যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মতো পরিস্থিতি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তকারী এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার ঘটনা বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই কর্মকর্তারা বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের অধীনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলার তদন্তে নিয়োজিত ছিলেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের প্রতি ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরি এক চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে, ট্রাম্পের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের ওপর আর আস্থা রাখা সম্ভব নয়।
যদিও এই ঘটনা আমেরিকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর প্রশ্ন তোলে, তবে তা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের ওপর একনায়কতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের জন্য বারবার অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গা উসকানি দেওয়ার এবং সরকারি গোপন নথি সরানোর অভিযোগ উল্লেখযোগ্য। ট্রাম্পের সরকারের বিরোধীরা অভিযোগ করে যে, ট্রাম্প তার বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা বাংলাদেশের সরকারের আচরণের সঙ্গেও সাদৃশ্যপূর্ণ। এখানে সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা করলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত হয় এবং গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো মূলত তার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও যখন সরকার বিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করে, তখন একে গণতন্ত্রের সংকট হিসেবে দেখা হয়। উভয় দেশেই সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করা হয়, যা রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে দেয়।
এভাবে, মার্কিন বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও এই ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা যেতে পারে, যেখানে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী পক্ষের কণ্ঠরোধ ও গণতন্ত্রের অবনতির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- মহার্ঘ ভাতা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা!
- আজকের সোনার বাজারদর: ৮ নভেম্বর ২০২৫
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- নতুন পে-স্কেল জানুয়ারি থেকে কার্যকর, বাড়তি চাপ পড়বে যেসব খাতে
- নতুন পে স্কেলে যেসব আর্থিক সুবিধা বাড়তে পারে
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- আজকের সোনার বাজারদর: ৯ নভেম্বর ২০২৫
- সরকারি পে স্কেল: অর্থ বরাদ্দ শুরু, জিপিএমএস আসছে
- নতুন পে স্কেলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে সুপারিশ
- ১২ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে, ৫ বেসরকারি ব্যাংক 'নামেমাত্র টিকে আছে'
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
