কুমিল্লার বিপিএল না খেলার ইচ্ছা নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবির সিইও

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল ও বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বলা হয় বিপিএলের অন্যতম সফল দল। দলটি ছয়বার অংশগ্রহণ করে চারবার শিরোপা জিতেছে। তারা তাদের পঞ্চম শিরোপা লড়াই করতে প্রস্তুত। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক নাফিসা কামাল বলেছেন, গভর্নিং কাউন্সিলের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন না হলে আগামী আসর থেকে বিপিএলে অংশ নেওয়া কুমিল্লার পক্ষে সম্ভব হবে না।
"কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তিনটি রাজস্বের অংশ চায় - টিকিটের অধিকার, গ্রাউন্ড রাইটস এবং মিডিয়ার অধিকার," নাফিসা বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএল খেলতে ইচ্ছুক যদি গভর্নিং কমিটি তাদের রাজস্বের ন্যূনতম অংশও দেয়। তারা (বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল) আমাদের ন্যূনতম রাজস্ব দিলে আমরা তা গ্রহণ করব।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিকের বক্তব্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে বিপিএলের বাজার ছোট এবং বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই সীমা দিয়ে লভ্যাংশ বণ্টন করে বিপিএল নিষ্পত্তি করা কঠিন হবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি টেকসই বিপিএল করতে চাচ্ছি। সেটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নয়, এটা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্যও। যে সমস্ত লভ্যাংশ ভাগের মডেলকে উদাহরণ হিসেবে আনা হচ্ছে, সেই লিগগুলোতে কিন্তু ফ্যাঞ্চাইজি ফি বলেন বা অন্য আর্থিক কাঠামো অনেক উপরে। তারা যে মডেলে করছে, আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না। আর সেটা আমাদের জন্য টেকসই হবে না ফ্যাঞ্চাইজি ফি’সহ আর্থিক দিক বিবেচনায়। সেক্ষেত্রে এটা তুলনা যোগ্য নয়। আমরা আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী এটা করি। এ বিষয়ে লভ্যাংশ ভাগে বোর্ডের আগে যে অবস্থান ছিল এখনও সেটাই আছে। এখনও পর্যন্ত লভ্যাংশ ভাগের যে মডেল সেটা আমরা ওভাবে যাচ্ছি না, চিন্তাও করতে পারছি না বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য বিষয়টা সামলানো কঠিন হবে।’
নিজামউদ্দীন চৌধুরী দাবি, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি তাদের সাথে বসতে আগ্রহী হয়, তাহলে তারা (বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল) তাদের বোঝাতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলাদা করে বসলে তাদের বোঝাতে সক্ষম হব যে, আমরা কি মডেল করছি আর অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো কি মডেলে হচ্ছে। এটা হলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারবে। কাউকের রেফারেন্স হিসেবে নিচ্ছি না। তবে আমাদের সঙ্গে কিন্তু বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল বলেন বা বোর্ডের সঙ্গে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারও কোনো অভিযোগ থাকলে সেগুলো আমরা দেখি এবং আলাপ করা হয়। বিশেষ করে যখন আমাদের টুর্নামেন্ট শুরু হয়, তখন প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। তাদের যে কোনো বিষয় যখন যেটা আসে আমরা দেখার চেষ্টা করি।’
বিসিবি সিইওর শেষ কথা, ‘কোন ধরণের বিষয় যদি আসে আমরা অবশ্যই বসবো। এর আগের সংবাদ সম্মেলনে এ ধরণের কোনো কমিটমেন্ট করেছি কি না মনে পড়ছে না। যদিও কারও আমাদের সঙ্গে বসতে হয় তাহলে অলওয়েজ ওয়েলকাম।’
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- নিজের পদত্যাগের সময় জানালেন ড. ইউনূস
- মোবাইলের ডায়াল প্যাড পরিবর্তন: আগের অবস্থায় ফিরবেন যেভাবে
- ১৬ বছরের হারানো ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সেনাবাহিনী
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ
- ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ ভারত বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখুন
- বিপদে পড়ে সুদে টাকা নিলে কি গুনাহ হবে!
- মোবাইলের ডায়াল প্যাড বদলে গেল কেন, সহজ সমাধান
- হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি যুক্তরাষ্ট্র, গুজব নাকি সত্য
- বাংলাদেশিদের জন্য মোদির বড় সুখবর
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ভারত বনাম বাংলাদেশ হাইভোল্টেজ ম্যাচ
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল বাংলাদেশের খেলা
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের সম্ভব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড
- কবে সরকার থেকে বিদায় নেবেন ড. ইউনূস, জানালেন নিজেই