পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে বাংলাদেশের একাধিক রেকর্ড

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন জয় নেই, নেই ভালো কোন রেকর্ড। এবার পাকিস্তান সফরে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দিল বাংলাদশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় ছিল তাদের ব্যাটসম্যানদের অধারাবাহিকটা। শেষ টেস্ট সিরিজে লঙ্কার বিপক্ষে তাদের ব্যাটিং ব্যর্থ হয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তানে পৌঁছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বদলে যায়।
শান মাসুদের দলের ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে। সাদান মুশফিক একাধিক রেকর্ডিং তৈরি করেছেন। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৩ রান। বাংলাদেশ থেকে এখনো ৯৪ রানে পিছিয়ে আছেন শান মাসুদ।
এর আগে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৬১ রান। ২০০৩ সালে প্রথম ইনিংসে এই রান করেছিল খালিদ মাহমুদ সুজনের দল।
২১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে ৫৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। এর পেছনে মুশফিকের বড় ভূমিকা রয়েছে। এই উইকেটরক্ষকের ১৯১ রান এবং সাদমান ইসলামের ৯৩ রান নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে রেকর্ড গড়েছে।
পাকিস্তানের মাটিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের পর প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের লিডও নেয় বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৬ রানের লিড ছিল বাংলাদেশ। যা ছিল এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ লিড। তবে আজ রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে ১১৭ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২১ বছরের পুরনো আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন মুশফিক। ২০০৩ সালের পেশোয়ার টেস্টে (৬৬) পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র একবারই লিড নেয় বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশ শুধু পাকিস্তানের মাটিতেই সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়েনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশ বা দেশের বাইরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৫৫৫ রান। যা ২০১৫ সালে খুলনায় করেছিল তামিম ইকবাল- ইমরুল কায়েসরা।
১১ বছর আগে করা সেই ৫৫৫ রানই ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সেই রেকর্ড ভেঙে ৫৬৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। দলীয় দুটি রেকর্ড ভাঙার দিনে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত রেকর্ডও গড়েছেন মুশফিকুর রহিম।
চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুশফিক। তবে ১৯১ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি ৯ রানের জন্য হাতছাড়া করেন এই উইকেটকিপার।
ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও বাংলাদেশ একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। দেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ৪টি সেঞ্চুরি ছিল ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুশফিকের। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে তামিমের সেই রেকর্ড ভেঙে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরির মালিক হলেন মুশফিক।
শুধু সেঞ্চুরি নয়, এই এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের মাঠে রানেও তামিমকে টপকে গেছেন মুশফিক। এতদিন প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি ২৩২৯ রান ছিল তামিমের। তাঁর চেয়ে ১৩৯ রানে পিছিয়ে ছিলেন মুশফিক। আজকের ইনিংসের পর টেস্টে প্রতিপক্ষের মাঠে এখন ২৩৮১ রান মুশফিকের। তিনে থাকা হাবিবুল বাশারের রান ১৬৩৭।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ
- আবারও ইসরায়েলে হামলা
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হতে পারে বিকট শব্দ, যা জানা গেল