বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন র্যাবের তৎকালীন সিও

নিজস্ব প্রতিবেদক ; বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে তৎকালীন র্যাবের সিও জামান এক বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরপরই তাকে জানানো হয় যে, বিডিআর দরবার হলে গোলাগুলি চলছে। সেসময় তিনি দ্রুত গাড়িতে উঠে ধানমন্ডি ক্যাম্পে চলে আসেন। সেখানে, তিনি সাতটি একে 47 রাইফেল ও প্রায় ২০০০ রাউন্ড গুলি নিয়ে ৭ জনের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর প্রথমেই তিনি একটি নিরাপত্তা গেটের কাছে অবস্থান নেন। সেখানে, তিনি ভারতীয় কর্মকর্তাদের এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। তৎকালীন ডিজি হাসান মাহমুদ এবং এডিজি কর্নেল রেজা নূরের সাথে একাধিক ফোনালাপ হয়, তবে তাদের কাছ থেকে কোনো কার্যকর নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
জামান তার অভিজ্ঞতায় বলেন, “আমরা যখন ভিতরে ঢুকতে চাইছিলাম, তখন সেনাবাহিনী আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তারা জানায়, প্রধানমন্ত্রী যমুনা ভবনে বসে আছেন এবং তিনি পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করবেন। এভাবে তারা আমাদের বারবার বাধা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিডিআর হত্যাকাণ্ড ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যেখানে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত। তার সহকারী নানক মির্জা, আজম তাপসসহ অন্যরা এতে জড়িত ছিল। সারাদিন আমাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এমনকি সেনাবাহিনীও আমাদের সাহায্য করতে পারছিল না।”
জামান আরও বলেন, "আমরা বারবার চেষ্টা করার পর, মেজর ওয়াকারস ও তার দলের সাহায্যে আমরা ভিতরে প্রবেশ করি। ভিতরে প্রবেশ করার সময় একটি বাচ্চা মারা যায়। সারাটা দিন আমরা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কাটাই।"
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর, জামান আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন, যারা সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, মির্জা আজম, নানক মাহবুয়া, এমপি মুস্তাক আহমেদ রুহি এবং বেলালসহ আরও অনেককে তিনি দেখেছেন যাদের উপস্থিতি ছিল সন্দেহজনক। এসব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের কারও কাছে তাদের কোনো শাস্তি পাওয়ার আশা ছিল না। তারা আমাদের মেরে ফেলবে—এমন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছি।"
তিনি অবশেষে জানান, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যে পরিকল্পিত ছিল, তা তার তদন্তের পর স্পষ্ট হয়ে গেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে জামান বলেন, "এটি শুধু স্থানীয়দের কোনো ষড়যন্ত্র ছিল না; বরং আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রও এতে জড়িত ছিল।"
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সম্বন্ধে পরবর্তী তথ্য পাওয়ার জন্য জামান আশাবাদী, তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, যদি তার মতো আরও কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এগিয়ে না আসত, তবে সত্যি কখনোই সামনে আসত না।
তিনি শেষপর্যন্ত বললেন, “যদি রাষ্ট্রক্ষমতা বদলায়, তবে আমরা সঠিক বিচার চাইবো। এই হত্যাকাণ্ড ছিল এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র, এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
ইমরান/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার নতুন মোড়, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
- নির্বাচন নিয়ে সিইসির সম্ভাব্য সময়সূচী
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- ধারের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না! জেনে নিন কার্যকর কৌশল
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম কত
- পায়ের যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস!
- বাংলাদেশের স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা তথ্য কি ভারতে পাচার হচ্ছে!
- পরকীয়ায় ‘সিআইডি’-এর দয়া, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন সহ-অভিনেত্রী!
- শ্রীলঙ্কা কোচের মুখে তানজিদ তামিমের প্রশংসা: ৪৭ বলে ৭৩ রানের ঝলক
- বাংলাদেশে আজ সোনার দাম কমেছে
- গোপালগঞ্জের 'আবু সাঈদগঞ্জ' নামকরণের প্রস্তাব
- অবশেষে নির্মম ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সোহাগের স্ত্রী
- ৬টি রোগ থাকলেনই বুঝবেন আপনি জান্নাতি