র এর উপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের উপর পাল্টা আক্রমণ ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর, অনেক ভারতীয় আশায় বুক বাঁধেন। তবে বাস্তবতা হলো, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নত হওয়ার বদলে, বরং তা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করে এবং ভারতের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, যা ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই সব পদক্ষেপের ফলে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
সাম্প্রতিক সময়েও আরও একটি দুঃসংবাদ সামনে এসেছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এর কয়েক দিন পর, যুক্তরাষ্ট্রের একটি ধর্মীয় সংস্থা, "কমিউনিটি ইন্ডিয়া", ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা "রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং" (রয়) এর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের স্বাধীন প্যানেল, "ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম" (USCIRF), তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের অভিযোগ আনা হয়। বিশেষ করে, শিখ নেতাদের হত্যায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা "রয়" এর সম্পৃক্ততার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়। প্রতিবেদনটিতে বিকাশ যাদব নামে রয় এর সাবেক এক কর্মকর্তা’র নাম উল্লেখ করা হয়, যিনি হত্যাচেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া, ২০২৪ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রতিবেদনটি সতর্ক করে দিয়েছে। প্রতিবেদনটি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার দল বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করেছে। গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বক্তব্য এবং মোদির "অধিক সন্তানধারী মুসলমানদের" নিয়ে মন্তব্য তুলে ধরা হয়।
এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তা "ভুয়া" বলে অভিহিত করে। ভারত জানিয়েছে, এই ধরনের এজেন্ডা ভিত্তিক দাবি সংস্থাটির সত্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রানী জাসওয়াল এক বিবৃতিতে প্রতিবেদনটিকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেন।
তবে, ভারতীয় আমেরিকান মুসলিমদের বৃহত্তম সংগঠন "ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল" ইউএসসি আইআরএফকে সাধুবাদ জানিয়েছে, তারা এই প্রতিবেদনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সত্যমুখী বলে বিবেচনা করেছে।
"ইউএসসি আইআরএফ" একটি মার্কিন সরকারি উপদেষ্টা সংস্থা, যা বিদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে নজরদারি করে এবং নীতিগত সুপারিশ প্রদান করে। ২০২০ সালেও সংস্থাটি ভারতকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্বেগপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল।
এখন পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেনি। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, ইউএসসি আইআরএফ এর প্রতিবেদন ভারত-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
— মীর ফজলে/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া, দাবি দ্রুত নির্বাচনের
- ভারতের হামলায় কতজন সেনা হারিয়েছে পাকিস্তান
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার