে এটি কখনোই চিকিৎসার বিকল্প নয়।
৪. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ৪০ বছরের বেশি বয়স হলে বা পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি।
আরও পড়ুন- এনার্জি ড্রিংক থেকে তরুণদের হার্ট অ্যাটাক
আরও পড়ুন- যেভাবে ঘুমানো হার্টের রোগীদের জন্য নিরাপদ
চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এবং জটিলতা দুটোই কমানো যায়। তাই শরীরের দেওয়া এই সংকেতগুলো চিনতে পারা এবং সচেতন থাকা হলো জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১৮ ডিসেম্বরে পে-স্কেল ঘোষণা, যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: তিন ধাপে আসছে নবম পে-স্কেল
- নবম পে-স্কেল: গেজেট নেই, ১৮ ডিসেম্বর নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- Ipl Auction 2026: মুস্তাফিজের দিকে নজর ৫ দলের
- আইপিএল নিলাম ২০২৬: এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা, মুস্তাফিজের অবস্থান কি
- অর্থ উপদেষ্টা কী বলছেন! পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন মোড়
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আইপিএল ২০২৬ নিলাম: মুস্তাফিজ-রিশাদের অবস্থান
- IPL Auction 2026: সরাসরি দেখুন
- ওসমান হাদির বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু
- নবম পে-স্কেল: সর্বশেষ অগ্রগতি জানাল পে-কমিশন
- প্রায় ১২ কোটি টাকায় আইপিএলে বিক্রি হলেন মুস্তাফিজ
- পে-স্কেল নিয়ে আল্টিমেটাম শেষ, সর্বশেষ যা জানা গেল
