ভারত থেকে দুই কূটনীতিককে দেশে ফেরাল বাংলাদেশ, কী ঘটছে ভেতরে!
চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়নি, চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়নি, তবে হঠাৎ করেই ভারতের আগরতলা ও কলকাতায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে নিযুক্ত দুই প্রধানকে ঢাকায় ডেকে এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পেছনে যে কারণ রয়েছে, তা হলো সম্প্রতি সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ও সাবেক ইসকন ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে সহিংস বিক্ষোভ, হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনা।
গত কয়েকদিনের মধ্যে এই দুটি মিশনেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ভারতীয় সরকারের দৃষ্টিতে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক দুঃখপ্রকাশ এবং আইনি পদক্ষেপ নিলেও ঢাকার পক্ষ থেকে কূটনৈতিক ভাষায় এটি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, এমনটাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে মিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপ হাইকমিশনার শিকদার মোহাম্মদ আশরাফুল রহমান এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনার ছিলেন আরিফ মহম্মদ। পররাষ্ট্র বিশ্লেষকদের মতে, স্থানীয় পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় বাংলাদেশ তাদের ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি প্রত্যাহারের মতো একটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ হতে পারে বলে অনেকের ধারণা। ভারতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একতরফা অভিযোগ এবং বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিষয়টি সম্প্রতি আরও জটিল আকারে সামনে এসেছে। এই ইস্যু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, বিশেষ করে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ কিছু গণমাধ্যমের মাধ্যমে।
এছাড়া, মোদি সরকারের কিছু নেতৃবৃন্দ এবং উগ্রপন্থী রাজনীতিবিদরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, দুই দেশের মধ্যে কি সম্পর্কের টানাপড়েন চলবে, নাকি এটি নতুন কোনো সংকটের দিকে এগিয়ে যাবে, তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন।
তবে, বিষয়টি এখনও চরম পর্যায়ে পৌঁছায়নি, এবং বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও পরিস্থিতি জানার জন্য দুই মিশন প্রধানকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এটি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহার নয়, বরং সাময়িক স্থানান্তর, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক সূত্র।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীরও একমত, তিনি বলেন, "যখন কোনো বড় ঘটনা ঘটে, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিশন প্রধানদের কাছ থেকে সরাসরি বিষয়টি জানার চেষ্টা করে, যা এরই মধ্যে ঘটেছে।"
বর্তমানে বাংলাদেশের ভারতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা ধীরগতিতে রয়েছে, তবে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনও সচল আছে। তবে সীমান্তে এবং জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষের অনুভূতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সম্পর্কের অবনতির ইঙ্গিত দেয়। সুতরাং, দুই দেশের মধ্যে সুস্থ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন ও সর্বাচ্চ যত বেতনের প্রস্তাব
- ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে নবম পে-স্কেল
- সরকারি কর্মচারীদের সুখবর: জানুয়ারিতেই আসছে পে-স্কেল রিপোর্ট
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমি ফাইনাল; (Live) দেখুন এখানে
- নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন: তিন ধাপের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল কমিশন
- অবশেষে পে-স্কেলের সুপারিশ জমা নিয়ে সুখবর
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সংস্কার: ১২টি গ্রেড ও ১:৪ অনুপাতের নতুন প্রস্তাব
- জানুয়ারির শুরুতেই পে-স্কেলের সুপারিশ জমা দিচ্ছে কমিশন
- পে স্কেল: নতুন বেতনের সুপারিশ যেমন হবে জানালো কমিশন
- বিমানবন্দরের নতুন ত্রাতা: কে এই ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান
- আজ এক ভরি ১৮, ২১,২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- পে-স্কেলের সুপারিশ জমা নিয়ে সুখবর
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- না ফেরার দেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি
