বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মমতা!

বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপের জন্য আবারও কণ্ঠ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন, যাতে দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা নিরসন করা যায়। মমতা জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এর প্রভাব কেবল ওই দেশে নয়, ভারতেও পড়তে পারে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ধর্মীয় সহিংসতা ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে অনেকের কাছেই একটি বড় সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এসব ঘটনার মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এসব সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা উদ্বেগজনক। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য যাতে পরিস্থিতি শান্ত করা যায়। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় জনগণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
মমতা আরও বলেন, বাংলাদেশে সৃষ্ট এই অস্থিরতা ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি জানান, বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর মাধ্যমে দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হতে পারে, যা ভারতেরও স্বার্থে হবে।
এছাড়া, মমতা ভারত সরকারের প্রতি আরও কিছু দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত সরকারকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের সহিংসতা একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়, এবং এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।”
মমতার এই মন্তব্যের পর থেকে রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন মতামত উঠে এসেছে। কেউ কেউ তার দাবি সমর্থন করেছেন, আবার কিছু ব্যক্তি মনে করেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হতে পারে। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তার উদ্দেশ্য কখনোই বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করা নয়, বরং দেশের মানুষের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ভারতের সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
মমতার আহ্বান এবং পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সৌদি আরব ও বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা
- আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যু নিয়ে গুজব: জানা গেল প্রকৃত সত্য
- ২১০ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
- সকালে যে আম্মা ডাকে রাতে ক্ষুধা মিটাতে বিছানায় ডাকে
- আজকের সোনার দাম: কত পড়ছে এক ভরি
- বাংলাদেশে ২০০ টাকায় স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবহার—বাস্তবতা কতটা
- বাংলাদেশে কোন রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- ঢাকায় ল্যান্ডের সময় ৬ বারেও ব্যর্থ পাইলট, তারপর যা ঘটলো
- ২০২৫-২৬ বাজেটে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা যতটা বাড়বে
- সিনেমার প্রয়োজনে ৩ সিনেমায় সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েছিলেন ঐশ্বর্যা রাই
- আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ৬ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি', প্রস্তুত ভোলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র
- নতুন করে যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান
- আসিফ নজরুল কি সত্যিই বলেছেন, ‘ভুল করেছি আ.লীগ নিষিদ্ধ করে’