৬৫০ দিন পরও সেঞ্চুরি নেই বাংলাদেশের
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিং জুটির বড় রানের অভাব ক্রমশ চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে। সর্বশেষ ৬৫০ দিন ধরে কোনো ওপেনিং জুটি সেঞ্চুরির দেখা পায়নি, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক বড় রকমের সমস্যা। ওপেনারদের সাফল্যহীনতা এ দলের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম দুর্বল দিক হয়ে উঠেছে, আর এই খরা চলছেই।
জাকির হাসান এবং সাদমান ইসলাম সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেনিংয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাকিস্তান সিরিজ থেকে শুরু করে তারা নিয়মিত ওপেনার হিসেবে মাঠে নামলেও, বিগত ৭ ইনিংসে তারা একবারও ৬২ রানের বেশি জুটি গড়তে পারেননি। এর মধ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া যায়নি, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি দীর্ঘ সময়ের খরা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ওপেনিং ব্যর্থতার দীর্ঘ তালিকা:
বাংলাদেশের সর্বশেষ ওপেনিং সেঞ্চুরি এসেছিল ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। জাকির হাসান তার অভিষেক টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ১২৪ রানের জুটি গড়েন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ওপেনিংয়ে কোনো সেঞ্চুরি জুটি গড়তে পারেনি। এই সময়ের মধ্যে ২১টি ইনিংস পার হয়েছে, যেখানে ৫টি ভিন্ন ওপেনিং জুটি চেষ্টা করেও কোনো সাফল্য পায়নি।
মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হাসান সবচেয়ে বেশি ১০টি ইনিংসে একসঙ্গে ওপেন করেছেন। কিন্তু তারা সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটিই গড়তে পেরেছেন, যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। জয়ের চোটের পর সাদমান ইসলামের সুযোগ মেলে, কিন্তু তার সঙ্গে জাকিরের জুটিও বড় রান করতে ব্যর্থ হয়।
বড় জুটির আশার আলো মেলে না:
ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান এবং জাকির ৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন, যা সামান্য আশার আলো দেখালেও সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকি আজ কানপুরের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও বাংলাদেশ মাত্র ২৬ রানেই ওপেনিং জুটি হারায়। ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্সে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোচের ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের অভাব:
ওপেনারদের ব্যর্থতা নিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পও সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না। তিনি জানান, "আমরা এ বিষয়ে কথা বলছি এবং অনুশীলনে কাজ করছি।" তবে সমস্যা সমাধানের দিকেও ইঙ্গিত দেন তিনি। তার মতে, ভালো শুরু করলেই সেটা লম্বা ইনিংসে পরিণত করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, "৪০ থেকে ৬০ বল খেলার পর লক্ষ্য হতে হবে ১২০ বল খেলা। যদি আপনি এটা করতে পারেন, তবে প্রাপ্য পুরস্কার পাবেন।"
কোচের পরামর্শ সত্ত্বেও বাংলাদেশের ওপেনাররা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ, যার ফলে দলের ব্যাটিং লাইনআপে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ দলকে ওপেনিং জুটি গড়ার এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আরও সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং ধারাবাহিক উন্নতি প্রয়োজন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১৮ ডিসেম্বরে পে-স্কেল ঘোষণা, যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: তিন ধাপে আসছে নবম পে-স্কেল
- নবম পে-স্কেল: গেজেট নেই, ১৮ ডিসেম্বর নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- অর্থ উপদেষ্টা কী বলছেন! পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন মোড়
- সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল আপডেট: অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
- Ipl Auction 2026: মুস্তাফিজের দিকে নজর ৫ দলের
- আইপিএল নিলাম ২০২৬: এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা, মুস্তাফিজের অবস্থান কি
- নবম পে-স্কেল: সর্বশেষ অগ্রগতি জানাল পে-কমিশন
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আইপিএল ২০২৬ নিলাম: মুস্তাফিজ-রিশাদের অবস্থান
- নতুন পে-স্কেল আপডেট: গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা ভাবছে সরকার
- ওসমান হাদির বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু
- IPL Auction 2026: সরাসরি দেখুন
