আশা ইসলাম
রিপোর্টার
ডায়াবেটিস কেন হয়! ৫ প্রধান কারণ ও ঝুঁকি জানুন
ডায়াবেটিস এখন কেবল বয়স্কদের রোগ নয়, জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কম বয়সীদের মধ্যেও। কিন্তু আপনার শরীরের এই নীরব শত্রুটির উত্থানের পেছনে ঠিক কোন কারণগুলো দায়ী? জেনে নিন ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ এবং আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসে লুকিয়ে থাকা সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলো।
মূল কারণ ১: আধুনিক জীবনযাত্রার মারাত্মক প্রভাব
ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ প্রকার টাইপ ২ ডায়াবেটিস। এর জন্য অনেকাংশে দায়ী আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রা।
ঝুঁকির কারণ (Risk Factors),ব্যাখ্যা ও বিপদ
স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন,পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমলে কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারায় (Insulin Resistance)। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ।
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা,দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা বা ব্যায়াম না করা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেয়।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস,"উচ্চ ক্যালরিযুক্ত, ফ্যাট ও চিনিযুক্ত খাবার (যেমন: ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংকস) অতিরিক্ত খেলে ইনসুলিনের ওপর চাপ বাড়ে।"
মূল কারণ ২: শরীরের অভ্যন্তরের জটিলতা
কিছু কারণ রয়েছে যা আপনার জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে না, কিন্তু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।
* পারিবারিক ইতিহাস (জিনগত কারণ): পিতামাতা বা ভাইবোনের ডায়াবেটিস থাকলে আপনার ঝুঁকি স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। এটি টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
* বয়স:
সাধারণত ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়স হলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষমতা কমতে থাকে।
* অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা:
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উত্পাদনকারী কোষগুলিকে (বিটা সেল) ধ্বংস করে দেয়। এর সঠিক কারণ জানা না গেলেও এটিকে একটি অটো-ইমিউন রোগ হিসেবে গণ্য করা হয়।
* অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা:
* উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure)
* উচ্চ কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড
* গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের (Gestational Diabetes) পূর্ব ইতিহাস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)।
প্রতিরোধের বার্তা: বিপদ এড়াতে করণীয়
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি পুরোপুরি এড়ানো না গেলেও, জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন এনে এর প্রকোপ কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
* ওজন নিয়ন্ত্রণ: শরীরের আদর্শ ওজন বজায় রাখুন। ৫% থেকে ১০% ওজন কমালেও ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।
* নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট (যেমন: প্রতিদিন ৩০ মিনিট) মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করুন।
* সঠিক খাদ্য: শস্যদানা (Whole Grains), ফল, সবজি ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারকে ডায়েটে প্রাধান্য দিন। চিনিযুক্ত পানীয় এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
* ধূমপান বর্জন: ধূমপান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়, তাই এটি সম্পূর্ণ পরিহার করুন।
ডায়াবেটিস একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। দ্রুত জীবনযাত্রার পরিবর্তন এনে সুস্থ থাকার সংকল্প নিন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: তিন ধাপে আসছে নবম পে-স্কেল
- ১৮ ডিসেম্বরে পে-স্কেল ঘোষণা, যা জানা গেল
- পে স্কেল নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা: শেষ ভরসা অর্থ উপদেষ্টা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- আসছে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ, কাঁপবে যেসব জেলা
- ৩৬ বাংলাদেশি পেলেন ভারতের নাগরিকত্ব: তালিকায় আছেন যারা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- পে-স্কেল নিয়ে আল্টিমেটাম শেষ, সর্বশেষ যা জানা গেল
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা জানা গেলো
- হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১
