| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

এমন ক্রিকেট খেলাটাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২২ আগস্ট ০৮ ১৭:০১:৩০
এমন ক্রিকেট খেলাটাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য

উড়তে থাকা বাংলাদেশের হারের পেছনে অনেকেই অনেক ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছে। তবে নিঃসন্দেহে একটি ব্যাপারে সবাই একমত, যে বর্তমান সময়ের সাথে মানানসই ক্রিকেট খেলছেন না টাইগাররা। টাইগাররা এক ধরনের নিরাপদ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছেন। যেটি বর্তমান সময়ের সাথে একদমই মানানসই নয়। প্রথম ওয়ানডেতে একদম ব্যাটিং স্বর্গেও ৩০৩ রান এর বেশি করতে পারেননি টাইগাররা।

কিংবা করার চেষ্টাই করেননি ব্যাটসম্যানরা। ৫০ ওভার শেষে হাতে আরো আট উইকেট ছিল বাংলাদেশের। চেষ্টা করলে সেখান থেকে অনায়াসেই ৩৩০ রান করতে পারতেন ব্যাটসম্যানরা। তবে স্লগ ওভারেও বেশ ধীরেসুস্থে ব্যাট করেছেন দুই সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যেন ৩০০ পেরোলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা নিশ্চিত।

এক্ষেত্রে পরিকল্পনায়ও মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি অধিনায়ক এবং ম্যানেজমেন্ট। শেষ পাঁচ ওভারে কোন যুক্তিতে আফিফকে না নামিয়ে রিয়াদকে নামানো হয়েছে? এর উত্তরটি অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া বোধহয় আর কারো কাছেই নেই। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যে আর সে আগের রিয়াদ নেই তা তো সবারই জানা, এছাড়া বেশ লম্বা সময় ধরে ফর্মহীনতায় ভুগছেন রিয়াদ।

ওই পরিস্থিতিতে নিঃসন্দেহে ক্রীজে নামার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত খেলোয়াড় ছিলেন আফিফ। প্রথম ওয়ানডের মতোই দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও নিরাপদ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছেন ক্রিকেটাররা। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হলে আরো বেশি ধীরগতির ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে আফিফ এবং মাহমুদুল্লাহর ভালো একটি পার্টনারশিপ হলেও রানের গতি ছিল কম।

শেষ পর্যন্ত ৮৪ বলে ৮০ রান করে অপরাজিতো থাকেন রিয়াদ। তবে এই ইনিংসের পরও রিয়াদকে নিয়ে সমালোচনা ঠিকই হচ্ছে। সমালোচনা হওয়ার মূল কারণ এই ধরনের ব্যাটিং স্বর্গে ২৯০ রান কখনোই যথেষ্ট নয়। তাহলে রিয়াদ কেনো আরো একটু আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করলেন না। ৮৪ বল খেলে এই উইকেটে আরো বেশি রান অনায়াশেই করা যায়।

যা জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা টাইগারদের করে দেখিয়েছে। টাইগারদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপদ ক্রিকেট খেলার প্রবণতা বেশ ভালোভাবেই রয়েছে। যা ভবিষ্যতে বেশ ভোগাবে টিম বাংলাদেশকে। পাওয়ার প্লেতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা, মিডেল ওভারে দেখেশুনে ধীরে সুস্থে খেলা, পরবর্তীতে শেষের ওভার গুলোতে আবারো হাত খোলার চেষ্টা করা।

এই ধরনের ক্রিকেট ২০০৫-৬ সালের দিকে খেলা হতো। যা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। দ্রুতই পরিবর্তন করতে হবে খেলার ধরন তা না হলে নিজেদের প্রিয় সংস্করণে ও হারতে হবে অধিকাংশ ম্যাচেই।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাঞ্জাবকে যত রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাঞ্জাবকে যত রানের টার্গেট দিল চেন্নাই

আজ ১ মে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ৪৯ তম ম্যাচে মুস্তাফিজের চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হয়েছে পাঞ্জাব। এই ...

৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজকে পরের মৌসুমে দলে পেয়ে লড়বে ৪ দল

৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজকে পরের মৌসুমে দলে পেয়ে লড়বে ৪ দল

আজ ১ মে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ৪৯ তম ম্যাচে মুস্তাফিজের চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হয়েছে পাঞ্জাব। এই ...

ফুটবল

এবার বাংলাদেশে আসবেন মেসি

এবার বাংলাদেশে আসবেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন বাংলাদেশের যুব ...

ব্রাজিল-৫, আর্জেন্টিনা-১

ব্রাজিল-৫, আর্জেন্টিনা-১

মার্চের আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রায় সব জাতীয় দলই ম্যাচ খেলেছে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো ছাড়াও দলগুলো ...



রে