ডমিঙ্গোর স্থায়িত্বকাল হয়তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই
আর প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ওয়ানডের সাফল্যকে পুঁজি করেই চাকরি টিকিয়ে রাখছিলেন। তবে এবারের জিম্বাবুয়ের সফর যেনো টাইগারদের বাস্তবতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে উভয় সিরিজেই স্বাগতিকদের কাছে বেশ বাজেভাবেই হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে আমরা একটি ক্রিকেট পরাশক্তি এ মতবাদটিকে বেশ অনায়াসেই উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েনরা। এখন প্রশ্ন হলো এত শত ব্যর্থতার পরও কেন ডমিঙ্গোকে চাকরিচ্যুত করছে না বিসিবি।
আগে তো কখনোই এভাবে কোনো কোচকে প্রশ্রয় দেয় নাই দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। উদাহরণস্বরূপ ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে নিতে না পারায় চাকরিচ্যুত হন তখনকার প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। বিসিবির এই সিদ্ধান্তটিও বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপর থেকেই যেন আস্তে আস্তে টাইগারদের খারাপ সময় শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপের পরের সিরিজেই লংকানদের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
এখানে প্রশ্নটা হলো বাংলাদেশ কি নিশ্চিত সেমিফাইনাল খেলার মত একটি দল ছিল? অবশ্যই না। তবে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটি খেললে হয়তো খেলতেও পারতো। এবং মোটামুটি ২০১৯ বিশ্বকাপটি বেশ ভালই কেটেছিল টাইগারদের। তারপরও শুধুমাত্র সেমিফাইনালে না খেলার ক্ষোভে চাকরিচ্যুত করা হয় রোডসকে। ক্রিকেট বোর্ডের মতো একটি পেশাদার বোর্ড কখনোই এতো আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। স্টিভ রোডসের পদ ছাড়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির গ্রাফ নিম্নগামী হতে থাকে।
রোডসের বেলায় এত শক্ত ক্রিকেট বোর্ড, ডমিঙ্গোর বেলায় একদমই বিপরীত আচরণ করছে। ডমিঙ্গোর অধীনে ২০২১ বিশ্বকাপের মূল পর্বের সবগুলো ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বেও স্কটল্যান্ডের মতো দলের সাথে হারতে হয়েছে টাইগারদের। পরবর্তীতে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পাকিস্তানের কাছে ধবল ধোলাই হয় টাইগাররা।
সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই টাইগারদের পারফরমেন্স ছিল জঘন্য। টেস্ট ম্যাচেও এক নিউজিল্যান্ডকে হারানো ছাড়া তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স আসেনি ডমিঙ্গোর আমলে। সামনের এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দল অসাধারণ কিছু করে ফেলবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে সত্যিই যদি সবাইকে চমকাতে পারে টাইগাররা, তাও হয়তো সেই সাফল্য খুব বেশি দিন থাকবে না।
ব্যাপারটি একদম পরিষ্কার ডমিঙ্গোর সাথে কোনোভাবেই মানিয়ে নিতে পারছে না দেশের ক্রিকেটাররা। পরিকল্পনাহীনতা থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের সাথে ব্যক্তিগত দূরত্ব সব সমস্যাই রয়েছে ডমিঙ্গোর। ডমিঙ্গোর চলে যাওয়াটাই হয়তো দেশের ক্রিকেটের জন্য শ্রেয়। বোর্ড সেটি করবে তো? নাকি স্বপ্নের ২০২৩ বিশ্বকাপটাও ডোবানো হবে ডমিঙ্গোর অধীনে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- মহার্ঘ ভাতা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা!
- আজকের সোনার বাজারদর: ৮ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে-স্কেল জানুয়ারি থেকে কার্যকর, বাড়তি চাপ পড়বে যেসব খাতে
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- নতুন পে স্কেলে যেসব আর্থিক সুবিধা বাড়তে পারে
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- আজকের সোনার বাজারদর: ৯ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে স্কেলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে সুপারিশ
- ১২ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে, ৫ বেসরকারি ব্যাংক 'নামেমাত্র টিকে আছে'
- সরকারি পে স্কেল: অর্থ বরাদ্দ শুরু, জিপিএমএস আসছে
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
