বাংলাদেশের কাছে নতুন যে সুবিধা পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত
ভারত যে নতুন নতুন সুবিধা পেতে চাচ্ছে, তা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়কে তুলে ধরছে। ভারতের কাছে যে সুবিধা বাংলাদেশ প্রদান করেছে, তা তারা সারাজীবন মনে রাখবে, এমন মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মন্তব্যটি বহুল আলোচিত হয়েছিল, তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি, বাংলাদেশ ঠিক কী দিয়েছে। তবে তিনি বলেছিলেন, "আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি, এটি তাদের মনে রাখতে হবে।"
হাসিনা সরকারের আমলে ভারতকে দেওয়া বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল যোগাযোগ বা ট্রানজিট সুবিধা। বর্তমানে, ভারতের "সেভেন সিস্টারস" রাজ্যগুলোর জন্য বাংলাদেশ বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করেছে, যা তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার ফলে ভারতের সেভেন সিস্টারস অঞ্চলের জন্য একটি নতুন বাণিজ্যিক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ মাল্টিমোডাল বা বহুমাত্রিক ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে শুরু করেছিল। ২০১৬ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়। ২০২২ সালে, ভারত বাংলাদেশকে তাদের স্থলবন্দর, বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার প্রস্তাব দেয়, যাতে ভারত অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারে। যদিও এখনও বাংলাদেশ এই সুবিধা পুরোপুরি পায়নি, তবে ভারত আবারও নতুন একটি সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব করছে।
এবার, ভারতের সেভেন সিস্টারস রাজ্যের জন্য একটি নতুন অর্থনৈতিক করিডোর চাওয়া হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাবে। মেঘালয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে একটি নতুন করিডোর নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই করিডোরের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে, এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনুযায়ী, এই করিডোরটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে যাত্রার সময় এবং ব্যয় প্রায় ২৫-৬০ শতাংশ কমে যাবে। এছাড়া, আসাম ও ত্রিপুরার সঙ্গে কলকাতার দূরত্বও ৬০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাট সাংমা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশে একটি রূপরেখা পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "এটি কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে, তা বলা কঠিন, তবে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।"
তবে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার কি সিদ্ধান্ত নেবে, সেটি আগামী দিনে স্পষ্ট হবে।
এভাবে, ভারত বাংলাদেশের মাধ্যমে তার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশের সাথে সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে চাচ্ছে এবং এতে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে-স্কেল আসছে তিন ধাপে! সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- নবম পে-স্কেল আসছে ৩ ধাপে, বেতন পাবেন জানুয়ারি ২০২৬ থেকে
- ৭০ সচিবের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত হলো নবম পে-স্কেলের রূপরেখা
- নতুন পে স্কেল নিয়ে সুখবর, সবশেষ যা জানা গেল
- নবম পে-স্কেলের চূড়ান্ত সুপারিশ কবে; যা জানা গেল
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ল সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৪,০০০: মহার্ঘ ভাতায় বড় পরিবর্তন
- নতুন পে-স্কেল নিয়ে দ্বন্দ্বে অর্থ মন্ত্রণালয় ও কর্মচারী ঐক্য
- নতুন পে-স্কেলের সুপারিশ আসছে ডিসেম্বরেই
- আল্টিমেটামের শেষ দিন আজ: পে-স্কেল রিপোর্ট জমা নিয়ে যা জানা গেলো
- ভূমিকম্পের রেড জোন: সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে দেশের যে ৯ জেলা
- দেশে ফেরা নিয়ে এবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন তারেক রহমান
- সরকারের যে দুই উপদেষ্টা বিএনপির হয়ে ভোটে লড়বেন
- যেসব খাবার খেলে পুরুষের শুক্রাণু কমে, তালিকা দেখুন
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, বাংলাদেশ বনাম চীনের ম্যাচ
- আজকের সোনার বাজারদর: ২৯ নভেম্বর ২০২৫
