জানলে অবাক হবেন স্বর্ণের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হয়

এই দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়া হলমার্ক করা ২১ ক্যারেট সোনার ভরি ৮০ হাজার ৪৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৮ হাজার ৯৯৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরির দাম দাঁড়াবে ৬৬ হাজার ৯৭৯ টাকায়। স্বর্ণের দামের এমন ওঠানামার বিষয়টি নির্ভর করে চাহিদা ও জোগানের ওপরে, যেটা কিনা যেকোনো পণ্যের দামের ওঠানামা বিষয়টি নির্ভর করে। তবে সোনার ক্ষেত্রে যোগ হয় ভোক্তার আচরণ।
স্বর্ণের দাম সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দামের ওপর নির্ভর করে। কারণ ধাতুটি ডলারের মূল্যমান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ডলারের দাম বাড়লে স্বর্ণের দাম কমে যায় এবং ডলারের দাম কমলে স্বর্ণের দাম বাড়ে। এবারে ডলারের দামও বেড়েছে স্বর্ণের দামও বেড়েছে। কারণ, ডলারের দাম এভাবে ওঠা-নামা করলে মানুষ আর ডলারের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
তখন স্বর্ণকেই বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। কারণ মুদ্রার দাম দ্রুত ওঠানামা করলেও স্বর্ণের দাম দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থিতিশীল থাকে। এভাবে সংকটকালে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়াল। বর্তমানে ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় অনেক দেশ ডলার বিক্রী করে স্বর্ণ কিনতে শুরু করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক বা ভূ রাজনৈতিক অস্থিরতা মুদ্রাস্ফিতি, মূল্যস্ফিতি, অর্থনৈতিক মন্দা এমনকি যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারির সময়ে ডলারের দাম বাড়াকমার সঙ্গে স্বর্ণের দাম বাড়া কমার সঙ্গে স্বর্ণের দাম ওঠানামা করে।
বিশ্ব বাজারে ডলারের মতো স্বর্ণও একটি কারেন্সি বা মুদ্রা। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ হিসাবে এবং ব্যবসা করতে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ ও ডলার দুটিই কিনে রাখে। আবার বিনিয়োগকারীরা তাদের সম্পদ রক্ষার জন্য এবং লোকসান ঠেকাতে স্বর্ণের মতো বাস্তব সম্পদ কিনে মজুদ করে। তখনো স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যখন তাদের আর্থিক রিজার্ভকে বৈচিত্রময় করে অর্থ্যাৎ মুদ্রা থেকে সরে স্বর্ণের দিকে ঝোঁকে তখন স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। বিশ্বের অনেক দেশের বিজার্ভের বড় অংম স্বর্ণের মজুদে গঠিত। জিন ফগ্লারের এক গবেষণায় এমনটা বলা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, ২০১৯ সালে তুরস্ক ছিল স্বর্ণের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তারপর রয়েছে রাশিয়া, পোল্যাণ্ড এবং চীন। ২০১৯ সালে মোট ৬৫০ টন স্বর্ণ কিনেছে দেশগুলো।
আগরওয়াল ব্যাখ্যা করেছে ক্রুড ওয়েল এবং স্বর্ণ একে অপরের সঙ্গে জড়িত। নানা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার যেমন থাকে তেমনি স্বর্ণও গচ্ছিত থাকে। স্বর্ণ একটি পণ্য কিন্তু মূল্য পরিশোধেও এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। তেলের দাম বাড়লেও স্বর্ণের দাম বাড়ে। আবার উল্টোটাও হয়। মুদ্রায় অস্থিরতা থাকলে প্রায়শই অপরিশোধিত তেলের মূল্য স্বর্ণে পরিশোধ করা হয়। তেলের দাম বাড়লে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। যার ফলে শঙ্কিত হয়ে স্বর্ণ মজুদ রাখার প্রবণতা বাড়ে তখন দামও বাড়ে।
বাংলাদেশের পরিবার অথবা একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ জমিয়ে রাখার প্রবণতা রয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সায়মা হক বলেছেন, এটি এমন এক বিনিয়োগ মনে করা হয়-অর্থের মূল্য ধরে রাখা যায় না, এক্ষেত্রে স্বর্ণ কিনে রাখা লাভজনক কারণ এর মূল্য কমার চেয়ে বাড়ার প্রবণতাই বেশি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে সরকারি বেতন কত বাড়ছে: যা জানা গেল
- ৮-৯ অক্টোবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি: যা জানা গেলো
- বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর মার্চে: বাড়ছে বেতন অনুপাত ও ভাতা
- শনিবার সারা দিন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে যেসব জেলায়
- বাজারে আসছে নতুন MVNO সিম: অবাক করা অফার
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: সরাসরি দেখুন
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর কবে, জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- পে স্কেলের অনুপাত হিসাব কিভাবে হয়!
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে আজ বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তনা ম্যাচ: সরাসরি দেখুন
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- কিডনি নষ্ট হলে শরীর যেভাবে সংকেত দেয়