শেখ হাসিনা কি দিল্লির 'গলার কাঁটা' হয়ে উঠছেন

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবস্থান করছেন। একসময় যিনি ছিলেন ভারতের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র, বর্তমানে তার অবস্থান ঘিরে তৈরি হয়েছে এক নতুন কূটনৈতিক জটিলতা। তার দলের নেতারাও এখন তার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। ভারতীয় গণমাধ্যম এবং বিশ্লেষকদের মতে, দিল্লি এখন তাকে এক রাজনৈতিক বোঝা হিসেবে দেখছে।
দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা
শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে হতাশা ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। দলের তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এক সপ্তাহ দিল্লিতে অবস্থান করেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ লন্ডন থেকে আসা বেশ কয়েকজন প্রবাসী নেতারও। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মুখে কিছু না বললেও তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ অনেক কিছু প্রকাশ করছে। শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে একটি গোপন ঠিকানায় রাখা হয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রবেশ করতে পারেন, কোনো দলীয় নেতা বা দূতাবাসের কর্মকর্তার প্রবেশাধিকার নেই।
ভারতের কৌশলগত অবস্থান
টাইমস নাও এবং দ্য প্রিন্ট-এর মতো প্রভাবশালী ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত এখন শেখ হাসিনাকে একটি 'রাজনৈতিক বোঝা' হিসেবে দেখছে। ১৫ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে মূলত শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে। এই ‘পার্সোনালিটি-সেন্ট্রিক’ পররাষ্ট্রনীতি এখন দিল্লির জন্য কৌশলগত ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি চীনও এই সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত এখন নতুন বন্ধু খুঁজছে এবং বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইছে।
বাংলাদেশের নতুন সরকারের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের সরকার ভারতের প্রতি আক্রমণাত্মক না হলেও নতজানু নয়। তারা ওয়াশিংটন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে এক ধরনের কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখছে। এই সরকার এমন একটি সম্পর্ক চায়, যেখানে সমতা এবং শ্রদ্ধা থাকবে, শুধু দিল্লির নির্দেশ মানা হবে না। ব্যবসা, সীমান্ত এবং নদীর পানি বণ্টনের মতো বিষয়গুলোতে তারা নতুন আলোচনার পথে হাঁটতে চাইছে।
দিল্লি এখন দ্বিধায় আছে যে, তারা এই নতুন বাস্তবতা গ্রহণ করবে কিনা। একসময় যিনি ভারতের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু ছিলেন, আজ তার নামটিই যেন দিল্লির কূটনৈতিক অভিধান থেকে মুছে যেতে বসেছে।
সোহাগ আহমেদ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আগামীকাল ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি: বন্ধ থাকবে ব্যাংকসহ যেসব প্রতিষ্ঠান
- ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি: বন্ধ থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান
- গোপন আওয়ামী প্রশিক্ষণ: মেজর সাদিকের আসল পরিচয় ফাঁস
- ভূমিকম্পের বার্তা: মহাবিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি সোনার দাম
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার
- জ্বালানি তেলের নতুন করে নির্ধারণ: আজ কার্যকর
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের সম্ভাব্য স্কোয়াড চূড়ান্ত, বাদ পড়লেন সৌম্য, মিরাজ
- আগস্টে যেভাবে পেতে পারেন টানা ৫ দিনের ছুটি
- যেভাবে মারা গেলেন সাবেক সেনাপ্রধান হারুনুর রশিদ
- গোপন গুনাহ ও তওবা: ইসলামের বিধান কী
- সোনার দাম কমল: নতুন রেট আজ থেকে কার্যকর
- সরকারি কর্মকর্তাদের 'বিশেষ সুবিধা'র গ্রেড নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন যেভাবে
- এনসিপিতে বড় ধাক্কা, ২ নেতার পদত্যাগের আসল কারণ ফাঁস!