পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ব্যভিচার (জিনা) কখন ও কীভাবে শুরু হয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানব ইতিহাসের আদি পর্বের ধর্মীয় বর্ণনা অনুযায়ী, পৃথিবীতে জিনা বা ব্যভিচারের সূচনা কখন এবং কীভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। এই প্রতিবেদনটি হযরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) এর সন্তানদের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম মানবহত্যা এবং জিনার সূচনার ইসলামিক বিবরণ এবং জেনাকারীর শরীয়তি শাস্তি নিয়ে আলোচনা করছে।
মানবজাতির বংশবিস্তার ও প্রথম বিবাহ
জান্নাত থেকে পৃথিবীতে আসার পর হযরত আদম (আ.) এবং মা হাওয়া (আ.) এর মাধ্যমে মানবজাতির বংশবিস্তার শুরু হয়। মা হাওয়া (আ.) প্রতিবার জোড়ায় জোড়ায়—একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান—জমজ রূপে জন্ম দিতেন।
* তৎকালীন বিধান: তখনকার শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, ভাই-বোনদের মধ্যে বিবাহ বন্ধন বৈধ ছিল। তবে, এক জোড়ার পুত্র সন্তানের সাথে অন্য জোড়ার কন্যা সন্তানের বিবাহ দেওয়া হতো। এই বিধান কার্যকর ছিল, কারণ তখন পৃথিবীতে আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) ছাড়া আর কোনো মানুষ ছিল না।
* হাবিল ও কাবিলের বিবাহ: প্রথম দুই জোড়া সন্তান ছিলেন হাবিল ও লিউজা (জমজ) এবং কাবিল ও আকলিমা (জমজ)। বিধান অনুযায়ী, প্রথমের পুত্র হাবিলের সাথে দ্বিতীয়ের কন্যা আকলিমার এবং দ্বিতীয়ের পুত্র কাবিলের সাথে প্রথমের কন্যা লিউজার বিবাহ স্থির হয়।
প্রথম মানবহত্যা ও জিনার সূচনা
কাবিল তার জমজ বোন লিউজার চেয়ে অপরূপা আকলিমাকে বিবাহ করতে চাইলেও, শরীয়ত অনুযায়ী তা বৈধ ছিল না। হযরত আদম (আ.) অনেক বোঝানোর পরও কাবিল সিদ্ধান্তে অটল থাকলে, আল্লাহর নির্দেশে হাবিল ও কাবিল উভয়কে কুরবানি দিতে বলা হয়। যার কুরবানি গৃহীত হবে, সেই আকলিমাকে বিবাহ করবে।
* হাবিলের কুরবানি: হাবিল একটি মোটাতাজা মেষ কুরবানি করেন, যা কবুল বলে বিবেচিত হয় (আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে পুড়িয়ে দেয়)।
* কাবিলের হিংসা: কাবিলের কুরবানি কবুল না হওয়ায় সে হিংসায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে এবং ভাইকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
* প্রথম মানবহত্যা: পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, কাবিল ক্রোধের বশবর্তী হয়ে হাবিলকে হত্যা করে। এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মানবহত্যা।
পৃথিবীর প্রথম জিনা:
তারিখের বর্ণনা অনুযায়ী, হাবিলকে হত্যার পর কাবিল তার জমজ বোন আকলিমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গহীন জঙ্গলে চলে যায়। সেখানে শয়তানের কুমন্ত্রণায় তারা দুজনে জিনা বা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। বলা হয়ে থাকে, কাবিল ও আকলিমা-ই পৃথিবীতে সর্বপ্রথম জিনার সূচনা করে এবং তারা অগ্নিপূজাও শুরু করে।
ইসলামে জেনাকারীর শাস্তি
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী জেনাকারীর (ব্যভিচারী) জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে, যা জনসম্মুখে কার্যকর করা বাধ্যতামূলক:
* অবিবাহিত জেনাকারী: ১০০টি বেতের আঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর করতে হবে।
* বিবাহিত জেনাকারী: রজম (পাথর মেরে হত্যা) করতে হবে।
প্রতিবেদনের শেষে, মহান আল্লাহর কাছে এই মহাপাপ থেকে মানবজাতিকে হেফাজত করার জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- মহার্ঘ ভাতাসহ যা যা আছে নতুন পে স্কেলে
- নবম পে স্কেল নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- নবম পে স্কেলের চূড়ান্ত রিপোর্ট: যা যা আছে
- নবম পে স্কেল: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ও ১৩ গ্রেডের প্রস্তাব
- সিলেট টাইটান্স বনাম রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: (Live) দেখুন এখানে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- নবম পে-স্কেল নিয়ে এলো নতুন ঘোষণা
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- নায়ক রিয়াজের মৃত্যুর খবর কি সত্যি? যা জানা গেল
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আজকের সকল টাকার রেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশের জন্য দুঃসংবাদ
- হাড়কাঁপানো শীত কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
- চলছে সিলেট টাইটান্স বনাম রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ: (Live) দেখুন এখানে
