মোদী-ট্রাম্প সমীকরণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী!
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, তা নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। কিছু মানুষ বলছেন, বাংলাদেশে কিছুই পরিবর্তন হবে না, আবার কেউ কেউ মনে করছেন শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে পারে। তবে আসলেই কি কিছু হতে যাচ্ছে?
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে নানা হিসেব-নিকেশ চলছে। ট্রাম্পের কারণে বাংলাদেশে কোনো পরিবর্তন আসবে—এমন প্রচার চালাচ্ছে ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকার এবং ভারতীয় মিডিয়া। তাদের ভাবনা এমন, যেন নরেন্দ্র মোদি তার বন্ধু ট্রাম্পের শক্তিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র উড়িয়ে দেবেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা, বিশেষত নিউ অর্লিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোস্তফা সারোয়ার, মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি মূলত নিজেদের স্বার্থে চলে, অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তা চুক্তি বা জোটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ থাকবে, কিন্তু তার পলিসি বদলানোর সম্ভাবনা কম।
অধ্যাপক ড. মোস্তফা আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন দ্রুত হতে পারে, তবে এই নির্বাচন কিংবা রাজনৈতিক পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক স্তরে কোনো বড় পরিবর্তন আনবে না। একই কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের রাজনীতি এবং বাইডেনের রাজনীতি আলাদা, ফলে দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের মতামত এবং কার্যক্রমও ভিন্ন হতে পারে। ইমতিয়াজের মতে, রিপাবলিকান পার্টি বা ট্রাম্পের সরকার বাংলাদেশের নির্বাচন দ্রুত অনুষ্ঠিত হতে চায়।
আরেক অধ্যাপক, ড. দেলোয়ার আরিফ, মনে করেন, ড. ইউনুসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক বাইডেনের মতো উষ্ণ নয়, এবং এই ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাংলাদেশের মার্কিন সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, তিনি বলেন, বাংলাদেশে কে ক্ষমতায় আসবে, তা জনগণের উপর নির্ভর করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শহীদুজ্জামান মনে করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্পর্ক ভালো না খারাপ, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ড. ইউনুসের উপস্থিতি, যা ট্রাম্পের জন্য লাভজনক হতে পারে।
সবশেষে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলেন, খুব শিগগিরই বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, এবং এই বিষয়ে একই মতামত ব্যক্ত করেছে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র।
এভাবে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রভাবের মধ্যে থাকছে, তেমনি জনগণের সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে পেনশন ও গ্র্যাচুইটিতে আসছে বড় পরিবর্তন!
- পে স্কেলে চিকিৎসা ভাতা বেড়ে যত টাকা হতে পারে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৬ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে স্কেল: বেতন বাড়ছে ৭০% থেকে ১০০% পর্যন্ত
- মহার্ঘ ভাতা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা!
- আজকের সোনার বাজারদর: ৭ নভেম্বর ২০২৫
- আজকের সোনার বাজারদর: ৮ নভেম্বর ২০২৫
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা চূড়ান্ত
- দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম
- নতুন পে স্কেলে ব্যয় বাড়বে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা: অর্থের যোগান দেবে সরকার কীভাবে
- বাবার নামের বিদ্যুৎ মিটার নিজের নামে করবেন যেভাবে
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- জানুয়ারি ২০২৬ থেকেই নতুন পে স্কেল কার্যকর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
- আবারও বাড়ল সোনা দাম
- ২০২৬ সালে সরকারি ক্যালেন্ডারে যুক্ত হলো নতুন ছুটি
