| ঢাকা, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর যে ৮ সতর্ক সংকেত দেয়

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ২১:৩৬:৪০
হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর যে ৮ সতর্ক সংকেত দেয়

আমরা প্রায়ই মনে করি হার্ট অ্যাটাক কোনো পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ করে ঘটে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের হৃৎপিণ্ড অনেক আগেই সতর্ক সংকেত পাঠাতে শুরু করে। সমস্যা হলো, আমরা প্রায়ই এই লক্ষণগুলোকে সাধারণ শারীরিক অসুস্থতা মনে করে উপেক্ষা করি। অথচ সময়মতো এই সংকেতগুলো চিনতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

যে ৮টি লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়

১. বুকে চাপ বা অস্বস্তি: বুকে ভারী লাগা, চাপ অনুভব করা, বা তীব্র ব্যথার মতো অনুভূতি যা কয়েক মিনিট ধরে স্থায়ী হয় বা বারবার আসে- এটি হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।

২. ব্যথা ছড়িয়ে পড়া: ব্যথা শুধু বুকে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি কাঁধ, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ, বা পেটের উপরের অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বাম হাতে তীব্র ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।

৩. শ্বাসকষ্ট: হঠাৎ করে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বা সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যাওয়া হার্টের সমস্যার স্পষ্ট ইঙ্গিত। বিশ্রামের সময়ও যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪. অতিরিক্ত ঘাম: স্বাভাবিক পরিবেশেও যদি অতিরিক্ত ঘাম হয়, বিশেষ করে বুকে চাপ বা দুর্বলতার সঙ্গে, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হতে পারে।

৫. বমিভাব বা পেটের অস্বস্তি: অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করা হয়, কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আগেও বমিভাব বা পেটের উপরের অংশে অস্বস্তি হতে পারে। এই লক্ষণটি নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

৬. মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব: রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার কারণে হঠাৎ মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার লাগতে পারে।

৭. অস্বাভাবিক ক্লান্তি: সামান্য কাজ করলেই যদি অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে বা হাঁপিয়ে যান, তবে এটি হৃদরোগের একটি সতর্কবার্তা হতে পারে।

৮. অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন: হঠাৎ করে হার্টবিট বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া, বিশেষ করে বুকে ব্যথার সঙ্গে হলে, এটিকে অবহেলা করা উচিত নয়।

যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, আপনার করণীয় কী

১. দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: উপরোক্ত যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

২. জরুরি সাহায্য নিন: প্রয়োজনে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন বা নিকটস্থ হাসপাতালে যান।

৩. অ্যাসপিরিন ব্যবহার: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট নিতে পারেন, যদি আপনার অ্যাসপিরিনে কোনো অ্যালার্জি না থাকে। তবে এটি কখনোই চিকিৎসার বিকল্প নয়।

৪. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ৪০ বছরের বেশি বয়স হলে বা পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি।

আরও পড়ুন- এনার্জি ড্রিংক থেকে তরুণদের হার্ট অ্যাটাক

আরও পড়ুন- যেভাবে ঘুমানো হার্টের রোগীদের জন্য নিরাপদ

চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এবং জটিলতা দুটোই কমানো যায়। তাই শরীরের দেওয়া এই সংকেতগুলো চিনতে পারা এবং সচেতন থাকা হলো জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।

আশা/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হলেন শান্ত

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হলেন শান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তকেই বহাল রাখল বাংলাদেশ ...

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তাই আজকের ম্যাচটি টাইগারদের জন্য মান বাঁচানোর ...

ফুটবল

ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: কবে, কখন, কিভাবে দেখবেন

ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: কবে, কখন, কিভাবে দেখবেন

ফুটবলপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষা করছে একটি দারুণ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। এই ম্যাচে ল্যাটিন আমেরিকার পাওয়ারহাউস ব্রাজিলের ...

আবারও কমলো সোনার দাম

আবারও কমলো সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিনের ব্যবধানে আবারও দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স ...