ধোনির সেই শটে দু'টো আঙুল ভেঙে গিয়েছিল বোলারের

কিন্তু উত্তর যাই হোক না কেন, এই সত্যটি অস্বীকার করার কিছু নেই যে, ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে ভক্তরা ভারতীয় এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ক্রিকেট মাঠে ফিরতে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
আইপিএলে তাঁর শেষ আসরে হতে পারে কিনা, তা নিয়ে জোর আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে গত ২০১৯ সালের পর প্রথম বারের মতো চেন্নাইয়ে নিজের হোম গ্রাউন্ডে খেলতে নামবেন ভারতীয় এই সাবেক ক্রিকেটার। আইপিএলের ১৬তম সংস্করণের আগে বন্ধু এবং টিম ইন্ডিয়া ও সিএসকে-র প্রাক্তন সতীর্থ রবিন উথাপ্পা ধোনির সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাতের গল্প করতে গিয়ে অসাধারণ এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
ভারতের এক তারকা ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা, যিনি গত বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা জানিয়েছিলেন ক্রিকেট ভক্তদের, তিনি বর্ণণা করেছেন, বেঙ্গালুরুতে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের সময় ধোনি কী ভাবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীধরন শ্রীরামের আঙুল ভেঙে দিয়েছিলেন ভারতের অন্যতম সেরা ফিনিশার মহেন্দ্র সিং ধোনি।
উথাপ্পা জিও সিনেমাতে বলেছেন, ‘আমি প্রথম বার এমএস ধোনিকে ২০০৩ সালে বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে ইন্ডিয়া এ ক্যাম্পের সময় দেখেছিলাম। এমএস চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মাঝখানে মুনাফ প্যাটেলের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অনুসীলন করছিল। সেখানে আবিষ্কর সালভির মতো অন্যান্য ফাস্ট বোলার ছিল। এবং এমএস লম্বা সব ছক্কা হাঁকাচ্ছিল। হেলিকপ্টার শট মারছিল। কিছু বল তো স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে পড়ছিল।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আসলে ওর শটে শ্রীধরন শ্রীরাম চোটও পেয়েছিল। ধোনি স্টেপ আউট করে সোজা বোলারের দিকে বল মারে। শ্রীরাম আটকাতে গেলে ওর হাতে এসে এটি আঘাত করে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, ও বলের পিছনে দৌড়াচ্ছে কিন্তু ও বলটি অতিক্রম করে ড্রেসিং রুমের দিকে দৌড় লাগায়। ও তখনই জানত যে, ওর আঙুল ভেঙে গিয়েছে। ওর দু'টি ভাঙা আঙুল ভেঙে গিয়েছিল। তখনই আমরা সবাই ধারণা করেছিলাম, এমএস কতটা জোরে বল মারে। তার পর আমি জানতাম যে, ও ভারতের হয়ে খেলবে।’
উথাপ্পা এবং ধোনি ভারতের হয়ে এবং তার পর সিএসকে-এর হয়ে একসঙ্গে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছেন। ডান-হাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান প্রকাশ করেছেন, কী ভাবে ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে ধোনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।
উথাপ্পা বলেছেন, ‘আমরা ২০০৪ সালে বন্ধু হয়েছিলাম কিন্তু একসাথে ততটা খেলিনি। আমি তখনও একজন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার ছিলাম এবং এমএস ইন্ডিয়া খেলছিল। আমি চ্যালেঞ্জার সিরিজের মতো এখানে ওখানে ওর সাথে দেখা করতাম। আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর ছিল আবুধাবিতে। সেখানে আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম।এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা দু'জনেই জামাকাপড়ের শৌখিন ছিলাম। আমরা অনেক কেনাকাটা করতে যেতাম। আমরা একসঙ্গে খেতাম। আমাদের একটি দল ছিল। সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠান, আরপি সিং, পীযূষ চাওলা, মুনাফ প্যাটেল, এমএস এবং আমি। আমরা প্রতিদিন অর্ডার করতাম ডাল মাখানি, বাটার চিকেন, জিরা আলু এবং রুটি। এমএস খাবারের দিক থেকে খুব কঠোর ছিল। ও বাটার চিকেনের মাংস খেত না। শুধুমাত্র গ্রেভি খেয়েই সন্তুষ্ট থাকত। চিকেন খেলে ও রুটি খেত না। ও একটুও বদলায়নি।’
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া দাবি: ব্যারিস্টার সুমনের মুক্তির আসল সত্য
- ২০৩৫ সালে বাংলাদেশে এক ভরি সোনার দাম কত হবে