বিসিবির ভাবনার কারন যখন সেই তাণ্ডব পেসার

করেছিলেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। আইপিএলের ইতিহাসে একমাত্র বিদেশি খেলোয়ার হিসেবে পেয়েছিলেন সেরা উদীয়মান তারকার খেতাব। যেটা মুস্তাফিজের আগে পরে আর কেও পায়নি। সে বছর সানরাইজারসও পেয়েছিলো আইপিএলের শিরোপা।
কিন্তুু সেই মধুচন্দ্রিমা বেশি দিন টেকেনি।আগমনের বছর দুয়েক পর থেকেই নিজেকে হারাতে শুরু করেছেন। যেই মুস্তাফিজের এক একটা বল ছিলো আগুনের গোলা সেই মুস্তাফিজ কিনা হয়ে গেলেন রান করার সবচেয়ে সেইফ অপশন।
চলতি বিপিএলেও একই অবস্থা। এই বিপিএলে তার খেলা ৬ ম্যাচে পেয়েছেন কেবল ২ উইকেট। পরিসংখ্যান দেখার পর কিছুটা চমকে উঠতেই হয়। কিন্তু বাস্তবতা এতটাই নির্মম যে, মোস্তাফিজ গোটা বিপিএলে নিজের ছায়া হয়ে আছেন। ৬ ম্যাচে ২০ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ১৫৭ রানে পেয়েছেন কেবল ২ উইকেট। যেখানে তার বোলিং গড় ৭৮.৫০। ইকোনমি ৭.৮৫।
মাঝে ইনজুরিতে পড়ে চার ম্যাচ মিস করেছেন বাঁহাতি পেসার। কিন্তু ইনজুরির আগে-পরে ধারহীন তার বোলিং। ব্যাটসম্যানদের নুন্যতম ভোগাতে তো পারছেনই না উল্টো রান দিচ্ছেন উদার হস্তে
জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে আলাদা আলাদা চুক্তিতে পেসার রয়েছেন ছয়জন। কেবল তাসকিন আহমেদই রয়েছেন তিন ফরম্যাটে। বাকিরা কেউ এক ফরম্যাটে, কেউ দুই ফরম্যাটে। চুক্তিভুক্ত পেসারদের মধ্যে মোস্তাফিজ ও ইবাদতের বোলিং সবচেয়ে হতশ্রী। ইবাদত ৪ ম্যাচে ১৪৪ রান দিয়ে পেয়েছেন কেবল ১ উইকেট। বোলিং ইকোনমি ১২.০। তবে কেবল লাল বলের চুক্তিতে থাকায় তার বোলিং নিয়ে ভবিতব্য নয়।
সব ভাবনা কেবল মোস্তাফিজকে ঘিরেই। শনিবার চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৬ রান দিলেও বাকি ৩ ওভারেই ৩৮ রান বিলিয়ে আসেন। স্লগ ওভারে নিয়মিতই রান দিচ্ছেন বাঁহাতি পেসার।
খুলনার বিপক্ষে ৩৯ রান দেওয়া ম্যাচে শেষ দুই ওভারেই দেন ২৩ রান। মোস্তাফিজের বিপিএল শুরু হয়েছিল ১ উইকেটে ৩১ রান দিয়ে। পরের ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ২৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। চট্টগ্রামে প্রথমবার খেলতে নেমেই চোটে পড়েন। ১ ওভার বোলিংয়ের পর মাঠ থেকে উঠে যান।
১৪ দিন পর মাঠে ফিরে ফেরার ম্যাচ রাঙিয়েছিলেন দারুণ বোলিং। বলার মতো সেদিনই ভালো বোলিং করেছেন। ৪ রানে জয় পাওয়া সেই ম্যাচে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছিলেন। সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৪ ডট বল দিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। বাকি পাঁচ ম্যাচেই অনুজ্জ্বল তিনি।
কুমিল্লা টানা সাত ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করেছে সেরা চার। দল ভালো করায় মোস্তাফিজের বিবর্ণ পারফরম্যান্স খুব একটা প্রভাব পড়েনি। এজন্য তার বোলিং নিয়ে খুব একটা চিন্তিতও নয় কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
‘মোস্তাফিজককে নিয়ে আমি কখনোই দ্বিধাদ্বন্দে ভুগি না। আপনাকে সে তিনটা-চারটা ম্যাচ জেতাবে সেটা আমি ধরেই রাখি। দুয়েকটা ম্যাচে সে মার খেতেই পারে। ছন্দে না থাকলে সে হয়তো ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। প্রতিদিন তো সে ভালো বল করবে না। তার উপর আমার পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে। আমি জানি যখন দরকার হবে তখন ঠিক জায়গায় সে ঠিক বলটাই করবে। এই আত্মবিশ্বাসটা আমার সব সময়ই আছে।’
সামনে দুই ম্যাচ জিতলে তাদের নিশ্চিত হবে কোয়ালিফায়ার। এরপর শিরোপার লড়াই। নিজের ছায়া হয়ে থাকা মোস্তাফিজ শেষটায় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আফগানিস্তান বাংলাদেশ ম্যাচ; কোন দল জয়ী হবে জানাল জ্যোতিষ টিয়া
- যে ৭ টি আসনে জামায়াতকে হারানো প্রায় অসম্ভব
- দেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচে যা-ই ঘটুক, সুপার ফোরে বাংলাদেশের ৩টি সমীকরণ
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি আসছে
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ল স্বর্ণের দাম
- পৃথিবীর কেন্দ্র উল্টো দিকে ঘুরছে, পশ্চিমে সূর্যোদয়ের জোরালো বার্তা
- আসছে বিরল সূর্যগ্রহণ, ৬ মিনিট অন্ধকারে থাকবে পৃথিবী
- ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মেম্বর সচিব, কার বেতন কত
- হাত না মেলানোয় যে শাস্তি পাচ্ছে ভারত পাকিস্তান
- আবহাওয়ার দুঃসংবাদ, দেশে টানা ৫ দিন থাকবে বৃষ্টি
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: আসছে নতুন বেতন কাঠামো
- এক হচ্ছে দেউলিয়া হওয়া ৫ ইসলামী ব্যাংক
- ২৫ সেপ্টেম্বর সূর্যগ্রহণ: কোথায় দেখা যাবে